ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

কুয়ালালামপুরে ডুয়ামের মেগা ইভেন্টে বাংলাদেশিদের সম্মাননা

প্রকাশিত: ২১:৩১, ১ মে ২০২৪

কুয়ালালামপুরে ডুয়ামের মেগা ইভেন্টে বাংলাদেশিদের সম্মাননা

বাংলাদেশি শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী এবং পেশাজীবীদের সম্মান জানানো হয়।

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মেগা ইভেন্ট। রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানী কুয়ালামপুরের ক্লাব আমানে ডুয়ামের মেগা ইভেন্টে, আউটস্ট্যান্ডিং বাংলাদেশি শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী এবং পেশাজীবীদের সম্মান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশিদের গৌরবগাঁথা অর্জনগুলো সবার নিকট তুলে ধরা। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিশ্বের সেরা ১ শতাংশ, ২ শতাংশ সাইটেড সায়েন্টিস্টসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রফেসরদের সম্মানিত করা হয়। এছাড়াও মেধাবী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা রাঙ্কিং এ আছে তাদেরও সম্মানিত করা হয়।

প্রফেশনাল ক্যাটাগরিতে যারা প্রফেশনালি নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাদেরও সম্মানিত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সুরাইয়া ইয়াসমিন নাহারের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান প্রথমেই তিনি নিজেকে একজন গর্বিত ঢাবিয়ান হিসেবে পরিচয় দেন এবং এ রকম একটি চমৎকার আয়োজনের জন্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত সবাইকে অভিনন্দন জানান এবং তাদের কাজ দ্বারা যেভাবে পজিটিভ বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

হাইকমিশনার বলেন, ‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিপুণতার সাথে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সব প্রবাসীকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি গর্বের জায়গা। যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া শেষ করে বড় একটি অংশ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন।’

আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সদস্য সচিব আলমগীর চৌধুরী আকাশ প্রোগ্রামের উদ্দেশ্যে, অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের সিলেকশন প্রক্রিয়াসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন। ইভেন্ট অর্গানাইজিং কমিটির ক্রিয়েটিভ আর্টস অ্যান্ড ডিজাইন টিমের সদস্য হিসাবে ছিলেন আনিকা ইসলাম অর্পা এবং ইসমাত জাহান ঈশিতা। তাদের দুজনের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান নতুন মাত্রা যোগ করে।

অনুষ্ঠানে যেসব বাংলাদেশি শিক্ষা এবং কমিউনিটি উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন তাদের ৩ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। অ্যাক্সিলেন্স বাংলাদেশি অ্যাকাডেমিশিয়ান হিসেবে বিভিন্ন বিশ্বিদ্যালয়ের ১৬জন শিক্ষকক, অ্যাক্সিলেন্স বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে ১৬ জন এবং অ্যাক্সিলেন্স বাংলাদেশি প্রফেশনাল হিসেবে ৩জন সর্বমোট ৩৫ জনকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

এছাড়াও সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সাংবাদিক আহমাদুল কবির, মোস্তফা ইমরান রাজু ও মোহাম্মদ আলীকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সেন্টার ফর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অফ আই আই ইউ এম এর ডিন প্রফেসর শাহরুল বিন নাঈম সাদিক, ইনস্টিটিউট অফ ইসলামিক ব্যাংকিং এন্ড ফাইন্যান্স এরডেপুটি ডিন প্রফেসর রোমজি বিন রোসমান, ইউনিভার্সিটি মালয়াসহ বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির মালয়েশিয়ান লোকাল ডিন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর কনসুল্যর মো. মোর্শেদ আলম, মালয়েশিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ডিরেক্টর মাহবুব আলম শাহ। লায়ন হারুন উর রশিদ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া, ইয়েমেন, ভারতসহ প্রায় ১০টি দেশের অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

পুরো অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল রাফেল ড্র, যেখানে প্রথম পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় এনজেড ট্রিপের পক্ষ থেকে কুয়ালামপুর টু ঢাকা বিমান টিকিট, দ্বিতীয় পুরস্কার কুয়ালালামপুর টু লাংকাউই বিমান টিকিট, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় কুয়ালালামপুর টু পেনাং বিমান টিকিটসহ মোট ১০টি আকর্ষণীয় পুরস্কার।

 

এম হাসান

×