ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জন্মদিন রাঙালেন ডি মারিয়া, কাভানি

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

জন্মদিন রাঙালেন ডি মারিয়া, কাভানি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এরচেয়ে সোনায় সোহাগা আর কি হতে পারে। একে তো ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এই দিনেই আবার জন্ম এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ও এডিনসন কাভানির। স্মরণীয় এ রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলে নকআউট পর্বে পরাশক্তি বার্সিলোনার মুখোমুখি হয়েছিল পিএসজি। কাতালানদের রীতিমতো কাঁদিয়ে ম্যাচটি ৪-০ গোলে জিতে নিয়েছে ফরাসী চ্যাম্পিয়নরা। এটি সম্ভব হয়েছে দুই ‘বার্থডে বয়’ মারিয়া ও কাভানির কল্যাণেই। আর্জেন্টাইন মারিয়া করেছেন দুই গোল আর কাভানি এক গোল। জন্মদিনের উপহার এরচেয়ে ভাল আর কি হতে পারে। মারিয়ার তৃপ্তিটা যেন আরও বেশি। ম্যাচের দিনকয়েক আগেই তিনি ঘোষণা দেন, হারাতে চান বার্সাকে। এ যেন ঘোষণা দিয়ে শত্রুকে ঘায়েল করা। সঙ্গত কারণেই প্রশংসায় সিক্ত হচ্ছেন আর্জেন্টিনার তারকা এই এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। দুর্দান্ত জয়ে উনাই এমারির পিএসজি টানা পঞ্চমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে। ম্যাচ শেষে জয়ের নায়ক ডি মারিয়া বলেন, জন্মদিনে বার্সিলোনার বিরুদ্ধে ৪-০ গোলের জয় সত্যিই অসাধারণ অনুভূতি। আমরা সবাই দারুণ খুশি। এটা সত্যিই দারুণ একটি ম্যাচ ছিল। সামনে এগিয়ে যেতে হলে আমাদের এমনই আরেকটি পারফর্মেন্স দেখাতে হবে। আমরা চার গোল করেছি। কিন্তু তারাও এই ধরনের ফলাফল আমাদের ফেরত দিতে পারে। বার্সিলোনা যে এভাবে হেরে যাবে তা হয়তো কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। এক বা দুই গোলে না, চার গোলের ব্যবধানে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ থেকে বিদায় প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গেছে কাতালানদের। শিরোপা জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে হলে এখন নতুন রেকর্ডই গড়তে হবে মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের। ২০১৩ ও ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লীগ কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সিলোনার কাছে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছিল পিএসজিকে। সেই হারগুলোর প্রতিশোধ এবার দারুণভাবেই নিয়েছে ফ্রান্সের শীর্ষ এই ক্লাবটি। যদিও বার্সিলোনার সামনে আছে ঘুরে দাঁড়ানর সুযোগ। দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে নিজেদের মাঠে তারা যদি ৫-০ গোলের ব্যবধানে জিততে পারে, তাহলে বার্সাই চলে যাবে শেষ আটে। কিন্তু সেটা করতে গেলে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়তে হবে ইউরোপের অন্যতম সেরা ক্লাবটিকে। কারণ চ্যাম্পিয়ন্স লীগের নকআউট পর্বে প্রথম লেগে ৪ গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর কেউই যেতে পারেনি পরবর্তী রাউন্ডে। কাজটা যে সত্যিই কঠিন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন বার্সিলোনা কোচ লুইস এনরিকে। তারপরও নিজেদের মাঠে শিষ্যদের কাছ থেকে স্বপ্নের মতো কোন পারফর্মেন্স দেখার আশা করছেন এই স্প্যানিশ কোচ। এনরিকে ম্যাচ শেষে বলেন, পিএসজি তাদের সেরা খেলাটা খেলেছে। আর আমরা খেলেছি সবচেয়ে বাজেটা। এখন আমাদের কাজটা হয়ে গেছে খুবই কঠিন। কিন্তু আমরা নিজেদের মাঠে তো একটা নায়কোচিত পারফর্মেন্স দেখাতেই পারি। স্বপ্ন দেখতে বাধা কোথায়? আমাদের ফুটবলাররা কয়েক বছর ধরেই দেখিয়েছে যে, তারা অসাধারণ ফলাফল নিয়ে আসতে পারে। আমাদের সুযোগ সত্যিই খুব কম। কিন্তু একটা সুযোগ তো সবসময়ই থাকে। বার্সিলোনা এরআগে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছিল ২০০৭ সালে। সেবার তাদের হারিয়েছিল ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে বার্সিলোনার জালে ৪ গোল দেয়া মাত্র ষষ্ঠ দল পিএসজি। এরআগে এই কৃতিত্ব ছিল এসি মিলান, ডায়নামো কিয়েভ, ভ্যালেন্সিয়া, চেলসি ও বেয়ার্ন মিউনিখের। পুরো ম্যাচে বার্সা পিএসজি’র গোলপোস্টে মাত্র একটি শট নিয়েছে। অন্যদিকে বার্সার গোলে ১০টি শট নিয়েছে পিএসজি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার, পিএসজি’র বক্সের মধ্যে একবারও নিজের পায়ে বল পাননি সময়ের সেরা তারকা লিওনেল মেসি।
×