ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

আপনি আচরি ধর্ম

প্রকাশিত: ০৫:২১, ১ নভেম্বর ২০১৮

আপনি আচরি ধর্ম

সমাজ দেশ এবং মানুষ যখন আধুনিকতার ছোয়ায় ভাসছে, তখন অন্যপ্রান্তে ডুবে যাচ্ছে সভ্যতা, শিষ্টাচার আর সৌজন্যবোধ। হারিয়ে যাচ্ছে নৈতিকতা। সমাজে এখন নেই ছোট বড় ভেদাভেদ। নেই সম্মান আর স্নেহ। নেই গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা, নেই ভক্তি। বলা যায় শিষ্টাচারিতার স্থানটি প্রায় লোপ পেয়ে যাচ্ছে এদেশ এবং সমাজ থেকে। আর এর জন্য দায়ী বড়রাই। একটা শিশু বেড়ে ওঠার সময় তাকে সেভাবে তৈরি করাটাই মূল কাজ। স্কুল কলেজে শিক্ষকরা ক্লাসে প্রবেশ করলে দাঁড়িয়ে যাওয়াটা নিয়ম মনে করেই ছাত্ররা দাঁড়ায়। বাস্তবে সম্মান, শ্রদ্ধা এবং ভক্তি করে দাঁড়ানোর মানসিকতা ছাত্রদের ভেতর জাগ্রত নেই। কারণ এ ধরনের শিক্ষা তারা পায় না। আর শিক্ষাটা যে পরিবার থেকে আসবে তা নয়। সেটা হতে পারে সমাজ থেকে, স্কুল থেকে, বড় ভাই থেকে, বন্ধু থেকে, কর্মস্থল থেকে, কিংবা কোন সংগঠন থেকে। কিন্তু বাস্তবে সমাজ, পরিবার, স্কুল, কলেজ, বন্ধু-বান্ধব, বড়ভাই কিংবা সংগঠন কোথাও এই শিক্ষা নেই। তাইতো এখন বড় ছোট কোন পার্থক্য সমাজে নেই। এখন ছোটরাও বড়দের ওপর আঘাত করতে চিন্তা করে না। যার ভেতর শিষ্টাচার, সৌজন্যবোধের অভাব থাকবে সেতো বড়দের আঘাত করবেই। আর এই অভাব রাখার দায়টা বড়দেরকেই নিতে হবে। আজকাল বড়রাই ছোটদের এই শিষ্টাচার, নৈতিকতা এবং ভদ্রতা থেকে দূরে রাখছে। তারাই ছোটদের নিয়ে কুকর্ম আর অন্যায় পথে হাঁটছে। এ থেকে ছোটরা আর কি শিখবে। আপনি যদি আপনার বড়কে সম্মান না দেন তাহলে আপনাকে আপনার ছোটজন কিভাবে সম্মান দিবে? আর আপনিও সেই সম্মান কিভাবে আশা করবেন? তাই সচেতন হতে হবে এখন থেকে। যার যার অবস্থান থেকে মানবিকতা, নৈতিকতা, ন¤্রতা, ভদ্রতা, শিষ্টাচার, সৌজন্য এবং ভালব্যবহার করতে হবে। তবেই অন্যজন আমাকে দেখে শিখবে। আমি অন্যজনের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করলে সেই প্রতিদান আমি পাব। তাই আগে নিজে পরিবর্তন এবং সচেতন হই, তারপর অন্যজনকে সচেতন করার কথা ভাববেন। প্রত্যেকে যার যার স্থান থেকে পরিবর্তন হলে একদিন দেশ হয়ে উঠবে ভালবাসায় ভরপুর। সকলের ভেতর থাকবে শ্রদ্ধা আর ভালবাসা। তাই এখন থেকে নিজেদের ভেতর সেই মানসিকতা তৈরি করতে হবে। ছোটদের স্নেহ আর বড়দের সম্মান দিয়ে আগে নিজেরা নিজেদের ঠিক করি। তখন আমার কাছ থেকে বড়. ছোট উভয়জন শিক্ষা পাবে। তাই মুখে নয় কাজেই দেখাতে হবে সচেতনতা আর পরিবর্তনের ভাষা। খুলশী, চট্টগ্রাম থেকে
×