সিলেট নগরীর লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এক এসআই-এর বিরুদ্ধে একজন গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেট-এর মিডিয়া সেলের সম্পাদক ও যুগ্ম সদস্য সচিব ফখরুল হাসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আহত ব্যক্তি জুলাই আন্দোলনের সময় আহত হয়ে বর্তমানে সিএনজি চালাতে না পেরে জীবিকার জন্য একটি ছোট চায়ের দোকান দেন।
শনিবার ভোরে, ফজরের নামাজের পর তিনি প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে বসলে এসআই জসিম এসে ‘এতো সকালে দোকান খোলা কেন?’ জানতে চেয়ে তার ওপর চড়াও হন এবং মারধর শুরু করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, তাকে জোর করে ভ্যানে তুলতে গেলে আহত ব্যক্তি বলেন, “আমি একজন গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা। আন্দোলনে আহত হওয়ার পর বেশি সময় বসে থাকতে পারি না, তাই এই দোকান দিয়েছি। আমাকে জেলে দিলে পরিবার না খেয়ে মরবে।”
এর জবাবে এসআই জসিম বলেন, “তুই যোদ্ধা! তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস”—এই বলে কিল, ঘুষি ও থাপ্পড় মারতে মারতে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন।
পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সঙ্গে থাকা এক কনস্টেবলের হস্তক্ষেপে এসআই জসিম ও অন্যান্য পুলিশ সদস্য আহত ব্যক্তিকে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যান।
বর্তমানে আহত ব্যক্তি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেট জেলা কমিটি এবং জুলাইযোদ্ধাদের সহযোদ্ধারা অভিযুক্ত এসআই জসিম ও সংশ্লিষ্ট কনস্টেবলকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে আমরা এখনও অবগত নই।”
সজিব
