ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সুনামগঞ্জকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষনা

প্রকাশিত: ০১:৫৭, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭

সুনামগঞ্জকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষনা

নিজেস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ ॥ সুনামগঞ্জকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষনা করা হয় আজ ১২ টা ২৫ মিনিটে একযোগে ১১ টি উপজেলার ২৯৯টি ভেনু থেকে। শহিদ আবুল হেসেন মিলনায়তনে এই ঘোষনা করেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সুনামগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায় একসথে ১লক্ষ ১৪ হাজার৩২৩ ছাত্র-ছাত্রী সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ৩ লক্ষাধিক জনগন একযোগে লালকার্ড দেখানো হয়। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ২০১৬ সালের ১৩ জানুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষনার যাত্রা শুরু করা হয় ছাতক উপজেলা থেকে। একে একে বাকি ১০ উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর তাহিরপুর উপজেলায় ১৫ হাজার ৮২৩ জন শিক্ষার্থীর উস্থিতিতে এই ঘোষনার মধ্য দিয়ে বাল্য বিবাহকে “লাল কার্ড” প্রদর্শন করা হয়। উপজেলা সদরের এসব অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ছাড়াও অভিবাবক, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, জিও এনজিও এর কর্মকর্তা কর্মচারির স্বঃর্তস্ফুর্ত উপস্থিতি ছিল লক্ষনিয়। এর আগে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষনা করা হয়। আয়োজকদের দাবি, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে এটি বিশে^ সর্ববৃহৎ জনসচেতনতামূলক “লাল কার্ড” প্রদর্শন অনুষ্ঠান হিসেবে “গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড” এ স্থান করে নেবে। “গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড সকল শর্ত মেনে এই আয়োজন করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সংবাদ সম্মেলনের মধ্যমে জানানো হয়েছে। শহীদ আবুল হেসেন মিলনয়তন হতে ১১টি উপজেলায় একযোগে বাল্যবিবাহ বিরোধী শপথবাক্য পাঠ করান সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ। এব্যাপারে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি অন্যতম উদ্যোগের হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন। নারীর ক্ষমতায়নের প্রধান শর্তগুলোর অন্যতম হচ্ছে বাল্যবিবাহ রোধ। সুনামগঞ্জ জেলাপ্রশাসনের আজকের এই জনসচেতনতামূলক আয়োজন অতিতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে ছড়িয়ে যারে । সাড়া বিশে^ জনসচেতনতামূলক এতবড় জমায়েতে একযোগে ২৯৯ টি ভেনূ থেকে ১লক্ষ ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর লাল কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে “বাল্যবিবাহকে না বলুন” বিশ্বে প্রথম। আমাদের বিশ্বাস এটি জনসচেতনতামূলক “লাল কার্ড” প্রদর্শন অনুষ্ঠান হিসেবে “গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড”-এ স্থান করে নেবে।
×