ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘সিডনিতে বার্টি শো’

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ১১ জানুয়ারি ২০১৯

  ‘সিডনিতে বার্টি শো’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সিডনি ইন্টারন্যাশনাল টেনিস টুর্নামেন্ট দিয়ে নতুন মৌসুম শুরু করেছেন এ্যাশলে বার্টি। শুরু থেকেই চমকপ্রদ পারফর্মেন্স উপহার দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার এই প্রতিভাবান খেলোয়াড়। দুর্দান্ত খেলেই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেন তিনি। বৃহস্পতিবার কোয়ার্র্টার ফাইনালে এ্যাশলে বার্টি ৬-৩ এবং ৬-৩ গেমে পরাজিত করেন ১০ম বাছাই এলিস মার্টেন্সকে। শেষ চারে তার সামনে বড় বাধা এখন কিকি বার্টেন্স। ডাচ্ তারকাকে আজ হারাতে পারলেই টানা দ্বিতীয়বারের মতো সিডনির ফাইনালে জায়গা করে নেবেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ বিশে থাকা এই খেলোয়াড়। এ্যাশলে বার্টির বয়স মাত্র ২২। গত বছরেই টেনিস কোর্টে আলো ছড়ান তিনি। পুরো বছরজুড়েই আলোচনায় থাকা এই অস্ট্রেলিয়ান তারকা শেষ করেন শিরোপা জিতে। পারফর্মেন্সের সেই প্রভাব পরে র‌্যাঙ্কিংয়েও। বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ বিশে জায়গা করে নেন তিনি। বর্তমানে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ে তার অবস্থান ১৫। নতুন বছরের শুরুতেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এ্যাশলে বার্টি। সিডনি ইন্টারন্যাশনাল টেনিস টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডেই বড় চমক উপহার দেন তিনি। নিজের প্রথম ম্যাচে লাটভিয়ার জেলেনা ওস্টাপেঙ্কোকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পান তিনি। তবে ফ্রেঞ্চ ওপেনের সাবেক চ্যাম্পিয়নকে হারিয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নেন বার্টি। এরপর আরও বড় পরীক্ষার সম্মুখীন হন তিনি। প্রতিপক্ষ হিসেবে তার সামনে আসেন বর্তমান বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর খেলোয়াড় সিমোনা হ্যালেপ। রোমানিয়ান তারকাও পাত্তা পাননি অস্ট্রেলিয়ার এই প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের সঙ্গে। দ্বিতীয় পর্বে ৬-৪ এবং ৬-৪ গেমে সিমোনা হ্যালেপকে পরাজিত করে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেন তিনি। সেই ম্যাচে হারের পরই এ্যাশলে বার্টিকে প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন সিমোনা হ্যালেপ। বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তারকা বলেছিলেন, ‘সত্যিই খুব ভাল খেলেছে সে। যোগ্য খেলোয়াড় হিসেবেই ম্যাচটা জিতেছে।’ গত বছরের অক্টোবরে সর্বশেষ টেনিস কোর্টে নেমেছিলেন সিমোনা হ্যালেপ। এর পরের সময়টাতে আর কোর্টে নামেননি তিনি। মূলত, ইনজুরির কারণেই এই সময়টাতে কোর্টের বাইরে ছিলেন ফ্রেঞ্চ ওপেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। তবে সিডনির ইভেন্ট দিয়ে নতুন মৌসুম শুরু করা সিমোনার ভক্ত-অনুরাগীদের আশার খবর হলো, এই মুহূর্তে তার কোন ব্যথা নেই। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে মোটেও কোন ব্যথা নেই। এটাই আমার কাছে অনেক বড় স্বস্থির খবর। টেনিস সত্যিই ভাল খেলা, তবে এখন আমার নিজের উপর বিশ্বাসটা আরও বাড়াতে হবে। যা আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।’ হ্যালেপের পর কোয়ার্টার ফাইনালে এলিস মার্টেন্সের বিপক্ষে আরও সহজ জয় পান বার্টি। ম্যাচ শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময়ই নিজের খেলাটা নিয়েই বেশি ভাবি। আমার কাছে ভাল সার্ভ এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ম্যাচের শুরু থেকেই রাজত্ব করার বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ গত মৌসুমে এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলেও শেষ পর্যন্ত এ্যাঞ্জেলিক কারবারের কাছে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় ডুবেছিলেন তিনি। তবে এবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছে জার্মান তারকা এ্যাঞ্জেলিক কারবার। বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক নাম্বার ওয়ানকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকেট কেটেছেন পেত্রা কেভিতোভা। চেক প্রজাতন্ত্রের এই টেনিস খেলোয়াড় বৃহস্পতিবার শেষ আটের ম্যাচে ৬-৪ এবং ৬-৪ গেমে পরাজিত করেন কারবারকে। কেভিতোভা দুইবার উইম্বলডন জিতেছেন। কিন্তু গত কয়েক বছর টেনিস কোর্টে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন। তবে কখনোই হাল ছাড়েননি তিনি। নতুন মৌসুমে নতুন করে শুরুর প্রত্যয় ব্যক্ত করা চেক তারকা সিডনির ফাইনালে উঠাটা যেন তার সেই হাল না ছাড়ারই বড় ফসল।
×