
ছবিঃ সংগৃহীত
বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে এক বয়স্ক মহিলা পা ছিটকে পড়ে আহত হয়। এছাড়াও এলাকার সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষ ও শিশু কিশোর-কিশোরা ঝুকিপূর্ণভাবে প্রতিনিয়ত সাঁকো পার হয়ে যেতে হয় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায়। এমন জনদুর্ভোগ দেখে নিজ উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার করলেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দিদারুল আলম জসিম।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে উপজেলার ইসলামপুর ৪নং ওয়ার্ড মঘাছড়ি পুলিশক্যাম্পের উত্তর পাশে সরকারি জায়গায় বসবাসরত প্রায় দেড়শ পরিবারের একমাত্র চলাচলের মাধ্যম আধা কিলোমিটারের রাস্তার প্রায় ৬০.৯৬ মিটারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তাটি নিজ অর্থায়নে চলাচলের মতো উপযোগী করে তুলেন সাবেক চেয়ারম্যান দিদারুল আলম জসিম। তিনি বাঁশের সাঁকোর স্থানে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা (নাঁসি স্থাপন) করে স্কেলেভেটরের মাধ্যমে মাটি দিয়ে চলাচলের উপযোগী করে দেন।
স্থানীয় মুহাম্মদ আলী নামের একব্যক্তি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকা অবহেলায় পড়ে আছে। বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচলে আমাদের খুবই কষ্ট হয়। বিষয়টি দেখে এগিয়ে আসেন আমাদের এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান দিদারুল আলম জসিম।
মুহাম্মদ সৈয়দ নামের এলাকার আরেকজন ব্যক্তি বলেন, আমাদের এলাকাটি গরিব এলাকা। আমাদের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি মাঝখানে সাঁকো দিয়ে পার হতে হয়। যখন বেশি পানি আসে তখন পার হতে পারিনা। অনেকে এই সাঁকো পার হতে গিয়ে আহত হয়েছেন।
সাবেক চেয়ারম্যান দিদারুল আলম জসিম আক্ষেপ ঝেড়ে বলেন, দীর্ঘ ১৭টি বছর আ.লীগ ক্ষমতায় থেকে অন্যায়, জুলুম ও লুটপাটের মধ্যে ডুবে ছিল। গরিব মানুষের কোন খবর রাখেনি। আমি এখানে এসে দেখি আমার চোখের সামনে এক বৃদ্ধ মহিলা বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে পা ছুটে নিচে পড়ে রক্তাক্ত হয়ে যায়। আমি বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে তাৎক্ষনিক মোটামুটি রাস্তাটি চলার উপযোগী করে দিয়েছি। আমি একজন বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। তবে ইউএনও মহোদয়ের কাছে আমার অনুরোধ একটি বরাদ্দ দিয়ে স্থায়ী একটি রাস্তা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ রইল। এছাড়াও স্থায়ীভাবে টেকসই একটি রাস্তা করে দেওয়ার জন্য ইউএনও মহোদয়ের কাছে আবেদন জানিয়েছে স্থানীয়রা।
ইমরান