ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে আগাম বাঙ্গি চাষ শুরু

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

 মাদারীপুরে আগাম বাঙ্গি চাষ শুরু

জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে আগাম বাঙ্গি চাষ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের শত-শত কৃষক আগাম বাঙ্গি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগাম বাঙ্গি চাষ করে প্রতি বছর লাভবান হচ্ছে মাদারীপুরের কৃষক। তাই প্রতি বছর এ অঞ্চলে আগাম বাঙ্গির ফলন ভাল হওয়ায় এবং বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় চাষীরা আগাম বাঙ্গি চাষে ঝুঁকে পড়েছে। বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার মধ্যে বাজিতপুরের বাঙ্গি বিশমুক্ত ও সুস্বাদু হওয়ায় দিন দিন এর কদর বৃদ্ধি পাচ্ছে। জানা গেছে, বিগত কয়েক বছরের ভয়াবহ বন্যায় জেলার কয়েক শ’ হেক্টর আবাদী জমিতে বালুর স্তর পড়ায় কৃষকের জীবনে নেমে আসে এক ভয়াবহ বিপর্যয়। অনাবাদী হয়ে পড়ে শত শত হেক্টর জমি। বালু অপসারণ করে কৃষকের ভাগ্যের চাকা বদলে দিতে শুরু করে আগাম বাঙ্গি চাষ। বাঙ্গি চাষে সফলতা আসতে শুরু করায় এ চাষে আবাদী জমির পরিমাণ ও কৃষকের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। প্রতি বছরই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বাঙ্গি চাষ করে লাভবান হচ্ছে জেলার বাঙ্গি চাষীরা। মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলার চার উপজেলায় এ বছর ১১০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রাজৈরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৩ হেক্টর। ৪৩ হেক্টরের মধ্যে ৩৫ হেক্টরই চাষাবাদ করা হয়েছে রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নে। এ ইউনিয়নের সুতারকান্দি, গঙ্গাবর্দী, নয়াকান্দি ও কোদালিয়া গ্রামের শতাধিক কৃষক আগাম বাঙ্গি চাষ করছে। অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আগাম বাঙ্গি চাষাবাদ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এ বছর অধিক পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে বাঙ্গি চাষে কিছুটা বিলম্ব হয়। অন্যান্য বছর অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখ থেকে শুরু করে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বাঙ্গির চাষাবাদের কাজ সম্পন্ন করা হয়। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে বাঙ্গি ফসল উঠতে শুরু করে। এ বছর আগাম বাঙ্গি ফসল জানুয়ারির শেষ দিকে পুরোদমে ওঠা শুরু করবে বলে কৃষক এবং কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে। বাঙ্গি উত্তোলনের কাজ চলবে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। ৫২ শতকের প্রতি বিঘায় বাঙ্গি চাষে কৃষকের খরচ হচ্ছে ১৫/২০ হাজার টাকা। আবহাওয়া ভাল থাকলে এবং পোকা মাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পেলে আগাম বাঙ্গি ফসলে বিঘা প্রতি প্রায় এক লাখ টাকা আয় হবে। ভাল ফলনের জন্য জমিতে নিয়মিত পানি, ডিআইবি সার, টিএসপি ও পটাস সার এবং পোকা-মাকড় মারার কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। এ অঞ্চলের একই জমিতে বাঙ্গিসহ তিন ধরনের ফসল উৎপাদন হওয়ায় মানুষ নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন। আগাম বাঙ্গি দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হয়। -সুবল বিশ্বাস, মাদারীপুর থেকে
×