
বরিশাল নগরী সংলগ্ন বেলতলা-চরমোনাই খেয়াঘাটে মাত্র তিন টাকা ভাড়া কমানোকে কেন্দ্র করে এক ট্রলার চালককে মারধর করেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও তার লোকজন।
এ ঘটনায় আজ সোমবার ভোর থেকে সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত খেয়া ট্রলার চলাচল বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অন্য ট্রলার চালকরা। এতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টির সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পর বেলা ১১টা থেকে ট্রলার চলাচল শুরু হয়।
অপরদিকে, হামলায় আহত ট্রলার চালক সোহরাব হোসেন বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সরকার বেলতলা-চরমোনাই খেয়াঘাটের যাত্রী ভাড়া নির্ধারণ করেছে আট টাকা। অথচ গত ৫ আগস্ট থেকে চরমোনাই এলাকার একটি চক্র জোরপূর্বক সরকারি নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে তিন টাকা কমিয়ে পাঁচ টাকা নেওয়ার জন্য ইজারাদারকে চাপ প্রয়োগ করে আসছে। এ নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে ঘাট ইজারাদার বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
ট্রলার শ্রমিকরা জানান, রবিবার (২২ জুন) দিবাগত রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মামুন ও তার সহযোগীরা পাঁচ টাকা ভাড়া দিতে চাইলে ট্রলার চালক সরকার নির্ধারিত ভাড়া দাবি করেন। এ সময় ইউপি সদস্য ও তার সহযোগীরা ট্রলার চালক সোহরাব হোসেনকে মারধর করে আহত করেন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ভোর থেকে ঘাটের সব ট্রলার শ্রমিক একত্রিত হয়ে ট্রলার চলাচল বন্ধ রাখেন। ফলে দুই পাড়ের যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. মামুন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঘাট ইজারাদার ট্রলার চালকদের মাধ্যমে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আসছেন। তাদের এ অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে নিষেধ করায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি আরও বলেন, কার ওপর কে হামলা চালিয়েছে, তা আমার জানা নেই।
সজিব