ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

মফিজুল ইসলাম রাতুল

নতুন চাকরিতে মানিয়ে নিন

প্রকাশিত: ০৭:১৬, ২২ আগস্ট ২০১৬

নতুন চাকরিতে মানিয়ে নিন

Graduation বা Post gradution-এর পর প্রায় প্রত্যেক ছাত্র বা ছাত্রীরই স্বপ্ন থাকে কোন একটা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে কাজ করার। ভাল একটা পদ, আর সঙ্গে হ্যান্ডসাম একটা বেতন। কিন্তু একটা খোলা জায়গা, বন্ধু, আড্ডা এবং অগোছালো জীবন থেকে সরাসরি কর্পোরেট ওয়ার্ল্ড। কিভাবে শুরু হবে সেই যাত্রা, কিভাবে মানিয়ে নিতে হবে সেই পরিবেশের সঙ্গে, কিভাবে বস, সহকর্মীদের সঙ্গে সখ্য হবে আর কিভাবে একজন নবিস থেকে একজন প্রফেশনাল হয়ে ওঠতে হবে তা প্রায় সব নতুনদেরই অজানা। পর্যবেক্ষণ করুন নতুন কর্মী নিয়োগ দেয়ার পরপরই প্রায় প্রত্যেকটা কোম্পানি কর্মীদের জন্য নানা রকম ব্যবস্থা করে থাকে। যেমন, নতুনদের নিয়ে সেমিনার, টেইনিং ইত্যাদি। নতুনদের জন্য এটা একটা বড় সুযোগ, এখান থেকেই তার প্রাথমিক ভিত্তি গড়ে নেয়। একজন ছাত্র কর্মী হিসেবে যখন নতুন কোন জায়গায় যাবেন, তখন তার প্রথম কাজটা হতে পারে পরিবেশটা পর্যবেক্ষণ করা। এটার মাধ্যমে, সে নতুন অফিসের পরিবেশ, সহকর্মীদের সম্পর্কে একটা ভাল ধারণা পেতে পারে। সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা নতুন অফিস নতুন কাজ, সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক, তার উচিত হবে সংকোচন না করে তার সিনিয়রদের সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করা। এতে করে কাজের শেখার সঙ্গে সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। কাজের প্রতি আগ্রহ একটা কাজ শেখার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে কাজের প্রতি আগ্রহ। অবশ্যই একজন নতুন কর্মীকে কাজ শেখার ইচ্ছা থাকতে হবে। চাকরি জীবনের শুরুতেই যদি তার ওপর অর্পিত কাজগুলোকে সে এড়িয়ে যায় বা কঠিন হবে বলে চেষ্টা না করে বসে থাকে, তাহলে তাকে পরবর্তী জীবনে তার খেসারত দিতে হবে। সহকর্মীদের সাহায্য নিন একজন নতুন কর্মীকে অবশ্যই তার বসের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে। সব ধরনের সংকোচ ভুলে সমস্যাগুলোর জন্য বসের শরণাপন্ন হতে হবে। বস বা সহকর্মীদের কাছ থেকে তার কাজের ফিডবেক নিতে হবে নিজে থেকেই। কারণ ফিডবেকের মাধ্যমেই যে তার ভুলগুলো শুধরে নিতে পারবে। নিজের ভাল লাগা বা খারাপ লাগাগুলো নিজের কাছেই রাখুন নতুন জায়গা, নতুন মানুষ। আবেগের বশীভূত হয়ে কারও সঙ্গে খারাপ লাগা ভাল লাগাগুলো শেয়ার না করাটাই উত্তম। পাছে নিজের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বসের কাছে কোন পুরনো কর্মী সম্পর্কে কোন নিন্দা না করাটাই উত্তম। কারণ আপনার মনে রাখতে হবে, আপনার থেকে আপনার বস ঐ কর্মীকে বেশিদিন ধরে জানেন। কাজকে ভালবাসুন, উদ্ধত আচরণ নয় একজন নতুন কর্মী যখন অফিসে আসে, বিভিন্ন সময় দেখা যায় যে তার সিনিয়ররা তার ওপর বিভিন্ন দায়িত্ব চাপিয়ে দিচ্ছে। এটাকে নেগেটিভভাবে না নিয়ে পজেটিভভাবেই নেয়া উচিত। কারণ যত বেশি কাজ করবে একজন কর্মী ততবেশি শিখতে পারবে। ইন্টারনেটের সাহায্য নিন চলছে ডিজিটাল সময়। ইন্টারনেট একদম হাতের নাগালে। সে ক্ষেতে একজন নতুন কর্মী খুব সহজেই গুগল অথবা ইউটিউবের মাধ্যমে কঠিন সমস্যার খুব সহজ সমাধান খুঁজে নিতে পারে। আজকাল গুগল এবং ইউটিউবে সব সমস্যার সমাধান দেয়া আছে। কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে টিকে থাকাটা শুধুমাত্র তার কাজ বা পারফরমেন্সের ওপর নির্ভর করে না। কাজ বা পারফর্মেন্সের সঙ্গে সঙ্গে বস এবং সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের উপরও নির্ভর করে। কেনো রেসে দৌড়ানোর পূর্বে ভাল করে হাঁটা শেখাটা জরুরী। তারপর দৌড় এবং তারপর রেসের বিষয়টা আসবে।
×