ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়

উপ-উপাচার্য ॥ ডাঃ সাহানা আখতার

প্রকাশিত: ০৭:৩৪, ১ জুন ২০১৮

উপ-উপাচার্য ॥ ডাঃ সাহানা আখতার

পপি দেবী থাপা অপরাজিতা : বিএসএমএমইউ-এর প্রথম নারী উপউপাচার্য হওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা। কেমন আছেন? ডাঃ সাহানা : ভাল আছি। আসলে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বলে কিছু না। মেয়েরা সবখানেই সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। তিনি তার সুশাসন দ্বারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের নারী স্পীকার, মেয়র আছেন। এ ছাড়া সকল পেশায় মেয়েরা পুরুষের তুলনায় কোন অংশে কম নয় বরং বেশিই করে। অপরাজিতা : আপনার জন্ম বেড়ে ওঠা... ডাঃ সাহানা : আমার জন্ম ঢাকাতেই। গে-ারিয়ায় আমাদের বাড়ি ছিল। বাবা ছিলেন সরকারী চাকরিজীবী। বাবা পড়ালেখা, গান-বাজনা পছন্দ করতেন। দেশটাকে অনেক বেশি ভালবাসতেন। চার ভাই-বোনের মধ্যে আমিই সবার ছোট। এক অর্থে আমি মনে করি আমার জন্ম তিন বার এবং তিনবারই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। একবার মাতৃগর্ভ থেকে জন্ম, দ্বিতীয়বার ডাক্তার হিসেবে, তৃতীয়বার জন্ম মা হিসেবে। অপরাজিতা : আপনার লেখাপড়া... ডাঃ সাহানা : এসএসসি কামরুননেসা স্কুল, এইচএসসি হলিক্রস কলেজ। এরপর ১৯৮২ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন। আমরা ৭৬এর ব্যাচ নাম কে-৩৪। ১৯৯০ সালে পেড্রিয়াটিকসে এফসিপিএস করি, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান এ্যান্ড সার্জেন কোর্স রান ট্রেনি পিজিতে। এম আর খান স্যার, তালুকদার স্যার, মালেকা ম্যাডাম, তাঁদের সান্নিধ্যে কাজ করার, শেখার সুযোগ হয়েছে। আমার বেশিরভাগ ট্রেনিং ছিল তালুকদার স্যারের সাথে। অপরাজিতা : চিকিৎসা পেশা বেছে নেয়ার কারণ কি? ডাঃ সাহানা : কোন বিশেষ কারন নেই। বাবা-মায়ের ইচ্ছে ছিল আমি যেন ডাক্তার হই। অপরাজিতা : ডাক্তার না হলে কি হতেন? ডাঃ সাহানা : শিক্ষক হতাম। গান-বাজনা করতাম। আমার ইচ্ছা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করব। আমি ইন্টার প্রথম বর্ষে পড়াকালীন আমার বাবা হঠাৎ করেই মারা যান। তাই তার স্বপ্ন পূরণে আমি ডাক্তারি পড়া শুরু করি। তার আগে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হয়ে দুই মাস ক্লাসও করি। বাড়িতে মাকে বলেছিলাম যদি ঢাকা মেডিক্যালে চান্স পাই, তবে পড়ব, নয়ত না। ভাগ্যক্রমে চান্স পেয়ে গেলাম। এই তো আমার ডাক্তারি পড়ার যাত্রা শুরু। অপরাজিতা : আপনার কর্মজীবনে প্রবেশ এবং উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে যদি কিছু বলেন। ডাঃ সাহানা : আমাদের সময়ে পাস করার পরের দিন থেকেই ইন্টার সার্ভিস ট্রেনিং পিরিয়ড শুরু হতো। তাই যেদিন পাস করেছি তার পর দিন থেকেই আমার কর্মজীবন শুরু ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। শিশু বিভাগে এফসিপিএস করার পর মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে তৎকালীন পিজি হসপিটালে যোগদান করি। এরপর লন্ডনে ক্লিনিক্যাল ফেলোশিপ করি। সেখান থেকে ফিরে এসে ঢাকা মেডিক্যালে আরপি হিসেবে যোগদান। ১৯৯৩ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর। ১৯৯৬তে এসোসিয়েট প্রফেসর, ২০০২ থেকে বিএসএমএমইউ-তে প্রফেসর । অপরাজিতা : একজন নারী হিসেবে কর্মক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা এসেছে কিনা? ডাঃ সাহানা : প্রতিবন্ধকতা এসেছে কিন্তু সেটাকে অল্প দিনের মধ্যে ওভার কাম করেছি কাজের মধ্য দিয়ে যোগ্যতা অর্জন করে। ঢাকা মেডিক্যালে আমাকে যখন আরপি হিসেবে যোগদান করতে বলা হয় তখন সেখানে আমার প্রফেসর বলেছিলেন-‘আমি মহিলা আরপি নেব না। রাত বিরাতে আসতে হয়, এসব সামলে উঠতে পারবে না।’ সেখানেও আমার যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়েছে। শিশু বিভাগে আমি ছিলাম প্রথম মহিলা আরপি। অপরাজিতা : নারী এখনও সংস্কার, কুসংস্কারের জালে আবদ্ধ, নয়ত পারিবারিকভাবে কোণঠাসা। এসব পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় কী। ডাঃ সাহানা : প্রথমেই প্রয়োজন শিক্ষা। নারী যদি যর্থাথ শিক্ষিত হয় তবে এই শিক্ষাই তাদের মুক্তির পথ দেখাবে। তখন মেয়েরা অটোমেটিক সকল বিষয়ে সচেতন হবে। এরপর নারীর ক্ষমতায়ন। অপরাজিতা : দেশে নারী এবং শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নতুন আর কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। ডাঃ সাহানা : আমরা মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় যথেষ্ট এগিয়েছি। আমরা এমডিজি হেলথে সফলতা অর্জন করেছি, পোলিও মুক্ত হয়েছি। কিন্তু আমরা পিছিয়ে আছি ম্যাটারনাল মরটালিটির ক্ষেত্রে। আমাদের দেশে ফ্যামিলি প্লানিং যতটা সফলতা পেয়েছে প্রোগ্রামের কারণে তার চেয়ে বেশি সফল হয়েছে যখন মেয়েরা গার্মেন্টস সেক্টরে দলে দলে চাকরিতে এসেছে। এখানে নারীর ক্ষমতায়নই বদলে দিচ্ছে প্রচলিত ধ্যান-ধারণা। মেয়েদের তো এখন উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ালেখা ফ্রি করে দেয়া হয়েছে, উপবৃত্তি পাচ্ছে। এতে মেয়েদের শিক্ষার হার বাড়ছে। প্রভাইডেড আমরা তাদের অন্যান্য সাপোর্ট দিতে পারি। আমার মনে হয় শিক্ষা যদি দেয়া যায় অন্যান্য বিষয় আপনাতেই ঠিক হয়ে যাবে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা এগুলো তো আমাদের বেসিক রাইট। এই যে ম্যাটারনাল মরটালিটি আমরা রিচ করতে পারিনি তার কারণ মেয়েদের এখনও কম বয়সে বিয়ে হচ্ছে। মেয়ের বয়স বারো-তেরো বছর হতেই মা-বাবার মধ্যে এক বিরাট চিন্তার বোঝা কাজ করে। তার ওপর যৌতুক তো আছেই। একটা বেকার ছেলেকে অনেক টাকা যৌতুক দিয়ে অল্প বয়সী মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছে। এই মেয়েই আবার বছর না ঘুরতেই মা হচ্ছে। আমাদের দেশে একজন মেয়ের চেয়ে একজন ছেলে শিশুকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। মেয়ে শিশুকে কম খেতে দেয়া হয়। ছেলে শিশুর খাওয়া শেষে মেয়ে শিশুটিকে খেতে দেয়া হয়। তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ছেলে শিশুর তুলনায় অনেক কম কেয়ার করা হয় তাকে। এই মেয়েটাই পরবর্তীতে একজন মা হচ্ছে। একজন অপুষ্ট মায়ের কাছে এ সমাজ কখনই সুস্থ সবল ভাল ওজনের সন্তান আশা করতে পারে না। কিশোরী বয়সের মেয়েরা ম্যাটারন্যাল মরটালিটির অন্যতম কারণ। এ কারণে আমাদের একদম গোড়া থেকে শুরু করতে হবে। আমাদের বেশি করে মেয়ে শিশুর যতœ নিতে হবে। আমি কখনই হেলথ সেক্টরকে এগিয়ে নিতে পারব না যদি শুরু থেকে মেয়ে শিশুর যতœ নেয়া না হয়। যতই চেষ্টা করি গাইনোকোলজিক্যাল কেয়ার দিতে, কিন্তু তার যে বেসিক অপুষ্টি তা তো আগে থেকেই হয়ে গেছে। সেটা তো এখন আর পূরণ করা সম্ভব নয়। অপরাজিতা : চিকিৎসা সেবা পেতে প্রচুর সংখ্যক মানুষের বাইরে যাওয়াটাকে আপনি কীভাবে দেখেন? তারা কেন যাচ্ছে? ডাঃ সাহানা : আগের চেয়ে আমাদের দেশে চিকিৎসা সেবা এখন অনেক ভাল। যেমন হার্টের চিকিৎসায় আমরা এখন অনেক ভাল সেবা দিতে পারছি। আর যাদের টাকা অনেক বেশি তারা সামান্য হাঁচি-কাশি হলেও বাইরে যাওয়ার টেনডেনসি রাখে। তাদের ক্ষেত্রে কি আর বলার আছে! তবে বাইরের দেশ থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে যারা আসেন তাদের অনেককে বলতে শোনা যায় যে ওখানকার ডাক্তাররা অনেক বেশি সময় নিয়ে রোগী দেখেন। অপরাজিতা : দেশে কেন সে রকম সেবা পাচ্ছি না, আমাদের চিকিৎসকদের হাতে সময় কম নাকি চিকিৎসকের সংখ্যা কম? ডাঃ সাহানা : যদিও কথাটা সকল চিকিৎসকদের বেলায় প্রজোয্য নয়। আমাদের এখানে রোগীর লোড অনেক বেশি। একজন চিকিৎসককে তাঁর ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় অনেক বেশি রোগী দেখতে হচ্ছে। আমি একজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনি তো রোগী কিছু কম করে দেখলেও পারেন। উত্তরে উনি বলেছিলেন ‘আপা কি করব সবাইকে তো সন্তুষ্ট রাখতে হয়। রোগী এলে তো আর চলে যেতে বলতে পারি না।’ ব্যাপারটা হচ্ছে বেশিরভাগ রোগীর মানসিকতায় এটা কাজ করে যে সে ওই চিকিৎসককে দেখাবে। তবে আমরা এখন একটা হেলথ পলিসি করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি যে, কে কয় জন করে রোগী দেখবে। আমি আশা করি এর ফলে রোগীর প্রতি সেবা এবং সময় দেবার পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। অপরাজিতা : দেশে চিকিৎসা শাস্ত্রে গবেষণার বিষয়... ডাঃ সাহানা : গবেষণা রিলেটিভলি কম হচ্ছে, যেটুকু হচ্ছে তা আবার প্রচারের অভাবে আলোয় আসছে না। কারণ গবেষণার ব্যাপারটা আমরা এতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখিনি। তবে গবেষণা সংক্রান্তে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হচ্ছে। এখন প্রতিটি রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম আমরা চালু করার পর প্রত্যেকটি রেসিডেন্সির একটা গবেষণা আবশ্যক। আমাদের বেসিক রিসার্চের ক্ষেত্র যেমন মলিকুলার বায়োলজি ডেভেলপ করেনি। তবে আমরা আশাবাদী। আপনারা দেখেছেন আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সবখানেই বলেন- ‘গবেষণা করতে হবে।’ আমি মনে করি এই জেনারেশনের অধিকাংশ শিক্ষকই গবেষণার প্রতি আগ্রহী। বর্তমানে বেসিক সায়েন্সেও অনেক ভাল ভাল গবেষণা হচ্ছে। ক্লিনিক্যাল সাইডেও আমরা গবেষণা করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে গবেষণাকে এগিয়ে নিতে তিনি অনেক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে গবেষণার জন্য অনুদান পাওয়া যায়। যেমন : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রনালয়, শুনছি এবার বাজেটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গবেষণার জন্য একটা থোক বরাদ্দ থাকবে। অপরাজিতা : বর্তমান বাস্তবতায়, সমাজে একজন নারী চিকিৎসকের ভূমিকা কী হতে পারে বলে আপনি মনে করেন? ডাঃ সাহানা : সবাইকে নিজের মনে করে, আপন ভেবে চিকিৎসা করতে হবে। যেহেতু আমি শিশু বিশেষজ্ঞ তাই আমি আমার বিষয়ে বলতে পারি আমার ওয়ার্ডে যখন কোন বেশি অসুস্থ বাচ্চা আসে, তার সুস্থতার জন্য আমি ব্যাকুল হয়ে উঠি। রাতে ঘরে ফিরলেও অস্থির হয়ে থাকি। ঘুম আসে না। ভাবি পরদিন গিয়ে বাচ্চাটাকে দেখতে পাব তো? সকালে গিয়ে যদি বাচ্চাটাকে সুস্থ দেখি কি যে ভাল লাগে। ভাবতে হবে বাচ্চাটা যদি আমার নিজের বাচ্চা হতো তাহলে অমি কি করতাম? সেই অনুভূতি থেকে রোগী দেখতে হবে। আমি তো আমার শিক্ষার্থীদের বলি কোন রোগী দেখলে এটা ভাববে যে, সে যদি তোমার সন্তান হতো তুমি তার জন্য কী করতে? যদি আত্মীয় পরিজন হতো তবে যে ভাবে সেবা করতে সেভাবেই প্রত্যেককে চিকিৎসা সেবা দেয়া উচিত। আর এসব বিষয় একজন ছেলের তুলনায় একটি মেয়ে বোধহয় বেশি পারে। কারণ সে মা। একটা মেয়ের মধ্যে আবেগ, মমত্ববোধ থাকে বেশি। অপরাজিতা : উন্নত দেশগুলোতে চিকিৎসা শাস্ত্রে যে উন্নতি সেখানে আমাদের দেশের অবস্থান কোথায় বলে আপনি মনে করেন। ডাঃ সাহানা : হাতে গোনা কয়েকটি বিষয় ছাড়া চিকিৎসাশাস্ত্রে আমারা যথেষ্ট এগিয়ে আছি। যেমন ক্যান্সার চিকিৎসায় আমরা কিছুটা পিছিয়ে। এ বিষয়ে অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি থাকায় হসপিটালগুলোতে এখন নামী-দামী যন্ত্রপাতি ও গবেষণার সরঞ্জামাদি আসছে। আমরা আমাদের ম্যানপাওয়ার তৈরি করছি। আমরা যদি এভাবে এগুতে থাকি তাহলে চিকিৎসাক্ষেত্রে এখনও যতটা পিছিয়ে আছি তা আগামী পাঁচ-দশ বছরে ঠিক হয়ে যাবে বলে আমি আশাবাদী। অপরাজিতা : অবসরে কি করতে পছন্দ করেন? ডাঃ সাহানা : গান শুনতে, পড়তে, ভাল সিনেমা দেখা, সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানো। অপরাজিতা : প্রিয় ব্যক্তিত্ব, প্রিয় লেখক। ডাঃ সাহানা : প্রিয় ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রিয় লেখক কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অপরাজিতা : কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান? ডা. সাহানা : সুখী, সমৃদ্ধ, রোগমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা দেখতে চাই। অপরাজিতা : ডা: সাহানা আখতার রহমান আপনার মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ডাঃ সাহানা : আপনাকে ও ‘জনকণ্ঠ’ পরিবারের সবাইকে ধন্যবাদ।
×