
ঝালকাঠি-পিরোজপুরের আটঘর কুড়িয়ানা ও ভিমরুলি থেকে আসা পেয়ারা দখল করছে বরগুনার হাট-বাজার। বর্ষা মৌসুম এলেই বরগুনার বাজারে তাজা পেয়ারার সুবাস ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলার বিখ্যাত পেয়ারা অঞ্চল আটঘর কুড়িয়ানা ও ভিমরুলি থেকে আসা দেশি পেয়ারা এখন বরগুনার বাজারে একরকম আধিপত্য বিস্তার করেছে। মিষ্টি স্বাদ, সতেজতা আর দীর্ঘস্থায়ী গুণের কারণে এই পেয়ারা ক্রেতাদের কাছে রীতিমতো প্রিয় হয়ে উঠেছে।
দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে পেয়ারা
ভিমরুলি, আটঘর ও কুড়িয়ানার পেয়ারা প্রতিদিন দ্রুত বিভিন্ন বাহনের মাধ্যমে বরগুনাসহ আশেপাশের জেলাগুলোতেও আসে। প্রতিদিন সকালে এসব পেয়ারা সংগ্রহ করে বরগুনার বাজার, আমতলী, তালতলী, বেতাগী, পাথরঘাটা ও বিভিন্ন উপজেলায় পাঠানো হয়।
“আটঘর, ভিমরুলি আর কুড়িয়ানার পেয়ারা চাই-ই চাই। স্বাদে, গন্ধে আলাদা। আমি নিজের বাসার জন্যও প্রতিদিন নিয়ে যাই,”
বলছিলেন বরগুনার এক পেয়ারা বিক্রেতা মো. হানিফ।
এ পেয়ারা কেন এত জনপ্রিয়?
- দেশি জাতের পেয়ারা
- খেতে মিষ্টি ও কচকচে
- পরিবহনে টেকে বেশি
- স্বাদ-গন্ধে ভরপুর
- কৃষকদের মুখে হাসি
ঝালকাঠির এক চাষি মো. শহিদুল ইসলাম জানালেন—
“এখন ধান না, পেয়ারা চাষেই বেশি লাভ। বরগুনা ও আশপাশে পাইকাররা এসে কিনে নিয়ে যায়, আমাদের আর বাজারে যেতে হয় না।”
সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ
- অতিরিক্ত বর্ষণে গাছের ক্ষতি
- রাস্তা ও খাল-বিলের সমস্যা
- পোকামাকড় ও রোগবালাই
বাজার বিশ্লেষণ ও করণীয়
বরগুনার কৃষি বিভাগ বলছে,আটঘর, কুড়িয়ানা ও ভিমরুলির পেয়ারার সরবরাহে বরগুনা অঞ্চলে পেয়ারাভিত্তিক ক্ষুদ্র অর্থনীতি তৈরি হচ্ছে।
- প্রশিক্ষণ ও চাষে সহায়তা
- পরিবহন উন্নয়ন
- পেয়ারা প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র স্থাপন
রপ্তানির ব্যবস্থা
ভিমরুলি, আটঘর ও কুড়িয়ানার পেয়ারা এখন শুধু একটি মৌসুমি ফল নয়, বরং বরগুনার বাজারে তা হয়ে উঠেছে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার প্রতীক। সময়মতো উদ্যোগ নিলে এই পেয়ারা দক্ষিণাঞ্চলের হাজারো কৃষকের ভাগ্য বদলে দিতে পারে।
Jahan