ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না রিমঝিমের, ছেলেকে মাদ্রাসায় পৌঁছাতে পারলেন না বাবা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ১৪:৩৫, ১৬ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৪:৩৬, ১৬ জুন ২০২৫

বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না রিমঝিমের, ছেলেকে মাদ্রাসায় পৌঁছাতে পারলেন না বাবা

ছবি: জনকণ্ঠ

রিমঝিম বড়ুয়া (২২), বাড়ি রামুর পূর্ব রাজারকুলে। সবেমাত্র আকদ শেষ হয়েছে গেল ৬ জুন। বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল আগামী ৬ জুলাই। কিন্তু চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষে সবকিছু ভেঙে চুড়মার হয়ে গেছে। তার মৃত্যুর আহাজারীতে ভারী হয়ে এসেছে রিমঝিমের বাড়ির আকাশ।

সোমবার (১৬ জুন) সকাল ৮ টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রামু রশিদ নগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় রিমঝিমসহ নিহত হয়েছে তিনজন। বাকি দুজন বাবা-ছেলে। তাদের পরিস্থিতি আরও করুণ। ছেলেকে হেফজখানায় দিতে যাচ্ছিলেন বাবা। পথেই মৃত্যু। মেনে নিতে পারছে না স্বজনরা। 

রিমঝিমের স্বজন আইনজীবী শিপ্ত বড়ুয়া জানান চট্টগ্রামের একটি এনজিওতে চাকরি করতেন রিমঝিম। ঈদের ছুটিতে এসেছিল। গেল ৬ জুন আকদ হয়েছে তার। বিয়ে হবার কথা ছিল ৬ জুলাই। একটি দুর্ঘটনায় তার মৃত্যুতে সব শেষ হয়ে গেছে। শোকে কাতর রিমঝিমের পরিবার। 

অন্যদিকে নিহত হাবিব উল্লাহর ভাই রহিম জানান-ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রামের হেফজখানায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী হাবিব ও তার ছেলে নিহত হয়েছে। ছেলেকে পৌঁছানোও হলো না, উল্টো স্বজনরা শোকাহত। 

রামু হাইওয়ে পুলিশের ওসি নাছির উদ্দিন বলেন, কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী পুরবী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস এবং ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী কাভার্ড ভ্যান রামু রশিদ নগর এলাকায় পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবাহী বাস সড়ক থেকে খাদে পড়ে যায় আর কাভার্ড ভ্যানটি গাছের সঙ্গে আটকে যায়। ঘটনাস্থলে যাত্রীবাহী বাসের ৩ যাত্রী নিহত। আর ৭ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতদের মধ্য ২ জন নারী ও একজন শিশু রয়েছে।

ওসি আরও বলেন, ঘটনার পরপরই বাস ও কাভার্ড ভ্যানের চালকরা পালিয়ে যায়। গাড়ি দুটি উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।

নিহতরা হলেন-কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের হাবিব উল্লাহ, তার ছেলে গিয়াস উদ্দিন ও রামুর পূর্ব রাজারকুলের রিমঝিম বড়ুয়া। নিহত এবং আহতরা সবাই বাসের যাত্রী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আবির

×