ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ফারহানা ইলিয়াস তুলি

কবিতার প্রতিলিপি

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১২ আগস্ট ২০১৬

কবিতার প্রতিলিপি

এইসব অনুগত আঁধার একদিন সরে যাবে পঞ্চম মেরুতে আমরা তখন আর খুঁজে পাবো না শোকের ক্রম-সংখ্যা যারা যেতে চেয়েছিল নির্বাসনে, তারাও ফিরে আসবে ঘন বনাঞ্চলের উৎকর্ণ উঠোনে- আবার উৎসব হবে, কবিতার প্রতিলিপি দিয়ে আমরা সাজাবো সবুজ উত্থান । যে মেঘ জমেছিল নিষাদ নৈঋতে, ঝরে পড়বে বৃষ্টির আলো হয়ে মানুষের দুয়ারে- এই ঢেউ, এই ধ্যানস্বপ্ন বুনে আবার লিখে যাবো সম্পর্ক বিষয়ক দীর্ঘ রচনা। আমাদের দুঃখ বেশি নাকি দৈন্য-এমন উপাখ্যানগুলো মানব ভাষা হয়ে ফিরবে নগরে, আর অপরিচিত থাকবে না কোনো গ্রহণের কালো-কাল... স্পর্শও- দৃশ্যমান হয়ে যে শিল্পের প্রতিকৃতি ছুঁবে ব্যক্তিগত আকাশ এসে সে আঁধারের ভার তুলে নেবে। বাড়ির নির্মাণ কাজ মোস্তফা ইকবাল অন্তরে একটা বাড়ি বানানোর ইচ্ছে: সে আমার অবাধ অন্বেষা, চোখে অনিদ্রার জ্বালাতন স্বপ্নের আকাশে চাঁদ চৌকিদার বাতাসে মেঘের বাগান অনন্ত সৌরভে খেলছে শিশুর মতন। সেই বৃষ্টি এসে পড়ে পরাণের ক্ষরতাপ মাঠে তৃষ্ণার পাঠক আমি ধুলোঝড়ে আজীবন বন্দিদশা অন্ধকারে, শেকল ভাঙ্গলো মেঘের গর্জনে। অন্তরের সীমাহীন আবেগ-আপ্লুত বৃষ্টিঝরাপাতা, ফুল কাননের বাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু হলো অকপটে। বাড়ির উঠানে নক্ষত্রের সাথে বঙ্গবন্ধু এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সকলেই রক্তের পোশাকে নেমে এসে দাঁড়ালো বাড়ির নয়ন ভরা জলে, রক্ত এসে মিশে যায় পরাণের অন্তর্লীন সে বাড়ির উঠানের মাটি-ঘাসে। আজীবন শোকে, দুঃখে অন্তরে ব্যথিত বাড়ির বেদনার্ত মূর্ছা যাওয়ার আর্তনাদ : তাই দেখে হতোদ্যম মান্ধাতার আমলের হুঁশহারা মূর্খ, দাম্ভিক দালান ভেঙ্গে পড়ে। আবার বাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু হবে রক্তের পোশাক পরা বঙ্গবন্ধু এবং সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে।
×