
সাত বছর আগে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ বিদ্যুৎ বিভাগকে ৮৩ লাখ টাকা পরিশোধ করলেও গাইবান্ধা শহরের চার লেনের ব্যস্ততম ডিবি রোডের উত্তর পাশে থাকা ৪৪টি বিদ্যুতের খুঁটি এখনো সরানো হয়নি।
এর ফলে পথচারীদের চলাচল যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি যানবাহন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি, আর সেই ঝুঁকি এখন প্রতিদিনের বাস্তবতা।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, গত বছর ৪৪টি খুঁটির পাশে নতুন খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে। সেগুলোর তার সংযোগ সম্পন্ন হলেই পুরাতন খুঁটি অপসারণ করা হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের রেলগেট থেকে পশ্চিম দিকে রাস্তার উত্তর পাশে খুঁটিগুলো দাঁড়িয়ে আছে। দক্ষিণ পাশেও কিছু জায়গায় খুঁটি দেখা গেছে। আড়াই কিলোমিটার সড়কের মধ্যে প্রায় সোয়া এক কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে এসব খুঁটি। কোথাও খুঁটি রাস্তার ভেতরে, কোথাও বা রাস্তার একেবারে গায়ে।
বিশেষ করে হকার্স মার্কেট, ডাকবাংলো মোড়, সাদুল্লাপুর সড়ক মোড়, ফকিরপাড়া, পলাশপাড়া, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কে এসব খুঁটি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে এসব সড়ক দিয়ে বাস-ট্রাক, কার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, অটোরিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
শহরের ফায়ার সার্ভিস এলাকার বাসিন্দা হাসান মোর্শেদ দীপন বলেন, “সড়কে খুঁটি থাকায় এই এলাকায় সবসময় যানজট লেগেই থাকে। হেঁটে চলতেও কষ্ট হয়, সময়ও বেশি লাগে।”
থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাইফুল মিলন বলেন, “ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে ভয় লাগে। মাঝে মাঝে রিকশার সঙ্গে ধাক্কা লাগে। আবার ভয় থাকে, কখন যেন বাস-ট্রাকের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটে।”
গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-২ (নেসকো)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসিফ বলেন, “সড়কের উত্তর পাশে নতুন খুঁটি বসানো হয়েছে। সেগুলোতে তার সংযোগ দেওয়া হলে পুরাতন খুঁটি সরিয়ে ফেলা হবে।”
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিয়াস কুমার সেন বলেন, “বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও এখনো তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।”
সজিব