নীলফামারী জেলার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেলে নীলফামারীর দারোয়ানীস্থ ৫৬ বিজিবির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল বদরুদ্দোজা।
এ সময় তিনি পবিত্র ঈদুল আজহা ২০২৫-কে কেন্দ্র করে সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, গবাদিপশু ও কোরবানির চামড়া পাচার প্রতিরোধে বিজিবি কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ, সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইন প্রতিরোধ এবং সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবির প্রস্তুতি তুলে ধরেন।
তিনি জানান, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সীমান্তবর্তী এলাকায় গরু চোরাচালান ও চামড়া পাচার রোধে ৫৬ বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। দেশীয় খামারিদের যেন কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে না হয় এবং পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গরু যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে লক্ষ্যে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এছাড়া ঈদের পর কোরবানির চামড়া যাতে সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে যেতে না পারে, সেজন্যও ঠাকুরগাঁও সেক্টরের আওতাধীন ৫৬ বিজিবি প্রয়োজনীয় নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঈদের ছুটিতে সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে উৎসব উদযাপন করতে পারে, সে লক্ষ্যে বিজিবির সদস্যরা সীমান্ত পাহারা ও অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপর থাকবে।
পুশ-ইন প্রসঙ্গে অধিনায়ক বলেন, সম্প্রতিককালে সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইন রোধে বিজিবি কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে এবং স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখা হচ্ছে। বিএসএফের সঙ্গে নিয়মিতভাবে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিত প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। তবে নীলফামারী সীমান্তে এখনো পর্যন্ত কোনো পুশ-ইনের ঘটনা ঘটেনি।
৫৬ বিজিবির সূত্রে জানা যায়, ব্যাটালিয়নের আওতায় মোট প্রায় ১৪৮ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে, যার মধ্যে নীলফামারীতে প্রায় ২৫ কিলোমিটার এবং পঞ্চগড় জেলায় প্রায় ১২৩ কিলোমিটার। এ অঞ্চলে বিজিবির দায়িত্ব পালন এলাকায় ১৮টি সীমান্ত বিওপি (বর্ডার আউট পোস্ট) রয়েছে। এ পর্যন্ত সীমান্তে বিজিবির তৎপরতায় কোনো পুশ-ইন ঘটেনি বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ৫৬ বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
নুসরাত
