শীতের ষোড়শী
জাফরুল আহসান
হেমন্ত শেষে শিশিরে জড়ানো কুয়াশার জল
সাজায়ে রেখেছে মেঘালয়, যেন বধূ অবিকল,
সন্ধ্যা ঘনালে হিমেল হাওয়া বকিছে প্রলাপ,
শীতের ষোড়শী বাহুডোরে এসো দাও উত্তাপ।
অধরে জড়াবো শীত মাখা ঢেউ পাহাড়ি বালিকা
অনাহূত নই; কাছে এসো সই চাঁদ মল্লিকা।
চুমুর আঘাতে জাগাবো তোমাকে লাগুক কাঁপন,
আধো ভয় আধো জাগরণে লাজে ঢাকা শিহরণ!
দ্বিধা সংকোচ লাজ ভয় যদি নিমিষে পালায়,
আমি ছাড়া আর কে আছে এমন তোমাকে জড়ায়।
কে যেন বাজায় বাঁশি
সোহরাব পাশা
অমিতাভ নির্মল সময় অলস ঘুমিয়ে পড়ে
জেগে ওঠে হেঁটে যায় অচিহ্নিত অচেনা রাস্তায়
চোখ জুড়ে থাকে তার ধু-ধু চলে যাওয়া
দুঃস্বপ্নের রুগ্ন চিত্রকল্প
আঁধারের অদ্ভুত প্রকৃতি ভেঙে ভেঙে জোড়ালাগে
ফের অবুঝ জলের মতো অন্তহীন, অতলান্ত
কে যেন বাজায় বাঁশি দূরে
মাঝরাতে হঠাৎ জলের ভেতর লাফিয়ে পড়ে
চাঁদ
জলের মহিমা জ্বলে জলে, চাঁদ তুলতে চাঁদের
বদলে উঠে আসে যে
সে তো তুমি শূন্য, নিজেরই বিদীর্ণ ছায়া
শোনা হলো না আর সে সুরের ক্লাসিক
স্তব্ধতার কোলাহলে খসে পড়ে গহীন সৌন্দর্য
স্বপ্ন-২০১৮
রহমান মুজিব
মাটিপত্রে পড়ে আছে ধূলির মিনিক্যাট
স্মারক পথে চলে গেছে অবিচল আর অবদমন
আর রেখে গেছে বুকে নক্ষত্রপোড়া কফিনের প্রস্থান।
ইতিহাস জানে, দূর এলাচের গন্ধে এখন ধ্যানমগ্ন নিমজীবন
শুধু মুদ্রার ছায়াপথ পকেটবন্দি করে রাত্রির শিবির
শুধু একাকী নিঃশ্বাস ছায়া-কঙ্কাল হতে তুলে নেয় শোকের শিকার
তবু নার্সিংহাতের সুশীল রেখায় পৃথিবীর মানচিত্র একদিন
সুশীল আর্কেষ্ট্রার আশ্রয় হয়ে পাখিপ্রাণে বাজাবে ধ্রুপদী সুর
ডিলেট হবে মনের কদর্য কার্বন, মানুষের যৌথ স্বপ্নের আবাদ
ফুটে উঠবে নক্ষত্র কাদায়।
ক্লান্ত কৃষক
শরীফ সাথী
ক্লান্ত কৃষক
সবে মাত্র গরু দু’টো
হালচাষের ইতি টানলো।
লাঙল ফলার ঢেউ খেলানো মাটি
খাঁটি ভাঁজ ফেলে
মমতা ছড়াচ্ছে।
মায়াবী চাদর বিছানো
অপরূপা এমন দৃশ্য..
কলের হাওয়ায় লুকিয়ে
স্মৃতির ফ্রেমে আবদ্ধ।