ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দ্বিগুণ বেড়েছে ওয়ালটনের স্মার্টফোন বিক্রি

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১৯ মে ২০১৮

দ্বিগুণ বেড়েছে ওয়ালটনের স্মার্টফোন বিক্রি

দ্বিগুণ বেড়েছে ওয়ালটনের স্মার্টফোন বিক্রি। হংকংভিত্তিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টার পয়েন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) তুলনায় এ বছরের একই সময়ে ৮ শতাংশ বেড়েছে ওয়ালটনের স্মার্টফোন বিক্রি। ফলে বর্তমানে ১৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে দেশের স্মার্টফোন বাজারে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে ওয়ালটন। যেটাকে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আস্থার প্রতিফলন বলে মনে করছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের মতে, দেশে তৈরি ফোনগুলোর উচ্চমান ও সাশ্রয়ী দাম এবং একই সঙ্গে দ্রুত ও সহজলভ্য বিক্রয়োত্তর সেবা বিক্রয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এবং সেল্যুলার ফোন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক এসএম রেজওয়ান আলম বলেন, গত বছরের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ফোন উৎপাদন কারখানা চালু করে ওয়ালটন। ইতোমধ্যেই ওই কারখানায় তৈরি ৬টি স্মার্টফোন এবং ১টি ফিচার ফোন বাজারে ছাড়া হয়েছে। দেশে তৈরি উচ্চমানের এসব মোবাইল ফোনের কাস্টমার ফিডব্যাক অনেক ভাল। ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, দেশে তৈরি স্মার্টফোন ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় এবং মেধাবীদের কর্মসংস্থান হচ্ছে। যা বিদেশী কোম্পানিগুলোর আধিপত্য হ্রাস করে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাকে বেগবান করতে ভূমিকা রাখছে। ওয়ালটনের সেল্যুলার ফোন বিপণন বিভাগের প্রধান আসিফুর রহমান খান বলেন, ক্রেতাদের সাশ্রয়ী মূল্যে সর্বাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ ফোরজি স্মার্টফোন দিতে ওয়ালটন কারখানায় ব্যাপকভাবে কাজ চলছে। আমরা আশা করছি আসন্ন ঈদেই ক্রেতাদের হাতে বাংলাদেশে তৈরি প্রথম ফোরজি স্মার্টফোন তুলে দিতে পারবো। সব ধরনের প্রয়োজনীয় ফিচারসমৃদ্ধ এই ফোন হবে দেশের বাজারে সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের ফোরজি ফোন। তিনি জানান, বাংলাদেশে তৈরি মোবাইল ফোনে ক্রেতাদের বিশেষ রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা দেয়া হচ্ছে। স্মার্টফোন ক্রয়ের ৩০ দিনের মধ্যে যে কোন সমস্যায় ওই ফোনটি পাল্টে নতুন আরেকটি ফোন পাচ্ছেন ক্রেতা। এছাড়াও, এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবার পাশাপাশি ১০১ দিনের মধ্যে প্রায়োরিটি বেসিসে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্রেতাকে সেবা দেয়া হচ্ছে। যা ওয়ালটনের স্মার্টফোনের বিক্রয় বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশীয় প্রযুক্তিপণ্যের প্রতি ক্রেতাদের এই ইতিবাচক মনোভাব অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। এতে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য শিল্প আরও বিস্তার লাভ করবে। যার সুফল পাবেন ক্রেতারা। কর্মসংস্থান বাড়বে। দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। অদূর ভবিষ্যতে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও স্মার্টফোন রফতানি করা সম্ভব হবে।
×