ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যাপ্টেন কোহলির মুখে কেবলই ধোনি

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ৯ জানুয়ারি ২০১৭

ক্যাপ্টেন কোহলির মুখে  কেবলই ধোনি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট থেকে অবসর নেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এরপর আভিজাত্যের সাদা পোশাকে সামনে থেকে দায়িত্ব পালন করছেন বিরাট কোহলি। ব্যাটিংয়ে-নেতৃত্বে সমান ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়ে দলকে তুলে এনেছেন র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে। ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ড সিরিজের আগে এবার ওয়ানডে আর টি২০’র বাহুবন্ধনীও খুলে রাখলেন ধোনি। অনুমিতভাবেই কোহলি তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। তিনি এখন ক্রিকেট পাগল দেশটির তিন ফরমেটের অধিনায়ক। এরমধ্য দিয়ে পুরোপুরি কোহলি-যুগে প্রবেশ করল ভারতীয় ক্রিকেট। উচ্ছ্বসিত সুপার উইলোবাজ এ নিয়ে বলতে গিয়ে প্রতিবারই ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনিকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। জানিয়েছেন, ধোনি চিরকাল তার অধিনায়ক হয়েই থাকবেন। ‘মাহিভাই (ধোনি) চিরকালই আমার অধিনায়ক থাকবে। তার নেতৃত্বেই আমি ভারতের হয়ে খেলা শুরু করি। ক্রিকেটার হিসেবে বেড়ে ওঠার সময় সে আমাকে যথেষ্ট সময় ও সুযোগ দিয়েছে। এমনকি অনেকবার বাদ পড়া থেকেও বাঁচিয়েছে। সেই এমএসডি’র কাছ থেকে ব্যাটন পাওয়া আমার কাছে বিশাল ব্যাপার। অনেক বড় দায়িত্ব।’ ক্রিকেটের প্রভাবশালী সাইট ইএসপিএন-ক্রিকইফোকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেন কোহলি। অধিনায়কত্ব ছাড়লেও উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলা চালিয়ে যাবেন ধোনি। এ নিয়েও খুশি কোহলি, ‘এটা দারুণ যে ড্রেসিং রুমে, টিম মিটিংয়ে বা মাঠে মাহিভাইর (ধোনি) মতো একজনের পরামর্শ পাব। তাছাড়া সে এখন থেকে নির্ভার হয়ে খোলা মনে খেলতে পারবে, আমার কাছে এটাও একটা ভাল খবর। আশাকরি ব্যাট হাতে আমরা আগের সেই আগ্রাসী এমএসডিকে পাব, প্রথম ভারতীয় দলে যেমন করেছিল। ক্যারিয়ারে অনেক চাপ নিয়েছে। এবার তার উপভোগ করার সময়। আশাকরি এই সুযোগটা সে ছাড়বে না।’ ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য দল ঘোষণার সময় ওয়ানডে ও টি২০তেও কোহলিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সেদিনের অনুভূতি জানিয়ে সময়ের জনপ্রিয় ক্রিকেটার বলেন, ‘এটা অবশ্যই জীবনের একটা বিশেষ মুহূর্ত। দেশের হয়ে মাঠে নামব বলে একদিন খেলা শুরু করেছিলাম, এখন আমি সব ফরমেটের অধিনায়ক। অনুভূতি ভাষায় প্রকাশের নয়। বেশিরভাগ ক্রিকেটার দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখে। আজ ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ছে।’ গত বছর ধোনি একাধিকবার বলেছেন, কোহলিই তার যোগ্য উত্তরসূরি। আবারও ধন্যবাদ দিয়ে নতুন অধিনায়ক যোগ করেন, ‘আমাকে যে সে যোগ্য মনে করেছে, এটা বড় সম্মানের। তার কাছ থেকে অনেক শিখেছি। নেতৃত্ব কি জিনিস, কি করে দলটাকে একত্র করে রাখতে হয়, সব কিছুই।’ ছোট ফরমেটের নেতৃত্বে বাড়তি চ্যালেঞ্জও দেখছেন তিনি, ‘টেস্ট ম্যাচে কামব্যাকের সুযোগ থাকে। কিন্তু ওয়ানডে বা টি২০তে সেটি থাকে না। মাহিভাই দলটাকে যে সেরার জায়াগায় রেখেছিল, এটা বড় কৃতিত্বের। আমাকে বিদ্যাটা শিখতে হবে।’ টেস্টের শীর্ষে থাকলেও ভারত ওয়ানডেতে তৃতীয় ও টি২০তে দ্বিতীয় স্থানে। কোহলি বলেন, ‘ছোট ফরমেটে ফিরে আসতে গেলে পুরো ভাবনাটাকেই বদলে ফেলতে হয়। ক্যাপ্টেনকে অনেক সময় সাধারণ ভাবনার বাইরে গিয়ে ভাবতে হয়। এমএসডি যেটা দারুণভাবে করতে পারত। নিজের সম্পর্কে বলতে পারি, দায়িত্ব কাঁধে চাপলে আমি আরও ভাল ক্রিকেটার, আরও ভাল মানুষ হয়ে উঠতে পারি। তখন খেলাটা আরও ভাল বুঝতে পারি। আশাকরি এক্ষেতেও সেটাই হবে।’
×