ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইউএস ওপেনের সেমিফাইনাল থেকে ইনজুরির কারণে সরে দাঁড়ালেন রাফায়েল নাদাল

জোকোভিচ-ডেল পোত্রোর লড়াই আজ

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জোকোভিচ-ডেল পোত্রোর লড়াই আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ থেমে গেলেন রাফায়েল নাদাল। আসলে চোটের কারণে থেমে যেতে বাধ্য হলেন এই স্প্যানিয়ার্ড। শুক্রবার ইনজুরির কারণে জুয়ান মার্টিন ডেল পোত্রোর বিপক্ষে দুই সেট হারের পরই ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালের ম্যাচ থেকে অবসর নেন তিনি। এর ফলে ফাইনালে জায়গা করে নেন ডেল পোত্রো। সেমিফাইনালের আরেক ম্যাচে নোভাক জোকোভিচ ৬-৩, ৬-৪ এবং ৬-২ গেমে জাপানের কেই নিশিকোরিকে বিদায় করে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেন। ফলে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে আজ দেখা যাবে জোকোভিচ আর ডেল পোত্রোর লড়াই। লড়াই করতে ভালবাসেন রাফায়েল নাদাল। ইউএস ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালেও তা টেনিস দুনিয়ার ভক্ত-অনুরাগীদের দেখিয়েছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। চার ঘণ্টা ৪৯ মিনিট লড়াই করে ডোমিনিক থিয়েমকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকেট কেটেছিলেন। কিন্তু স্প্যানিশ টেনিস তারকার সেই লড়াই থেমে গেছে সেমিফাইনালেই। হ্যাঁ, জুয়ান মার্টিন দেল পোত্রোর বিপক্ষে ম্যাচের মাঝপথেই সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ইনজুরির কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর খেলোয়াড়। শেষ চারের লড়াইয়ে দেল পোত্রো যখন ৭-৬ (৭/৩) এবং ৬-২ ব্যবধানে এগিয়ে ঠিক তখনই নাদাল ম্যাচ ছেড়ে দেন দেল পোত্রোকে। এর ফলে ফাইনালে জায়গা করে নেন আর্জেন্টাইন তারকা। যতক্ষণ কোর্টে ছিলেন ততক্ষণে দুবার চিকিৎসকের সহায়তা নিয়েছেন রাফায়েল নাদাল। কিন্তু তারপরও ব্যথা কমছিল না। যে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেন ৩২ বছর বয়সী নাদাল। ম্যাচের শেষে তিনি বলেন, ‘খেলা চালিয়ে যাওয়াটা আমার জন্য কঠিন ছিল। খুব ব্যথা হচ্ছিল। এর ফলে ম্যাচটা একতরফা হয়ে যায়। আমি ম্যাচ ছেড়ে দিতে ঘৃণা করি কিন্তু এখানে দাঁড়িয়ে আরেকটা সেট খেলা আমার পক্ষে মোটেও সম্ভব ছিল না।’ ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময়ই হাঁটুর ইনজুরিতে ভোগা নাদাল অবশ্য বিশ্বাস করেন এবারের সমস্যাটা খুব একটা গুরুতর নয়। জানুয়ারিতে মারিন সিলিচের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে পঞ্চম সেটে পিছিয়ে থাকার সময় নাদাল এই ইনজুরির কারণে নাম প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছিলেন। নিউইয়র্কে চতুর্থ ও ক্যারিয়ারে ১৮তম গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে নাদাল কোর্টে নেমেছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন জয়ের পথে আবারও বড় বাধা হয়ে দাঁড়াল ইনজুরি। অন্যদিকে কপাল খুলেছে ডেল পোত্রোর। আবারও ফাইনালে ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন। যেখানে তার প্রতিপক্ষ নোভাক জোকোভিচ। ১৩টি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক জোকোভিচ দিনের আরেক সেমিফাইনালে জাপানের কেই নিশিকোরিকে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেন। শেষ চারে ২০১১ ও ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ জাপানী কেই নিশিকোরিকে ৬-৩, ৬-৪, ৬-২ গেমের সরাসরি সেটে পরাজিত করে ফাইনাল নিশ্চিত করেন। এটি জোকোভিচের ইউএস ওপেনে অষ্টম ও ক্যারিয়ারের ২৩তম গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনাল। দশ বছরের পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ডেল পোত্রোর বিপক্ষে জোকোভিচের জয়ের ব্যবধান ১৪-৪। এর মধ্যে ২০০৭ ও ২০১২ সালে ইউএস ওপেনে একটি সেটও হারেননি সার্বিয়ান তারকা। ইনজুরির কারণে ২০১৭ সালের টুর্নামেন্টে না খেলা জোকোভিচ ম্যাচ শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা কখনই কোন গ্র্যান্ডসø্যামের ফাইনালে একে অপরের বিপক্ষে খেলিনি। একজন মানুষ ও খেলোয়াড় হিসেবে তার প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা আছে। অতীতে ইনজুরির কারণে তার বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছে। কিন্তু সে সত্যিকার অর্থেই একজন বড় মাপের খেলোয়াড়। বড় ম্যাচে সে নিজেকে দারুণভাবে প্রমাণ করেছে।’
×