ছবিঃ সংগৃহীত
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে মারুফ সরদার নামের এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার বন্ধুর বিরুদ্ধে।
বুধবার (১১ জুন) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে, গত রোববার বিকালে গোসাইরহাট উপজেলার চরধীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রিফাত (২০) একই গ্রামের বাসিন্দা।
নিহত মারুফ (১৯) উপজেলার চরধীপুর গ্রামের শহিদুল সরদারের ছেলে। তিনি রাজধানী ঢাকার মধ্যবাড্ডা এলাকায় ফলের ব্যবসা করতেন। ঘটনার দিনই মারুফের বড় বোন পাপিয়া গোসাইরহাট থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ছিল মারুফ ও অভিযুক্ত রিফাতের। ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে আসেন নিহত মারুফ। গ্রামে ফেরার পর রিফাতের সঙ্গে তার দেখা হয়। এ সময় রিফাত মারুফের কাছে ধারের ২০০ টাকা ফেরত চান। জবাবে মারুফ বলেন, "আজকে নাই, পরে দিয়ে দেব।" এ সময় রিফাত টাকা না ফেরত দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে রিফাত মারুফকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ফোন করে নিজের লোকজনকে আসতে বলে।
ভয়ে মারুফ দৌড়ে নিজ বাড়িতে এসে ঘরে ঢুকে পড়েন। তখন রিফাত তাকে মারার উদ্দেশ্যে ঘরে প্রবেশ করে এবং একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। মারুফের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে রিফাত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত মারুফকে উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারুফ মারা যান।
মারুফের বড় বোন পাপিয়া আক্তার বলেন, “আমার ভাই মারুফের কাছে ২০০ টাকা পেত রিফাত। ঈদের পরদিন বিকালে মারুফ ঘুরতে বাড়ি থেকে বের হয়। ওই সময় রিফাত তার পথ আটকায়। তখন ভাই বলেছিল পরে টাকা দিয়ে দেবে, কিন্তু রিফাত মানে নাই। মাত্র ২০০ টাকার জন্য আমার ভাইকে মরতে হলো। আমার ভাইয়ের খুনের সঙ্গে জড়িত সকলের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।”
এ বিষয়ে গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদ আলম বলেন, “ধারের টাকা ফেরত না দেওয়ায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় রিফাত। ঢামেকে তিন দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর আজ সকালে মারুফ মারা যায়। রিফাতকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
ইমরান
