
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
পবিত্র কোরবানির ঈদকে ঘিরে এবার চাকরিজীবীরা টানা ১০ দিন ছুটি পেয়ে ঈদ-পরবর্তী আনন্দ উদযাপন করতে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এবার উপজেলার সব চাইতে বেশী পর্যটক লক্ষ করা গেছে মিরসরাই জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাগর পাড়ে। যা স্থানীয়দের কাছে মিনি সি-বিচ নামে ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে।
জানা গেছে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই উপজেলায় রয়েছে বেশ কিছু পর্যটনস্পট। পবিত্র কোরবানি ঈদের টানা ছুটিতে উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়েছে। তিল ধারনের ঠাঁই নেই ৮ স্তর বিশিষ্ট খৈয়াচড়া ঝর্ণায়। এই ঝর্ণা দেখতে ছুটে আসেন দেশের নানা প্রান্তের ভ্রমণপিপাসুরা।
এছাড়া জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাগর পাড়ে সব চেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে পর্যটকদের। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠেছে গড়ে উঠছে এই উপজেলায়। কলকারখানা গড়ে উঠার পাশাপাশি সমুদ্রপাড়ে গড়ে উঠে পর্যটকদের জন্য অন্যতম স্থান। কোলাহলমুক্ত পরিবেশে পরিবার পরিজন নিয়ে প্রতিদিন ভিড় করছেন হাজার হাজার মানুষ।
এছাড়া দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক মহামায়া লেক। অন্যদিকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক মহামায়া। এই লেককে ঘিরে গড়ে উঠেছে ইকো-ট্যুরিজম। যেটির নাম করণ করা হয় 'মহামায়া ইকোপার্ক'। এই পার্কে ঘুরতে আসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। পরিবার পরিজন নিয়ে পিকনিক ও স্কুলকলেজের পিকনিকের জন্য অন্যতম স্থান হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে মহামায়া।
এছাড়া মূহুরী প্রজেক্ট, আরশিনগর ফিউচার পার্ক, নাপিত্তাচড়া ঝর্ণা বোয়ালিয়া ঝর্ণা, মেলখুম ঝর্ণা, সহস্রধারা ঝর্ণায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।
ইকোনমিক জোনের সমুদ্র সৈকতে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে আসা আব্দুল আউয়াল জানান, কর্ম ব্যস্ততায় খুব একটা ঘোরা সম্ভব হয়না। এবার ঈদে ছুটি পেয়ে দেখতে এসেছি মিরসরাই সমুদ্র সৈকত। খুব কাছ থেকে দেখা যাচ্ছে সমুদ্র সৈকত। আমরা আগে সি-বিচ কিংবা কক্সবাজার যেতাম সমুদ্র দেখতে। ইকোনমিক জোনের আঁকা বাঁকা সড়কের দুপাশে ফুলের মৌ মৌ ঘ্রাণ আর দৃষ্টিনন্দন লাইটের আলোয় হারিয়ে যেতে বাধ্য যে কেউ।
মহামায়া লেকে ঘুরতে চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা নাজমুল হাসান জানান, শহরের কোলাহল থেকে একটু প্রশান্তি খুঁজতে হলে আপনাকে এই স্থানে আসতেি হবে। প্রাকৃতিক বাসাতে মনের সব ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। পাহাড় ও লেকের স্বচ্ছ জলরাশি ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ঘোরা অন্যরকম আনন্দ।
খৈয়াচড়া ঝর্ণায় ঘুরতে আশা ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা মো. ইমরান জানান, চাকরির সুবাদে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঝর্ণার কথা অনেকবার শুনছিলাম। কিন্তু আসা হয়নি। এবার ঈদের লম্বা ছুটিতে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে এলাম। অনেক ভালো সময় কেটেছে। তবে পরিবার নিয়ে ঝর্ণায় আসা কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে।
মিরাজ খান