
“একজন সুস্থ পুলিশ সদস্য মানেই একটি নিরাপদ সমাজ” এ মন্তব্য করেছেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা। তিনি বলেন, “মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া আমাদের পেশাগত দক্ষতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুর ১টায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে জেলা পুলিশের আয়োজনে ‘পুষ্টি ও মানসিক স্বাস্থ্য’ বিষয়ক এক ব্যতিক্রমধর্মী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা।
প্রধান আলোচক ছিলেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা নজরদারি মেডিকেল অফিসার ডা. সাদিয়া হক সূচনা।
কর্মশালায় আলোচকবৃন্দ পুলিশ সদস্যদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, সঠিক পুষ্টির গুরুত্ব, মানসিক চাপ মোকাবেলার উপায়সহ নানাদিক তুলে ধরেন। তারা বলেন, একজন পুলিশ সদস্যের স্বাস্থ্য শুধু তার ব্যক্তিগত বিষয় নয়, বরং তার দায়িত্ব পালন ও জননিরাপত্তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কনক কুমার দাস, সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিস) তাজরিনা সুলতানা, ডিআইও-১, ডিএসবি, সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, আরআই, টিআই (প্রশাসন), সকল ক্যাম্প ইনচার্জসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যরা কর্মশালা থেকে মানসিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পান। আয়োজকরা জানান, এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল পুলিশ সদস্যদের মধ্যে মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের এই উদ্যোগ প্রশংসিত হয় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে। ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে এমন আয়োজন করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বক্তারা।
মিমিয়া