ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দিলরুবা শাহানা

গল্প ॥ কলোনি ছিল না

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৩ নভেম্বর ২০১৭

গল্প ॥ কলোনি ছিল না

ইরিনা সোভিয়েত উক্রাইনের (যদিও ইংরেজীতে লেখা হয় ইউক্রেইন মূল ভাষায় বলা হয় উক্রাইন) খারকোভ শহর থেকে এসেছে। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ইরা খারকোভ নামের ওই শহরের এক ফ্যাক্টরির ডিরেক্টর ছিল। এই দেশে এসে নতুন বিদ্যা কেশবিন্যাস শিখেছে। ধীরে ধীরে সে এখন ভাল একটি হেয়ারড্রেসিং দোকানের মালিক। তার কর্মী সংখ্যা হবে আট নয় জন। তার লিডারশিপ ক্ষমতা বেশ সহজাত। নিজ দেশ উক্রাইনে যেমন ছিল কারখানার পরিচালক এখানেও সে নিজ ব্যবসার মালিক-পরিচালক। প্রায় পাঁচফুট সাতআট ইঞ্চি লম্বা স্বাস্থ্যে ও সুষমায় ভরপুর প্রাণবন্ত মাঝবয়সী রুশনারী (যদিও উক্রাইন থেকে এসেছে তবে জাতিতে সে ‘রুস্কাইয়া, নিউক্রাইনকা’) ইরা। খুব যত্নে আমার মাথা ধোয়ানো শেষে ভিজা চুলে যখন তোয়ালে জড়াচ্ছিল আমি ওকে আচমকা এক প্রশ্ন করে বসলাম ‘তোমার কি বিরক্তি লাগছে?’ ‘নাহ্ কেন?’ দ্বিধা নিয়ে বললাম ‘মানে বলছিলাম কি এই যে তুমি এতো আন্তরিকভাবে আমার চুল ধুয়ে দিয়েছ, বাদামী চামড়ার এশিয়ান, কালো চামড়ার আফ্রিকান মানুষও তোমার কাস্টমার তাই ইচ্ছে হলো জানতে নানা জাতের নানা বর্ণের মানুষের চুলের যতœ করতে তোমার খারাপ লাগে কিনা; ‘খারাপ লাগার কি আছে? সাদা কাল তাতে কি মানুষতো সবাই; তাই না?’ ‘শোন আমি দেখেছি বিলাত আমেরিকায় কখনও কখনও অনেক সাদা মানুষই কালো ও বাদামী চামড়ার মানুষের দিকে কেমন বিতৃষ্ণা নিয়ে তাকায়, তাদের আচরণে অবজ্ঞা মেশানো থাকে তাই কথাটা বলা।’ ‘শোন রাশিয়ার কখনও কলোনি ছিল না’ ‘তো?’ ‘তাই তারা কোনদিন কলোনির প্রভুর চোখে বাকি সব মানুষদের দেখতে শিখেনি; যার ফলে একদল আরেক দলকে ঘেন্না করার অভ্যাসটাই গড়ে উঠেনি। আরেকটা বিষয়ও সত্য কলোনির বাসিন্দারাও সাদাদের ভাল চোখে দেখে না, অবশ্য এই না দেখার পেছনে কারণ হলো কলোনির বাসিন্দাদের প্রতি কলোনির মালিকদের দীর্ঘদিনের অত্যাচার ও অপমান করার জঘন্য ইতিহাস।’ ওর কথাটা আমাকে ভাবতে বাধ্য করল। আমি রাশিয়াতে (সঠিক হবে বলা তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে) পড় শোনার সুযোগ পেয়েছিলাম তখন তেমন কোন বর্ণবিদ্ধেষ চোখে পড়েনি ওখানে। বাকি দুই দেশে কালো ও বাদামী চামড়ার মানুষের প্রতি কোন কোন সাদা মানুষের (সব সাদা মানুষের নয়) বিতৃষ্ণা ও অবজ্ঞা লক্ষ্য করেছি। একবার আমেরিকান এয়ার লাইন্সের নিউইয়র্কের জেএফকে এয়ারপোর্ট থেকে লন্ডনের হিথরোগামী প্লেনে যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল সেটা মনে পড়ল। প্রথমত: আমি চেয়েছিলাম ননস্মোকিং জোনে সিট, তখন প্লেনে সিগারেট খাওয়া যেত। প্লেনে ঢুকে বসতে গিয়ে দেখি আমার সিট আটাশ নম্বর সারিতে। পরের সারি উনত্রিশ নম্বর থেকেই শুরু হয়েছে স্মোকিং জোন। বিশাল প্লেনের আগের সারিগুলোতে অনেক সিটই খালি রয়েছে দেখলাম। আমি বিরক্তি নিয়ে আমার নিজের সিটে গ্যাট হয়ে বসে নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন নন-স্টপ উড়াল যাত্রায় আরও কিছু বিষয় খেয়াল করলাম। সাদা মানুষ বোতাম টিপে হোস্টেসকে ডেকে কিছু চাইলে চট্ করে এনে দিচ্ছে, একজন সাদামাটা নিরীহ এশিয়ান (উপমহাদেশীয় অর্থাৎ ভারত পাকিস্তান-বাংলাদেশ এর কোন একটির হবে) মহিলা পানি চেয়ে তিন তিনবার বোতাম টিপলেন, হোস্টেসও আসলো, শুনলোও। তারপর উধাও হয়ে যায়। পানি নিয়ে আর ফেরত আসে না। প্লেনে মানুষ ডিহাইড্রেটেড হয় খুব, তাই পানি পিপাসা পাওয়া খুব স্বাভাবিক। চতুর্থবার আমি বোতাম টিপলাম। হোস্টেস এলো। সিট নিয়ে বিরক্তি তো ছিলই আমার সে কারণে বোধহয় গলা চড়িয়ে কেটে কেটে জানতে চাইলাম ‘হোয়াটস্ রং উইথ ইয়োর আমেরিকান এয়ারলাইন্স?’ বলেই আমি থামলাম তটস্থ বিব্রত গলায় সে বলল ‘সরি’ ‘লুক, দ্যাট লেডি থ্রি টাইমস আস্কড্ ফর ওয়াটার বাট শি ওয়াজেণ্ট সার্ভড?’ আমার ধীরস্বরে উঁচু গলায় চিবিয়ে চিবিয়ে বলা কথায় আশপাশের সবাই সতর্ক চোখে তাকাল। সবার দৃষ্টিবানে ম্রিয়মাণ হোস্টেসটি কেমন নার্ভাস গলায় বলল ‘সরি, প্রবাবলি হার ইংলিশ ওয়াজ... ওকে থামিয়ে দিয়ে বললাম ‘লিসেন্ তুমি আমার ইংলিশ বুঝতে পারছো তো? ‘তোমারটা ফাইন ম্যাম’ ‘সেও আমার মতোই বলেছে, আর শোন প্যাসেঞ্জারের মুখের কথা যদি বুঝতে কষ্ট হয় তবে হোস্টেস হিসাবে কাজ করা কি উচিত?’ আমার প্রশ্নের বানে বিদ্ধ হয়ে সে ‘সরি, সরি এখনই পানি নিয়ে আসছি’ বলেই ছুটল। পানি নিয়ে যখন ফিরল মেয়েটি পেছন পেছন ওর বসও আসল। আমাকে বস বলল ‘এই ইনসিডেন্সের জন্য আমরা রিয়েলী সরি! তুমি কি কমপ্লেন করবে?’ ‘নাহ্ তবে আমি ফ্রি-ল্যান্স রাইটার এটা নিয়ে হয়তো পেপারে লিখতে পারি’ ওর মুখ ভীত দেখাল। পেপারে লেখালেখি হলে ওদের পেটে লাত্থি পড়বে তাই ওরা ভয় পায়। যাই হোক হিথরো এয়ারপোর্টে সেবার আট ঘণ্টা ট্রানজিট লাউঞ্জে থাকতে হয়েছিল। ভাবছিলাম আবারও হয়তো সিগারেটের ধূয়া সহ্য করতে করতে ঢাকায় ফিরব। হঠাৎ দেখি পরিচিত চেহারা। শিরিন হক তার ছোট্টবাবুকে (যদ্দুর মনে পড়ে ওর ছেলের নাম বারিশ) বুকে ঝুলিয়ে হেঁটে হেঁটে আসছে, পেছনে ওর স্বামী গণস^াস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা স্বনামধন্য ড. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরীও। ওদের সঙ্গে কথাটথা হলো। জানলাম ওরা দিল্লীতে নেমে যাবে। কথার মাঝে নিউইয়র্ক থেকে সিটটা স্মোকিং জোনের কাছে থাকার বিষয়টাও উঠল। জাফরুল্লাহ্ ভাই চমৎকার বুদ্ধি দিলেন। বোর্ডিংপাস নেওয়ার সময় মেয়েটিকে জানালাম ‘আমার সিটটা স্মোকিং জোন থেকে যত দূরে সম্ভব দিতে হবে কারন ধূয়াতে আমার ব্রীদিং প্রবলেম হয়’ মেয়েটি চোখ বড় করে আমাকে দেখল। বোর্ডিংপাস লিখতে লিখতে বলল ‘একবার এক যাত্রীর এ্যাজমার কারণে মাঝ পথে প্লেন নামাতে হয়েছিল’। এ্যাজমা যে এতো বড় এক বিষয় আমার জানা ছিল না। ডাক্তার মানুষ তো তাই বুদ্ধিটা রোগ বিষয়ক এবং একেবারে জিনবশ করার শক্ত মন্ত্র বা দোয়ার মতো কাজ করেছিল। এখন তো প্লেনে সিগারেটই নিষেধ। এবার ইরিনার কথায় ফিরি। ওদের দেশে সেই সময়ে মার্কস লেনিনের মানবমুখী নীতি চর্চার ফলে মানুষকে অবজ্ঞা-অবহেলা-অপমান করার প্রবণতাটা ছিল না। তবে অন্য চামড়ার মানুষকে প্রথম দেখলে বিস্ময় আর কৌতূহল যে হতো না তা নয়। স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা ঘৃনা নয় অবশ্যই। তেমনি এক কৌতূহলী বাচ্চা মেয়ের কা- শুনে আমরা খুব হেসেছিলাম। এক এগ্রিকালচারাল কালেক্টিভ ফার্মে নানান দেশের ছাত্ররা এক্সারসনে গিয়েছে। ঐ এলাকার মানুষ আগে কখনও কালো বা বাদামী চামড়ার মানুষই দেখেনি। ছোট্ট একটি মেয়ে শেষ পর্যন্ত কৌতূহল মিটানোর জন্য চট্ করে মায়ের হাত ছেড়ে ছুটে এসে একজন ভিনজাতি মানুষের হাতের পিঠে আঙ্গুল ঘষে আঙ্গুলটাতে গায়ের রং উঠে এসেছে কিনা দেখছিল। তখনকার ইরার দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নে জৌলুসের ছড়াছড়ি ছিল না ঠিকই তবে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব দ্রব্যাদি ও বাস-ট্রেন- প্লেনের ভাড়া ছিল খুব সস্তা। সবচেয়ে বড় কথা সবারই জন্য শিক্ষা ও চিকিৎসা ছিল নিশ্চিত। তবে হাস্যকর হলেও দাঁতমাজার জন্য ভাল টু পেস্ট, গায়ে মাখার ভাল সাবান, চুল ধোয়ার ভাল শ্যাম্পু ছিল না। রাষ্ট্রের একদিকে সাবমেরিন, কালাশনিকভ, মহাশূন্যযান, পরমাণু বোমা বানানোর অসাধারণ দক্ষতা থাকলেও ভাল টুথপেস্ট, গায়ে মাখার ভাল সাবান ও শ্যাম্পু তৈরির চেষ্টা ছিল না। অন্যদিকে ব্যক্তিগতভাবে কেউ উদ্যোগী হয়ে কোন কিছু উৎপাদন করার উপায় ছিল না। কারণ সমষ্টির স্বার্থে ব্যক্তিমালিকানা পুরোপুরি উচ্ছেদ করা হয়েছিল। এক কথায় জুতো সেলাই থেকে চ-ীপাঠ বা আল্লাহ্ থেকে ইবলিশ সবার কাজ রাষ্ট্রকেই দায়িত্ব নিয়ে করতে হতো। জনসাধারণের জন্য শিক্ষা, চিকিৎসার নিশ্চয়তা ও কর্মসংস্থান করার পর এবার রাষ্ট্র সমরাস্ত্র বানাবে নাকি জনগণের জন্য ভাল টুথপেস্ট, ভাল সাবান, ভাল শ্যাম্পু বানাবে? কোনটা করবে? ভেবেচিন্তে অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে রাষ্ট্র শেষে সমরাস্ত্র বানানোই বেছে নিয়েছিল। সীমিত আকারে ও রাষ্ট্রের গভীর পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে রেখে ব্যক্তি উদ্যোগকে অনুমোদন ও উৎসাহ দিলে হয়তো বা উদ্যোমী মানুষেরাই সাবান-শ্যাম্পু- টুথপেস্ট বানাতে পারতো, মানুষের প্রয়োজনও মিটতো সবচেয়ে বড়কথা রাষ্ট্রকে তুচ্ছ বিষয়ে মাথা ঘামাতে হতো না। ইরার সঙ্গে এসব নিয়ে কোন কথা বলিনি, বন্ধুমানুষ পাছে কষ্ট পায়। মানুষ কথা বলতে পারতো না, কথা বলার স্বাধীনতা একেবারেই ছিল না বিষয়টা একশত ভাগ সত্যি নয়। সেই সময়েই পড়েছি ও দেখেছি ওদের কমসোমলস্কায়া প্রাভদা পত্রিকাতে (তরুণদের পত্রিকা) তরুণরা প্রশ্ন তুলেছে, তর্কবিতর্ক করেছে যে তাদের দেশে যখন চুইংগাম, জিন্সের (র‌্যাংলার, লিভাইস আর টেক্সাস জিন্সের জন্য পাগল ছিল তখন ওরা) মতো সাধারণ জিনিস পাওয়া যায় না তখন তারা কেন মহাশূন্য অভিযানে এতো এতো অর্থ খরচ করছে। ব্যক্তিমালিকানা উচ্ছেদ হলেই মানুষের সার্বিক মঙ্গলসাধন সম্ভব এই চিন্তা থেকেই শ্রেণীহীন সমাজের স্বপ্ন দেখা। সোভিয়েত সমাজব্যবস্থা, ব্যক্তি নয় সমষ্ঠির মঙ্গলে ব্রত এক সমাজব্যবস্থা। সে ব্যবস্থা ১৯৯২ নাগাদ ভেঙ্গে পড়ল। সেই সময় ১৯৯৩-এ এপ্রিল মাসের কোন এক সংখ্যায় ‘সানন্দা’ পত্রিকার সম্পাদিকা চিত্রশিল্পী ও গুণী চিত্রনির্মাতা অপর্ণা সেন তার সম্পাদকীয় কলামে লিখেছিলেন ‘সমাজতন্ত্র ভেঙ্গে গেল মানুষের ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধে ওঠার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল।’ বাক্যটি অসম্ভব সুন্দর অস্বীকার করা যাবে না। তবে প্রতিটি মানুষ এক নয় এবং সবাই স্বার্থত্যাগেও প্রস্তুত নয়। আসলে মানুষই প্রথম যখন পাথর ঘসে হাতিয়ার বানাল সেটিই হলো তার একান্ত নিজস্ব সম্পত্তি। তা দিয়ে সে আত্মরক্ষা করে, আস্তানা রক্ষা করে, পশুপাখি বধ করে নিজের খাদ্য জোগায়। যে কোন অবস্থাতে সে তার হাতিয়ারটি হারাতে রাজি নয়। এই হাতিয়ার মানুষের অদম্য উদ্যমের ফল। সমাজতান্ত্রিক সমাজ সব মানুষের প্রয়োজন মিটাতে তৎপর ছিল তবে মানুষের একান্ত নিজস্ব উদ্যমকে উৎসাহিত করার বিষয়টি নিয়ে ভাবেনি। অন্যের ক্ষতি না করে, অন্যকে শোষণ না করে নিজস্ব উদ্যম ও উদ্যোগে মানুষের নিজস্ব কিছু অর্জনের সুযোগ যদি থাকত সমাজতান্ত্রিক সমাজে তবে হয়ত এই সমাজব্যবস্থা অন্যমাত্রা পেত। অনেক কামান-গোলা-অস্ত্র তৈরি হয়েছিল সাম্যের দেশ ও সাম্যের সমাজ রক্ষার তাগিদে। সে সমাজব্যবস্থা ভেস্তে গেল। যে রাষ্ট্র, যে সমাজ একদিন ছিল মানুষের কা-ারী আজ সে রাষ্ট্র অস্ত্রের কারবারী। শোনা যায় সিরিয়ার অগণতান্ত্রিক শাসক আসাদের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র ফেরি করে বেড়ায় এককালের সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া! ইরিনাকে এর কিছুই আমি বলিনি পাছে ও কষ্ট পায়। ওর ভাষাটা জানি বলে প্রয়োজনে ইংরেজীতে লিখা নানান ডকুমেন্ট বুঝিয়ে দিতে বলে। একবার ইমিগ্রেশন বিভাগকে ওর পক্ষ হয়ে কড়া যুক্তি দিয়ে একটি চিঠি লিখে দিয়েছিলাম ওতে ওর খুব উপকার হয়েছিল। তাতে সে ভীষণ খুশি। চুলচর্চা শেষ হলো। ওর কিছু তথ্য জানার ছিল, আমার জানা বিষয়গুলো বুঝিয়ে বললাম, বাকিটা অন্যকোন সূত্র থেকে ওকে জানতে হবে। বিদায় মুহূর্তে ও গভীর আন্তরিকতা মিশিয়ে মজা করে বলল ‘এই যে ঈসেনিনের শাগানে তোমাকে ধন্যবাদ’। ঈসেনিনের কথা ভেবে মনটা বিষনড়ব হল। রুশ কবি সের্গেই ঈসেনিন। অবাক হতাম যখন অনেক রুশ লোক আমার নাম শুনে বলতো ‘আহ্ হা! এতা ঈসেনিন নাপিসাল আ তিবিয়ে ‘শাগানে তী মাইয়া শাগানে’ (ওহ্ হো! ঈসেনিন তোমাকে নিয়েই লিখেছে শাগানে তুমি আমার শাগানে)’। ঈসেনিন ইতিকথা আরেকদিন শোনা যাবে।
×