
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের হওয়া তিনটি মামলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২২ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুল ইসলাম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন শেরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আরিফুর রহমান ওরফে শুভ (৩৫), গাড়ীদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের (পূর্ব শাখা) সহ-সভাপতি সহিদ শাজাহান (৫৪), একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সহ-সভাপতি মো. মোজাহিদুল ইসলাম ওরফে মোজাহিদ (৪৬), কুসুম্বী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. রেজাউল করিম (৩২) ও ছাত্রলীগ নেতা মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে মৃদুল (২৬)
পুলিশ জানায়, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সেখানে হামলা চালিয়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। এতে প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর, ২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্তে ছাত্রলীগ নেতা শুভ, সহিদ শাজাহান ও মোজাহিদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের গাড়িবহরে ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রেজাউল করিমের নাম আসে। মামলা করা হয় ২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর।
এছাড়া, ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই শেরপুরের ধুনটমোড় এলাকায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ চলাকালে আন্দোলনকারী রিফাত সরকার হামলার শিকার হন। সেই মামলায় ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে মৃদুলকে অভিযুক্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। তাকে উলিপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওসি মঈনুল ইসলাম বলেন, “তিনটি মামলার তদন্তে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।”
মিমিয়া