
কুড়িগ্রামের উলিপুরে জোরপূর্বক জমি দখল করে রাস্তা তৈরি করার সময় বাধা দিতে গেলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের হারুনেফড়া এলাকায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের হারুনেফড়া এলাকার রবিউল ইসলাম (৫৩) এর সঙ্গে প্রতিবেশী হারান আলী (৪০) গংদের জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে হারান আলী গংরা রবিউল ইসলামের আবাদি জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা তৈরি করছিলেন। এসময় রবিউল ইসলামের ভাতিজা আব্দুর রহিম বাধা দিতে গেলে তাকে দেশীয় অস্ত্রসহ ঘিরে ফেলা হয়। পরে রবিউল ইসলাম ভাতিজাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে এজাহারনামীয় ২ নম্বর আসামির হুকুমে রবিউল ও তার স্ত্রী নুরনাহার বেগম, ছেলে জাহিদ হাসান এবং জাকারিয়া জনিকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করা হয়।
রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, হারান আলী ও তার লোকজন কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে গুরুতর জখম করেছে। আমাদের আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।
এদিকে ঘটনার পর ১৭ জুন রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে হারান আলীকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নাম উল্লেখ করে উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মেহেরুল ইসলাম বলেন, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তারা বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিল্লুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
সানজানা