ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প

গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নাৎসিদের মতো আচরণ করেছে

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ১৩ জানুয়ারি ২০১৭

গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নাৎসিদের মতো আচরণ করেছে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র নয় দিন আগে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও বাড়িয়ে তুললেন দেশটির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে ট্রাম্প টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাজ নাৎসি জার্মানির কথা মনে করিয়ে দেয়। খবর ইয়াহু নিউজের। ট্রাম্প বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো থেকে ফাঁস হওয়া তথ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু গণমাধ্যম অপ্রমাণিত অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন করেছে; এসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি রাশিয়ার ফাঁদে ধরা পড়েছেন। এই অভিযোগগুলোর মধ্যে আছে, ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবির রাশিয়ার সঙ্গে আঁতাত করেছিল ও ট্রাম্পের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু আপত্তিকর ভিডিও রাশিয়ার হাতে আছে; তবে অভিযোগগুলো প্রমাণিত নয়। এই অভিযোগগুলো প্রাসঙ্গিক বিবেচনা করে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো গত সপ্তায় ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে বিষয়গুলো জানিয়েছে। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এসব তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলোর কাছে চলে যায় আর তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে তারা। এ নিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, আমার মনে হয় এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। লজ্জাজনক কারণ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এমন সব তথ্য অনুমোদন করছে যা মিথ্যা ও ভুয়া হতে পারে। এটি মর্যাদাহানিকর বলে আমি মনে করি, আর বলা যায় এটা এমন যে রকম নাৎসি জার্মানি করত ও করেছিল। তার কিছু আপত্তিকর ভিডিও রাশিয়ার কাছে আছে, এমন দাবিকে ‘অসত্য সংবাদ’ ও ‘ভুয়া উপাদান’ অভিহিত করে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এই সংবাদ সম্মেলনেই প্রথমবারের মতো ট্রাú স্বীকার করে নিয়েছেন, ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটি ও শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতাদের ই-মেইল হ্যাকের পেছনে হয়তো রাশিয়া রয়েছে। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, এটা রাশিয়ার কাজ। তবে পাশাপাশি অন্যান্য দেশগুলোও যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলা চালাচ্ছে বলে অনুযোগ করেন তিনি। রাশিয়ার সাইবার হামলার লক্ষ্য ছিল ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে তার (ট্রাম্পের) অবস্থান সংহত করা। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন সিদ্ধান্ত প্রথমে অবজ্ঞাভরে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু পরে তা স্বীকার করে নিয়েছেন।
×