তারা যমজ বোন। চেহারায় যেমন মিল রয়েছে, তেমনি পোশাক থেকে শুরু করে পুরো লাইফস্টাইলই বলতে গেলে অবিকল। শিক্ষাক্ষেত্রে দু’জনের মধ্যে দারুণ প্রতিযোগিতা। দু’জনই মেধাবী ছাত্রী। যমজ মেয়েকে নিয়ে গর্বিত মা-বাবা। এইচএসসি পর্যন্ত ফলাফলে দু’জন সমানে সমান। তবে অনার্সে এসে দু’জন একই স্থান না পেলেও পয়েন্ট রয়েছে অনেকটা কাছাকাছি। সদ্য প্রকাশিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিবিএ ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফলে কক্সবাজার সরকারী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অভাবনীয় কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করেছে কক্সবাজারের বাসিন্দা যমজ বোন সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুম। সামিয়া তাবাস্সুম সিজিপি-৩.৪৭ পেয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান এবং তাহিয়া তারান্নুম সিজিপি-৩.৪১ পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
জানা গেছে, শহরের নিউ সার্কিট হাউজ রোড (বাহারছড়া) এলাকার বাসিন্দা সৌদিআরব প্রবাসী নেজাম উদ্দীন ও নাসরিন সিরাজ দম্পতির মেয়ে সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুম ২০১২-১৩ সেশনে কক্সবাজার সরকারী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, মেবাধী এই যমজ বোন পড়ালেখায়ও অনেকটা সমানে থাকে। দু’জনই এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। অনার্সেও প্রতিটি বর্ষে তারা ধারাবাহিকভাবে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অব্যাহত রাখে। তবে অনার্স ফাইনালে এসে দু’জন একই গ্রেড না পেলেও পয়েন্ট রয়েছে অনেকটা কাছাকাছি। সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুম জানায়, আমরা যমজ বোন হিসেবে সবকিছুতে দু’জনে এক রকম হতে চেষ্টা করি। আমাদের পোশাক থেকে শুরু করে পুরো লাইফস্টাইলই বলতে গেলে অবিকল।
শিক্ষা ক্ষেত্রে এইচএসসি পর্যন্ত দু’জন সমানে সমান ছিলাম। তাইতো ওই দু’পরীক্ষাতেই দু’জনেই জিপিএ-৫ অর্জন করেছিলাম। তবে অর্নাসের ফলাফলে মাত্র কয়েক পয়েন্ট এদিক-ওদিক হয়েছে। এটাকে দূরত্ব বলা চলে না। ভবিষ্যত জীবন নিয়ে আমাদের স্বপ্নটা অনেক বড়। এমবিএটা সম্পন্ন করে বিসিএস দেব। আশা করি সেখানেও আমরা ভাল করব। বিসিএসের মাধ্যমে সরকারী কর্মকর্তা হওয়ার ইচ্ছা আছে। অথবা ব্যাংকার হতে চাই। কক্সবাজার সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, যমজ সামিয়া তাবাস্সুম ও তাহিয়া তারান্নুম ভাল ফলাফল করেছে। এটা শুধু তাদের জন্য নয়; আমাদের জন্যও আনন্দের ও গৌরবের বিষয়। আমি তাদের ভবিষ্যত জীবন উজ্জ্বল কামনা করছি।
-এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার থেকে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: