ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ১৮ জুলাই ২০১৬

মিষ্টি জাতীয় খাবার  এড়িয়ে চলুন

মিষ্টি খেতে আপনি যতই পছন্দ করেন না কেন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আপনাকে নিয়ে যেতে পারে চরম ক্ষতির দিকে। প্রচুর পরিমাণে মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিসসহ আরও অনেক রোগ সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া রক্তচাপ বৃদ্ধিরও একটি সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। মিষ্টি আপনার ক্ষুধাভাব অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই মিষ্টির ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে ক্ষুধাভাবের সময়টা খুঁজে বের করুন। ক্ষুধাভাব হলে অন্য খাবার খান। স্বাস্থ্যবিষয়ক আমেরিকার একটি সংস্থা তাদের ওয়েবসাইটে চিনির প্রতি মানুষের এই প্রবল ভালবাসা ত্যাগ করতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া উচিত এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয় যারা সচেতনভাবে চিনি বা চর্বি ত্যাগ করার চেষ্টা করেন তারাও মনের অজান্তে বিভিন্ন পণ্য থেকে চিনি খেয়ে ফেলেন। তাই চিনির এই কঠিন শৃঙ্খল থেকে রক্ষা পেতে কী করতে হবে এই বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যখনই আপনি মানসিক চাপ বা চিন্তাযুক্ত অবস্থায় থাকবেন, তখনই মিষ্টিকে এড়িয়ে চলুন। মানসিক চাপ অনেক সময় আপনাকে মিষ্টির প্রতি আসক্ত করে তোলে। যা আপনার শরীরে বিপরীত দিক সৃষ্টি করতে পারে। আপনার সাময়িক কমানো মানসিক চাপ আপনার শরীরের ওজন বাড়িয়ে আরও মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। মিষ্টিজাতীয় খাবার আমাদের শরীরে শক্তি যোগায়। কিন্তু তা ক্ষণস্থায়ী। যা লম্বা সময়ের জন্য নয়। তাই আপনি ক্ষুধার্ত হলে বা শক্তির প্রয়োজন হলে মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। কৃত্রিম মিষ্টিকারী পদার্থ মিষ্টির স্বাদ ভুলতে দেয় না ফলে সামনে একটা দুইটা মিষ্টি থাকলে লোভ সংবরণ করা সম্ভব হয় না। তবে আর দাসত্ব ঘুচবে কীভাবে! বরং এগুলোর বদলে প্রাকৃতিক মিষ্টিকারী পদার্থ, ফলের মিষ্টি, সবজির মিষ্টি, দারুচিনি, স্টেভিয়া ইত্যাদির মিষ্টত্ব ব্যবহার করে খাবার মিষ্টি করতে পারেন। প্রোটিন, ভিটামিন, আমিষ জাতীয় খাবার বেশি করে খান। যখনই ক্ষুধাবোধ হবে- কিছু প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন মাছ, মাংস, বাদাম খেয়ে নিন। যখনই খাবার পছন্দের পালা আপনার দিকে আসবে তখনই তুলে নিন এসব খাবার। অল্প অল্প করে সারাদিন খাবার খেলে আপনার ক্ষুধাভাব কম হবে এবং আপনি পর্যাপ্ত শক্তি পেতে থাকবেন। এ ছাড়া অল্প করে খাবার খেতে থাকলে আপনি সহজে ক্ষুধার্ত হবেন না এবং মিষ্টির প্রতিও আকৃষ্ট হবেন না। অনেক ক্ষেত্রেই খাবারে সুগার বা চিনি লুকিয়ে থাকে। যেমন ব্রাউন সুগার, কর্ন সিরাপ, গ্লুুকোজ ইত্যাদি। ওজন কমাতে চাইলে চিনিজাতীয় খাবার থেকে দূরেই থাকুন অর্থাৎ চিনিকে না বলুন। এ ছাড়া মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন মিষ্টি, চকোলেট, আইসক্রিম, ফিরনি, সেমাই ইত্যাদি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। তাই খাবার নির্বাচনের সময় সজাগ হোন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চর্বিজাতীয় খাদ্য আসলে আমাদের স্থূলতার কারণ নয়। শরীরের স্থূলতার পেছনে মূলত দায়ী চিনি এবং শর্করাজাতীয় খাদ্য। এসব খাদ্যের আধিক্যের ফলে শরীরে ইনসুলিন নামক হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়। ইনসুলিন রক্তে উপস্থিত চর্বিকে শরীরে জমাট বাঁধতে নির্দেশ দেয়। এ ছাড়াও মিষ্টিজাতীয় খাদ্য মস্তিষ্কে এক ধরনের আনন্দ তৈরি করে যার ফলে মস্তিষ্কও বার বার মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা তৈরি করে।
×