ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

ড. এবিএম আব্দুল্লাহ, ;###;মোল্লা মোঃ মিজানুর রহমান, কৃষক;###;মোঃ বখতিয়ার রহমান

পাট থেকে পলিথিন

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১৮ জুলাই ২০১৭

পাট থেকে পলিথিন

(১১ জুলাইয়ের পর) পাট একটি বহুগুণে গুণান্বিত প্রাকৃতিক তন্তু। কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এটার প্রধান রাসায়নিক উপাদান। এটা একটি লিগনোসেলুলোজিক ফাইবার। সেলুলোজ, হেমিসেলুলোজ, লিগনীন এটার প্রধান উপাদান। এটার গুণাগুণ ও ধর্ম মূলত ওপরে উল্লিখিত উপাদানগুলোর সমন্বয়ে গঠিত হয়। একসঙ্গে এটা শক্ত ও নরম তন্তুর এর গুণসম্পন্ন। সেলুলোজের অধিকতর কারণে এটা কটনের সমতুল্য, তেমনিভাবে লিগনীনের উপস্থিতির কারণে এটা কাঠের গুণাগুণ সম্পূর্ণ। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, গত ১০০-১৫০ বছর ধরে শুধু এটার ভিসকোইলাস্টিক গুণের কারণে (টানলে কম বাড়ে) এর কারণে পরিহন ও প্যাকেজিংয়ের কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। পাট ও পাটপণ্যের বিকল্প এবং বহুমুখী ব্যবহারে ক্ষেত্রে, দেশ-বিদেশে গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কর্মকা- গত শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে সূচনা হয়। পাটের অন্তু ও বহিমুখী গুণাবলী সম্বন্ধে অবগত হয়। পাট তন্তুর ফিজিক্যাল, কেমিক্যাল, মেকানিক্যাল গুণাগুণ বিশ্লেষণে এটা একটি বহুগুণাগুণসম্পন্ন আঁশ হিসেবে স্বীকৃত। যদিও গত প্রায়ই ১৫০ বছর পরিবহন ও প্যাকেজিং সামগ্রী হিসেবে উপওে উল্লিখিত প্রচলিত পাটপণ্য বাণিজ্য ব্যবহার হয়ে আসছে। পাট ও পাটপণ্যের বিকল্প এবং বহুমুখী ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশে গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কর্মকা- গত শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে সূচনা হয়। পাটের অন্ত ও বহির্মুখী গুণাবলী সম্বন্ধে অবগত হয়। পাট ও পাটপণ্যের বায়োডিগ্রেবেল, ফটোডিগ্রেবল, র্থামালডিগ্রেবল, নন-প্লাস্টিক, নন-টক্সিক, হাইড্রোফিলিক, এ্যানাইনিক, এ্যাসিডিক, লেস এক্সটিনসেবল,হাই ময়েশ্চার এবং ইউভি এবজরভিং ক্যাপাসিটি, ভিসকো ইলাস্টিক, কমোপজিট, হাইমডুল্যাস, মোর ক্রিস্টিলাইন-সেলুলোজিক প্রাকৃতিক তন্তু হিসেবে স্বীকৃত। উপরে উল্লিখিত গুণাগুণের ভিত্তিতে আনুভূমিক ও উল্লম্বিক পন্থায় পাটের বহুমুখী পণ্য উদ্ভাবনের জন্য ব্যাপক গবেষণা ও উন্নয়ন ঘটে। বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপ ও আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হচ্ছে এবং নিত্যনতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে। অতীতে শুধু মেকানিক্যাল কনভার্সনের মাধ্যমে প্রচলিত পাটপণ্য শিল্প গড়ে উঠেছে। কেমিক্যাল, বায়োকেমিক্যাল এবং মেকানিক্যাল কনভার্সনের সমন্বয়ে নতুন নতুন বহুর্মুখী পণ্য উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ব্যাপক গবেষণা চলছে। তবে এই গবেষণা প্রয়োজনের তুলনায় কম। ২০০২ সালে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার জেডিপিসি) প্রতিষ্ঠার পর পাটের তন্তু, সুতা ও ফ্যাব্রিক প্রক্রিয়াতে প্রাথমিকভাবে ২৩২টি বহুর্মুখীপণ্য চিহ্নিত করে এসবের উৎপাদন পদ্ধতি প্রক্রিয়া প্রয়োগের মাধ্যমে শিল্প স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। বর্তমানে যে প্রক্রিয়ায় আমাদের দেশে (ঈযধৎপড়ধষ) উৎপাদন করা হচ্ছে এতে প্রচুর পরিমাণে গ্রীন হাউস গ্যাস (এঐএ) উৎপাদনের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ সৃষ্টি হচ্ছে, ফসল উৎপাদন কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুসে ক্যান্সারসহ নানা রকম রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাট/পাটকাঠি/ পাটকলের বর্জ থেকে চারকল/ ব্লাক কার্বন/ এক্টিভেটেড চারকল/কার্বন ফাইবার উৎপাদনের সব চেয়ে সহজ ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি হল ডেসট্রাক্টিভ ডিসটিলেশন (চুৎড়ষুংরং), যদি এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তবে এক দিকে উৎপাদন খরচ ও পরিবেশ দূষণ কমবে এবং অন্যদিকে শক্তি উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের মূল্যবান বাইপ্রডাক্ট উৎপাদন করা সম্ভব হবে। ডেসট্রাক্টিভ ডিসটিলেশনের মাধ্যমে চারকল/ কার্বন / কার্বন ফাইবার ইত্যাদির সঙ্গে বিভিন্ন রকম বাই প্রডাক্ট যেমন : মিথেন, ইথেন ইত্যাদি তৈরির চিন্তা অবশ্যই ফেলে দেয়ার মতো না। আমাদের পাট গবেষণাগারে এই প্রযুক্তিটি বর্তমান আছে, লেখক সরাসরি এই প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পাট কাঠিতে হলো- সেলুলোজ, আলফা সেলুলোজ, পেন্টোস্যনস, লিগ নীনস, এক্সট্রাক্টিভস ও এ্যাসের পরিমাণ যথাক্রমে ৭২.৭০, ৪০.৮০, ২২.১০, ২৩.৫, ১.৯ ও ১.০০ % ও পাট তন্তুতে হলো- সেলুলোজ, আলফা- সেলুলোজ, পেন্টোস্যানস, লিগ নীনস, এক্সট্রাক্টিভস ও এ্যাসের পরিমাণ যথাক্রমে ৮০-৮২, ৬০-৬২, ২২, ১২-১৩,—,০.৭-১.২ %। কাঠ জাতীয় গাছ থেকে ডেসট্রাক্টিভ ডিসটিলেশনের মাধ্যমে চারকল, অশোধিত এ্যালকোহল, অশোধিত এসিড, ট্যার অয়েল, গ্যাস, পানি, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, মিথেন, আনসেসুরেটেড হাইড্রোকার্বন, এ্যাসিটিক এ্যাসিড, এতাসিটন, মিথাইল এ্যাসেটেট, ফারফুরাল ইত্যাদি পাওয়া যায়। তবে পাট কাঠি থেকে এ্যালিফ্যাটিক (মিথেন/ হাইড্রোকার্বন) থেকে পলিইথিলিন তৈরি করা যেতে পারে, তবে ওটা কতুটুকু যুক্তিসঙ্গত হবে তা বলা কঠিন। এখানে বিশেষ কবে উল্লেখযোগ্য যে ১ কম পাটকাঠি থেকে ৪ হাজার কপধষ শক্তি উৎপাদন হলে ৩০ লাখ টন পাটকাঠি থেকে কি পরিমাণ শক্তি উৎপাদন করা যায় তা চিন্তার বিষয়। জুট জিওটেক্সটাইল প্রযুক্তি আজ বিশ্বব্যাপী গ্রীন টেকনোলজি হিসেবে স্বীকৃত। ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ প্রকল্পের মধ্যমে সড়ক, জনপথ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় সরকার দফতর, বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী, বিজেআরআই, বুয়েট, বিজেএমসি, জনতা জুট মিলের সমন্বয়ে ও জেডিপিসি সাফল্যজনকভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে পাটের বহুল ব্যবহারের নতুন দ্বার খুলেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সম্মুখের রাস্তা, নরসিংদী মেঘনার চর, হাতিরঝিল প্রকল্প, পদ্মা সেতু প্রকল্প ব্যবহার করে পৃথিবীর নজরে উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে পাটকে বিশ্বমাত করেছেন অনেকে, তাদের মধ্যে অধ্যাপক ড. জব্বার খান, মেজর জেনারেল আবু সাঈদ, ব্রিগেডিয়ার মাহি, কর্নেল খিজির ও মেজর ফেরদৌস উল্লেখযোগ্য। বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম পাটের জিন বৈচিত্র্য আবিষ্কার করে পাট গবেষণার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। আশা করি, প্রডাক্ট ওরিয়েন্টেড ভেরায়টাল ডেভেলপমেন্টের (চৎড়ফঁপঃ ঙৎরবহঃবফ ঠধৎরবঃধষ উবাবষড়ঢ়সবহঃ) মাধ্যমে অচিরেই সহজে কটন টেক্সটাইল এর পরিবর্তে পাট ব্যবহার করে টেক্সটাইলস থেকে কা¬থিংসহ ফাংশনাল টেক্সটাইলস/মেডিসিনাল টেক্সটাইলস/এনজাইম টেক্সটাইলস/প্রটেক্টটিভ টেক্সটাইলস/কসমেটিক টেক্সটাইলস তৈরি করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট অন্যতম প্রাচীন গবেষণা ইনস্টিটিউট, যার ঢাকা প্রধান কেন্দ্র এবং মানিকগঞ্জ কেন্দ্রে কৃষি খামারসহ রংপুর, যশোর, দিনাজপুর, কিশোরগঞ্জ, চান্দিনা, ফরিদপুর, কুয়াকাটা আঞ্চলিক কেন্দ্রসহ দেশের সর্বত্র পাটের কৃষি গবেষণার জন্য ব্যবস্থা আছে। গবেষণার জন্য মন্ত্রণলায় সমস্য নয় প্রয়োজন বাস্তব ধর্মী কর্মসূচী, প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা, উন্নতমানের গবেষণা। আমাদের নতুন প্রজন্ম অত্যন্ত সৃষ্টিধর্মী ও কর্মতৎপর। তাদের কাজে সংশ্লিষ্ট করা আমাদের কর্তব্য। পাট গবেষণা বিভক্তি না করে ফাইবার রিসার্স ইনস্টিটিউট সংগঠিত করা যা আমাদের টেক্সটাইলস / জিওটেক্সটাইলস / জুট জিওটেক্সটাইলস সব ফাইবারভিত্তিক আধুনিক গবেষণার নিমিত্তে প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। তবে দুঃখের বিষয় আমাদের দেশে অনেক সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কিন্তু কোথাও গবেষণার কোন সূচনা হয়ে ওঠেনি। পাটক্ষেত্রে গত ১০০ বছরের গতিধারা বিশ্লেষণে সহজে বোধগম্য হচ্ছে যে তৃত্বীয় একটি অদৃশ্য শক্তি যা ওপরে উল্লেখ করা হয়েছে, পাটের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে এবং উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। বিদেশে পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ে গবেষণা উল্লেখযোগ্য। জার্মানি, জাপান, সুইডেন ও কানাডায় গবেষণা চললেও, পাটের বিষয়ে শুধু পিএইচডি ডিগ্রী চালু আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিছু কিছু গোষ্ঠী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ফান্ডের টাকার জন্য নানাবিধ ‘গ্রীন টেকনোলজির’ দোহাই দিয়ে অনেক কার্য করছে যেমন: ক্যাটালিস্ট (ঈধঃধষুংঃ), ফেয়ার ট্রেড (ঋধরৎ ঞৎধফব), জুট ব্লগ (ঔঁঃব ইড়ষড়ম), ইউরো জুট (ঊৎঁ ঔঁঃব) ইত্যাদি। অনেকে কথা বলে জানি না কতটুকু সত্য, অতীতের মতো কোন গোষ্ঠী নিজের স্বার্থের জন্য এ রকম করতে পারে। আমাদের দেশে পাট নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে, এর সঙ্গে সঙ্গে পাটকগুলোর যেমন: আদমজী বন্ধের ওপর একটা গবেষণা হওয়া দরকার বিশেষ করে আর্থ-সামাজিকভিত্তিক। অনেকে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের অবদান সম্বন্ধে নেতিবাচক, অথচ অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে, স্বল্প সময়ে কৃষি ক্ষেত্রে প্রায় ৪০-৫০টি নতুন উন্নত মানের পাটের জাত উদ্ভাবন, কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে একরপ্রতি ফলন ১.৫ থেকে ২-৩ টন উন্নীতকরণ, ঋঁহফধসবহঃধষ, অঢ়ঢ়ষরবফ, ঋরবষফ ঙৎরবহঃবফ অমৎড়বপড়হড়সু ওপর আধুনিক কৃষি সম্প্রসারণ সিড, রিবন রেটিং (জরননড়হ জবঃঃরহম) বিষয়ে প্রযুক্তি আনয়ন ইত্যাদি এই ইনস্টিটিউটেরই অবদান। তেমনিভাবে শিল্প প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অগণিত অবদান রেখেছে। পাটের ভৌতিক, রাসায়নিক, জীব রাসায়নিক, অনুরাসায়নিক, রঞ্জন ও কারিগরি গবেষণা ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে অনেক অবদান রেখেছে। পাট তন্তু, পাট সুতা, পাটবস্ত্র বিষয়ের ওপর এবং তাদের গুণগত উন্নয়ন ও বহুমুখী ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক অবদান রেখেছে। পাটের রাসায়নিক শ্রেণী বিভাগ, পাট পণ্য ও পাট তন্তুর ভৌতিক ও কারিগরি গুণাগুণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য তথ্য ও তত্ত্ব¡ আবিষ্কার করে তার নতুন নতুন ব্যবহারের দিগন্ত উন্মুক্ত করেছে। নবসেল তন্তু, নবটেক্স সুতা ও বস্ত্র, পাটুউল ও পাটের কম্বল, বিভিন্নভাবে রঞ্জিত ও ছাপান পাটবস্ত্র, পাট সুতা, অগ্নিরোধী ও ক্ষয়রোধী পাটবস্ত্র, পাট/পাটকাঠি/পাট বর্জ্য/পাটপাতা/পাটমূল/পাটবীজের তেল থেকে বিভিন্ন রকম রাসায়নিক দ্রব্য যেমন: এক্টিভেটেড চারকল, মাইক্রোক্রেস্টালাইন সেলুলোজ (Microcrystalline Cellulose), সিএমসি (CMC), সেলুলোজ এ্যাসিটেট (Cellulose Acetate), সেলুলোজ নাইট্রইট (Cellulose Nitrite), রেয়ন (Rayon), ইত্যাদি সেলুলোজ ডেরিভেটিভস (Cellulose derivatives) উৎপাদনের প্রযুক্তি আবিষ্কার, পাটের বিভিন্নভাবে ব্লিচিং (Bleaching), ডায়িং (উুবরহম), ফিনিশিং (ঋরহরংযরহম) করার প্রযুক্তি উবণ, ফোটস্টাবল ডায়িং (চযড়ঃড়ংঃধনষব ফুবরহম), ব্লিচিং, সালফোনেশন (ঝঁষঢ়যড়হধঃরড়হ), মিহি তন্তুসহ বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনের অন্ত ও বহুমুখী ব্যবহারের দিগন্ত উন্মোচন করেছে। মূলত পাটের Photostability, Thermal-stability, Bio-stability, Non-Toxicity, Acidity, High Water & UV absorbing property, Less Extensibility, Highly Crystallinity & Viscoelastic properties-এর জন্য এটা একই সঙ্গে Hard & Soft fibre based product-এ রূপান্তর করা সহজ। তাই ঈড়সঢ়ড়ংরঃব ্ ঋষবীরনষব নড়ঃয ধিুং সড়ফরভরপধঃরড়হ-এর মাধ্যমে কাঠ, প্লাস্টিক, মেটাল, গ্লাস, ফাবারের বিকল্প হিসেবে নতুন নতুন দ্রব্য যেমন: ড়িাবহ-হড়হ ড়িাবহ, ঈড়সঢ়ড়ংরঃব-হড়হ পড়সঢ়ড়ংরঃব, ঋষবীরনষব- হড়হ ভষবীরনষব, ঝবহফঁংরুবফ, ঊহপধঢ়ংঁষধঃবফ পদ্ধতিতে বিচিত্র রকমের দ্রব্যসামগ্রীর বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব। চীনারা ইতোমধ্যে এ ধরনের দ্রব্যসামগ্রীর উৎপাদন শুরু করেছে। তাই মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে দেশে গতিশীল পাট গবেষণা উন্নয়ন ক্ষেত্রে নিত্য নতুন গবেষণার জন্য আধুনিক ঋরনৎব জবংবধৎপয ওহংঃরঃঁঃব এর বিকল্প নেই। প্রচলমান গবেষণা ওহংঃরঃঁঃব-কে গতিশীল ও আধুনিকায়ন করতে হবে। (সংক্ষেপিত)
×