ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

সুন্দরগঞ্জে বিএনপি নেতা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, নারী

সুদীপ্ত শামীম, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি। 

প্রকাশিত: ২২:২৮, ১০ জুন ২০২৫

সুন্দরগঞ্জে বিএনপি নেতা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, নারী

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিএনপি নেতা ইলিয়াস মিয়া (৪২) হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী সুমন মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন পুকুর থেকে দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় স্বপ্না বেগম (৩২) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেলে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র খানাবাড়ি গ্রামের সুমন মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন পুকুর থেকে এসব দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত স্বপ্না বেগম ওই গ্রামের মো. নিল মিয়ার স্ত্রী এবং হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী সুমন মিয়ার ভাবী।

পুলিশ জানায়, সুমন মিয়া বাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশিয় অস্ত্র বাড়ি সংলগ্ন পুকুর থেকে গোপনে অন্য আরেকটি পুকুরে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছিল স্বপ্না বেগম। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি হাসুয়া, একটি বেকি এবং তিনটি লোহার রড উদ্ধার করা হয়। অস্ত্রগুলো পুকুরে রেখে পালানোর সময় হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী সুমন মিয়ার ভাবী স্বপ্না বেগম গ্রেফতার করে পুলিশ।

সুন্দরগঞ্জ থানার তদন্ত পরিদর্শক মো. সেলিম রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিএনপি নেতা ইলিয়াস মিয়া হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী সুমন মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন পুকুর দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় অস্ত্রগুলো গোপনে অন্যত্র সরানোর দায়ে স্বপ্না বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

এর আগে, সোমবার (৯ জুন) বিকেলে নিহতের স্ত্রী মোছা. লিপি বেগম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১০ জনকে নামীয় আসামি এবং ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

নিহত ইলিয়াস মিয়া উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র খানাবাড়ি গ্রামের মৃত আবদুল ব্যাপারীর ছেলে। তিনি সর্বানন্দ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী প্রবাসী তারাজুল ইসলামের সঙ্গে ইলিয়াস মিয়ার দীর্ঘদিন জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। প্রবাস থেকে তারাজুল ইসলাম পরিকল্পিতভাবে ইলিয়াস মিয়াকে হত্যার ছক কষেন এবং মামলার প্রধান আসামী সুমন মিয়াকে অর্থ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেন।

গত ৬ জুন রাত ১১টার দিকে ইলিয়াস মিয়া তার মৎস্য খামার থেকে বাড়ি ফেরার পথে জামগাছতলায় পৌঁছালে সুমন মিয়া ও তার সহযোগীরা লাঠি, রড ও বেকি দিয়ে হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শনিবার (৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মারা যান।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সুমন মিয়া একই গ্রামের মজিবর রহমান সর্দারের ছেলে। মামলার অন্যান্য আসামিরা নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে।

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাকিম আজাদ জানিয়েছেন, ‘মামলার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

রিফাত

×