ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

একুশের সংকলন

প্রকাশিত: ০৭:২০, ২ মার্চ ২০১৮

একুশের সংকলন

মারুফ রায়হানের সম্পাদনায় একুশের সঙ্কলন পা রাখল ১৬ বছরে। নাজিব তারেকের নজরকাড়া প্রচ্ছদ আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে যখন সম্পাদক তার ব্যাখ্যায় বলেনÑ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাঙালীর তিনটি বিশ্বস্বীকৃতি ঠাঁই পেয়েছে প্রচ্ছদে। মঙ্গল শোভাযাত্রা, ৭ মার্চের ভাষণ ও শীতলপাটি। সম্পাদক যথার্থই বলেছেন, একুশের সঙ্কলন প্রকাশের যে বেগবান ধারা আমাদের ঐতিহ্য তা স্তিমিত হয়ে আসছে ক্রমশ। তার উদ্যোগ সে ধারার পক্ষে। ক্রোড়পত্রে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘সাহিত্য ও ভাষা’ রচনাটি আগ্রহী পাঠকের সামনে নতুন দুয়ার খুলে দেয়। সেখান থেকে কতটুকু নেয়া যায় সে বিতর্ক উঠতেই পারে। নেয়া না নেয়া পাঠকের স্বাধীনতা। প্রবন্ধে প্রয়োজনীয় কিছু বিষয় বাদ পড়েছে তবে লেখার আকার বিবেচনায় তা মেনে নিতেই হয়। মাতৃভাষাকে জীবন ও জীবিকার সঙ্গে সম্পৃক্ত করার যে কথা আহমদ রফিক বলেছেন তা আমাদেরও প্রাণের দাবি। ‘শিল্পসন্ধানী পুরুষ’ শিরোনামে সুশান্ত মজুমদারের সঙ্গে আমরাও একমত ‘পরিবর্তিত সময়ে যখন সব কিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যাচ্ছে তখন গাজী শাহাবুদ্দিনের মতো মানুষদের দীর্ঘ কয়েক জীবন জোড়া দিয়ে বেঁচে থাকাই উচিত।’ জন্ম শতবর্ষে আবদুল হককে নিয়ে রচনা অগ্রজের ঋণ পরিশোধে যর্থাথ প্রয়াস। অসামান্য রচনা ইসফানদিয়র আরিত্তন এর ‘ভিন ভাষার প্রতি ভালোবাসা।’ যা রীতিমতো সঙ্কলনের উচ্চতা নির্ধারক। আলাদা করে বলতেই হয় ‘বাংলা কবিতার বাঘিনীরা’ শিরোনামে লেখাটির কথা। নিঃসন্দেহে পুরো সঙ্কলন সজ্জায় কপালের টিপ হয়ে নজর কাড়ে। কবিতায় তৃপ্তি মেটেনি। কারণ হতে পারে সম্পাদকের কাছে প্রত্যাশা। সম্পাদক সারাবছর বই ক্রয় ও পাঠের প্রয়োজনে যে নির্বাচিত ৫০ গ্রন্থের তালিকা দিয়েছেন তা নিয়ে দ্বিমত থাকতেই পারে তবে বিতর্কের খুব বেশি অবকাশ নেই। বিজ্ঞাপন বাহুল্য মূল্য হ্রাস দাবি করে অন্তত এ ধরনের সঙ্কলনের বহুল প্রচারের স্বার্থেই। সম্পাদক যখন মারুফ রায়হান বানানে আরেকটু সতর্কতা কাম্য। সেই সঙ্গে এটিও যোগ করতে চাই মারুফ রায়হানের মতো লব্ধ প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক যখন বইমেলা-২০১৮ সম্বোধন করেন তখন বাংলা একাডেমির কাছে একটি বার্তা যায়, সেটি হলো বইমেলা না গ্রন্থমেলা! আ জা ইনু
×