ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কোফি আনান মানবতার শিক্ষাগুরু

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 কোফি আনান মানবতার শিক্ষাগুরু

জাতিসংঘের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সফল মহাসচিব কোফি আনান গত হয়েছেন ১৮ আগস্ট। শেষ জীবনে তিনি বসবাসের ও কাজের জন্য বেছে নিয়েছিলেন সুইজারল্যান্ডকে। তাঁর ঘনিষ্ঠ কর্মী ও বন্ধুরা জানেন জাতিসংঘের জেনেভার স্থায়ী দফতর প্রাঙ্গণের ময়ূর বিচরণ দেখা ও তা নিয়ে আবেগঘন প্রকৃতির বর্ণনা দেয়া ছিল তাঁর এক প্রিয় প্রসঙ্গ। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত নানা সময়ে তাঁকে কাছে থেকে দেখার ও কাজের সুযোগে কিঞ্চিৎ সান্নিধ্য পাবার। ২০০৬ সালে তিনি অবসরে যাবার পরেও তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। জাতিসংঘের তথ্য সমাজ শীর্ষ সম্মেলনের (ওয়ার্ল্ড সামিট অন দি ইনফরমেশন সোসাইটি-ডব্লিউএসআইএস) কাজে আমি ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলাম। আয়োজক সুইস সরকার ও জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা আইটিইউ’র সিভিল সোসাইটি ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নানা সময়ে কোফি আনানের অনেক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের আমি একজন প্রত্যক্ষদর্শী ও সাক্ষী। আমি বাংলাদেশের একজন নগণ্য নাগরিক, আমার পরম সৌভাগ্য ছিল যে, কোফি আনান আমার নাম মনে রেখেছিলেন ও শেষ দেখায় (১৮ ডিসেম্বর ২০১৭) জেনেভায় ‘আনান কমিশন’ রিপোর্ট নিয়ে আলাপ শেষে তিনি আমাকে তাঁর অফিসের দোরগোড়ায় এগিয়ে দিয়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্য কামনা করেছিলেন। আজ এই লেখার মাধ্যমে আমি কোফি আনানের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি ও শ্রদ্ধাভরে তাঁকে স্মরণ করছি। ১৩ ডিসেম্বর ১৯৯৬ তারিখে নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশে কোফি আনান যখন মহাসচিব নিযুক্ত হন যারা খোঁজখবর রাখেন তারা জানেন যে, তখন জাতিসংঘের কর্মীদের মধ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে জনপ্রিয়। ১৯৯৩ সালের ১ মার্চ থেকে তিনি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছিলেন আর এই পদে উন্নীত হয়েছিলেন একই বিভাগের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পাবার মাত্র এক বছরের মধ্যে যা তাঁর ব্যাপক কর্মদক্ষতা ও নিষ্ঠার পরিচায়ক ছিল। ৩০ বছরের চাকরি জীবনের নানা সময়ে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন যার মধ্যে বাজেট পরিকল্পনা ও হিসাব ব্যবস্থাপনাও ছিল। ১৯৯০ সালে ইরাক কুয়েত দখল করে নিলে তখনকার মহাসচিবের পরামর্শে কোফি আনান বাগদাদ যান এবং জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত প্রায় ৯০০ কর্মীকে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করতে সমর্থ হন। এই ঘটনায় তিনি দ্রুত বিশ্ববাসীর নজরে পড়েন। এ সময়ে তাঁর সবচেয়ে আলোচিত উদ্যোগ ছিল ইরাকের তেল বিক্রি করে মানবসেবায় ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ রাখার অঙ্গীকার আদায় করা। বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন কোফি আনান। শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে অত্যন্ত ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতেন ও প্রশংসা করতেন। ২০০১ সালের মার্চ মাসে তিনি বাংলাদেশ সফর করেন ও সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোফি আনানের উপস্থিতিতে ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অনেকেই জানেন, ১৯৯৮ সালে কানাডার ভ্যানকুভার শহরে বসবাসরত দুই প্রবাসী বাংলাদেশী রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব কোফি আনানের কাছে। পরের বছরের ১৭ নবেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রস্তাবে ‘এখন থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে জাতিসংঘ’- এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়। এতে কোফি আনানের প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। কোফি আনানের দ্বিতীয়বারের মহাসচিব মেয়াদের সময় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশের কূটনীতিক আনোয়ারুল করিম চৌধুরী। নিরাপত্তা পরিষদের ১৩৫৮ ক্রমিকের সুপারিশে সাধারণ পরিষদ ২০০১ সালের ২৯ জুন সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে কোফি আনানকে পুনরায় মহাসচিব নিযুক্ত করে যা কার্যকরী ছিল ২০০৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের দায়িত্ব পালন সে সময়ে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। আনোয়ারুল করিম চৌধুরী কোফি আনানের নিয়োগ সুপারিশের বিবৃতিতে তাঁর স্বাধীন প্রজ্ঞা ও বিবেচনাবোধের প্রশংসা করেন এবং আনানের অভিজ্ঞতা ও কর্ম দক্ষতা জাতিসংঘের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। ২০০৩ ও ২০০৫ সালে জাতিসংঘের তথ্য সমাজ শীর্ষ সম্মেলন জেনেভা সচিবালয়ের কর্মী হিসেবে আমরা আগেভাগে জানতে পারতাম কফি আনান কখন কোন্ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। বিশেষ করে জটিল পরিস্থিতিতে কোফি আনানের বিচক্ষণ ভূমিকা আমাদের মুগ্ধ করত। তখন বাংলাদেশ জেনেভা দূতাবাসের তরুণ কূটনীতিক দানিউল ইসলাম মূলত দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে আইটিইউ সচিবালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতেন। ঘোষণাপত্রের বিতর্ক নিয়ে অনেক প্রসঙ্গে দানিউল ইসলামের উদ্বেগ আমি নিরসন করতে পেরেছিলাম মহাসচিবের ত্বরিত হস্তক্ষেপের তথ্য জানিয়ে। দানিউল ইসলামের মতো বাংলাদেশ অন্তপ্রাণ এ রকম কয়েকজন তরুণ কূটনীতিকের সঙ্গে তখন আমি সচিবালয়ের পক্ষ থেকে সমন্বয় করেছি, যাদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্পের একটি প্রচ্ছন্ন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল জেনেভা ও তিউনিস ঘোষণাপত্র গ্রহণের মাধ্যমে। দারিদ্র্য বিমোচনে তথ্যপ্রযুক্তির ভূমিকা কি হবে এই নিয়ে তখন দুনিয়াব্যাপী হই-চই চলছে। শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি সভাগুলোয় একদিকে ধনী দেশগুলো তাদের যুক্তি দিচ্ছে অপরদিকে তাদের বিরুদ্ধে চলছে যুক্তি খ-নের বাস্তবসম্মত বিতর্ক। দুই বছরের এই বিতর্ক শেষ করে ঘোষণাপত্র তৈরি করতে কোফি আনান একের পর এক সময় দিয়ে যাচ্ছিলেন। কখনই তিনি বিরক্ত হননি; শেষমেশ এও বলেছিলেন ‘একটি সমন্বিত সমাজব্যবস্থা গড়তে দেশগুলো কেমন করে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করবে তার সিদ্ধান্ত তাদের নিতেই হবে।’ তখনকার বিরোধী দলের নেত্রী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিশেষ সহকারী ড. হাসান মাহমুদের মাধ্যমে জাতিসংঘের এই উদ্যোগের নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখতেন। আয়োজক দেশ সুইস সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে আমি কোফি আনানের নিমন্ত্রণ পত্র শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে দিয়েছিলাম। ড. হাসান মাহমুদ তিউনিস ঘোষণাপত্র প্রণয়নের সময় (২০০৫ সালের নবেম্বরে) শেখ হাসিনার পক্ষে নিজে উপস্থিত ছিলেন ওআইসিটি ফর পিস (শান্তির জন্য তথ্যপ্রযুক্তি) শীর্ষক সভায় সুপারিশ প্রণয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। মূলত জেনেভা ঘোষণাপত্র দিয়েই জাতিসংঘের তথ্য সমাজ গঠনের রূপরেখা বিশ্ববাসীর গোচরীভূত হয়। কোফি আনান এই ঘোষণাপত্র তৈরি করতে ২০০২ ও ২০০৩ সালে ৫টি আঞ্চলিক ও ৩টি কেন্দ্রীয় প্রস্তুতি সভার সীমা বেঁধে দেন। কিন্তু দুটি বিষয়ে কিছুতেই দেশগুলো একমত হতে পারছিল না যেগুলো হলো- ১. তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে অর্থায়ন প্রক্রিয়া কী হবে ও ২. ইন্টারনেট প্রশাসন কেমন হবে? দ্বিতীয় বিষয়টি ছিল খুবই স্পর্শকাতর, কারণ যুক্তরাষ্ট্র কিছুতেই ইন্টারনেট প্রশাসন বিশেষ করে আইকান (যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি দুনিয়ার সকল টিএলডি- টপ লেভেল ডোমেইন যেমন ডট কম বা ডট নেট বা দেশের নামে সিসি টিএলডি বা কান্ট্রি কোড যেমন ডট বিডি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে) তাদের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া হোক তা চাইছিল না। এসব বিতর্কে জেনেভা সম্মেলন প্রায় পণ্ড হতে বসেছিল। কারণ জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী সব দেশ একমত না হলে শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণাপত্র গৃহীত হয় না। কোফি আনান নির্ধারিত দুই বছরের আঞ্চলিক প্রক্রিয়া ও ৩টি প্রস্তুতি সভায় এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নে ঐকমত্য না হওয়ার ফলে ২০০৩ সালের নবেম্বর মাসের ১০-১৪ তারিখে তৃতীয় সভার বর্ধিত সভা অনুমোদন দেন যাতে আলোচনা করে সবাই একমত হতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত এতেও কোন সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত না হলে সকল মহলে হতাশা নেমে আসে। কিন্তু কোফি আনান সচিবালয়ে নির্দেশ দেন আরও একটি বর্ধিত সভা আয়োজন করতে যা প্রায় অবিশ্বাস্য ছিল। কারণ খরচ সঙ্কুলানের একটি বিষয় তখন সামনে আসে। কোফি আনানের বন্ধু সুইস উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান এ্যাম্বাসেডর ওয়াল্টার ফ্রস্ট এগিয়ে আসেন। শীর্ষ সম্মেলনের মাত্র ৫ দিন আগে আবার বর্ধিত সভার তারিখ ঠিক হয় ডিসেম্বর ৫-৬ তারিখে। কোফি আনান এই সম্মেলন অনুষ্ঠানে অবিচল ছিলেন। অনেক দেশের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানগণ জেনেভা যাবেন কি যাবেন না এই দ্বন্দ্বে পড়ে যান। কোফি আনান সচিবালয়ে সব আয়োজন ঠিকঠাক রাখতে নির্দেশ দেন ও সব দেশে এই মর্মে বার্তা পাঠাতে বলেন যে, শীর্ষ সম্মেলন হবে। কূটনীতিক মহলে এটি আমার দেখা সবচেয়ে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি, কারণ প্রতিটি দেশের সরকারপ্রধান যদি আসেন ও শীর্ষ সম্মেলন না হয় তাহলে তারা কী বার্তা নিয়ে যাবেন? এমনকি ধনী দেশগুলো পর্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক মিডিয়া জাতিসংঘের জন্য একে একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে সংবাদ প্রচার করে। ডিসেম্বরের ৬ তারিখ রাতভর সভা করেও কোন একমত সিদ্ধান্ত হয়নি। কোফি আনান জানান, তিনি নিউইয়র্ক থেকে জেনেভা আসছেন ও সম্মেলনের আগের দিন অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর আবার যেন বর্ধিত সভা ডাকা হয়। ৯ তারিখ সকালে কোফি আনান একটি সিদ্ধান্ত দিয়ে পাঠান এই মর্মে যে, দুটি বিতর্ক বিষয়ে তিনি দুটি পৃথক টাস্কফোর্স গঠন করছেন ও এই টাস্কফোর্স দ্বিতীয় পর্বে তিউনিসে তাদের প্রতিবেদন দেবে ও সে আলোকে সে সময় এসবের ফয়সালা হবে। আমার চোখের সামনে কূটনীতির জাঁদরেল মহল কোফি আনানের এই সিদ্ধান্ত জেনে নির্বাক হয়ে পড়ে ও নিজেদের সীমাবদ্ধতা দেখে লজ্জিত হয়। অনেক দেশের প্রতিনিধি আমাদের সচিবালয়ে এসে তাদের এই শিক্ষার কথা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন। যে কোন জটিল পরিস্থিতিতে নোবেল বিজয়ী কোফি আনানের কাছ থেকে শিক্ষণীয় এমন উদাহরণ বহু আছে। অবসর নিয়ে ২০০৭ সালে তিনি তার বন্ধু এ্যাম্বাসেডর ওয়াল্টার ফ্রস্টকে নিয়ে গঠন করেন ‘গ্লোবাল হিউম্যানিটেরিয়ান ফোরাম’ যার উদ্দেশ্য ছিল মানবতার ডাকে সাড়া দিতে বিশ্বের বিবেক জাগ্রত করা। ১৮ জন নোবেলবিজয়ী নিয়ে তিনি এর একটি ট্রাস্ট গঠন করেন ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ শুরু করেন। ২০০৯ সালে এই ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে তিনি তাঁর সচিবের মাধ্যমে আমাকে আমন্ত্রণ জানান এবং আমাকে জানানো হয় যেন বাংলাদেশের নতুন সরকারের কেউ এতে অংশ নেয়। তখনকার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ ও কুমিল্লার সাংসদ আকম বাহাউদ্দিন বাহার এতে অংশ নিয়েছিলেন। ২০১০ সালে তিনি গ্লোবাল হিউম্যানিটেরিয়ান ফোরাম বিলুপ্ত করে তাঁর কোফি আনান ফাউন্ডেশনকে সক্রিয় করেন ও জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সিরিয়া ও মিয়ানমারসহ অনেক দেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে তা মোকাবেলার উপায় সুপারিশ করেছেন। আমার এই ক্ষুদ্র রচনায় কোফি আনান সম্পর্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরী বর্ণিত প্রজ্ঞা বিবেচনার পূর্বাপর ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সম্ভব নয়। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের তরুণ কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষার্থীরা ও আগ্রহী গবেষক, সংবাদকর্মীগণ কোফি আনান সম্পর্কে তথ্য আহরণ করে নিজেদের সমৃদ্ধ করবেন ও বিশ্বের জ্ঞান সমাজ বিকাশে আনানের মতো ব্যক্তিদের ভূমিকার উপযুক্ত সম্মান দেবেন। লেখক : পরিচালক, আমাদের গ্রাম উন্নয়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্প [email protected]
×