আগামীকাল দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রায় ৬০ গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদ উদযাপন করবেন হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলমান। মির্জাখীল দরবার শরীফ, সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার অন্যতম দরবার জাহাগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের ভক্ত-মুরিদানরা ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে অন্যতম দরবার জাহাগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবারের পীরদারাজা সৈয়দ মোহাম্মদ আলীর ইমামতিতে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
দরবার শরীফের অনুসারীরা বিশ্বের কোথাও চাঁদ দেখার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদিন আগে পশু জবাই করে আল্লাহর নামে কোরবানি করেন।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০০ বছর আগে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে একই দিনে রোজা ও ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা পালন করার নিয়ম-কানুন প্রবর্তন করেন শাহসুফি মাওলানা মোখলেসুর রহমান। তার দেখানো পথ অনুসরণ করে আজও এই নিয়ম মেনে চলছেন মুরিদরা। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের জন্য সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে মাজার কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবারের সৈয়দ মাওলানা আব্দুর রহমান শাহ জাহাগিরি ও মমতাজিয়া দরবার শরীফের আওলাদদের তথ্যসূত্রে জানা গেছে, তারা হানাফি মাযহাবের অনুসারী। মক্কা ও মদিনা শরীফ তথা আরব বিশ্বের সঙ্গে মিলিয়ে দরবারের অন্যতম সুফি সাধক মোখলেসুর রহমানের নির্দেশে তার দেখানো পথ অনুসরণ করে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন।
এদিকে, আগামীকাল ঈদ পালন করবেন—সাতবাড়িয়া, বরকল, ধোপাছড়ি, সর্বল কাজীরপাড়া, কানাইমাদারি, দোহাজারী, জুনিঘোনা, কুন্দুপাড়া, কেশুয়া, মোহাম্মদপুর, খুনিয়ারপাড়া, গুনাগরি, জলদি, রূপকানিয়া, গন্ডামারা, চরণদ্বীপ, বারখাইন, খরণদ্বীপ, বড়হাতিয়া, সুখছড়ি, বাংলাবাজার, বাজালিয়া, গাটিয়াডাঙ্গা, কাঞ্চনা, পুরাণগড়সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে হাজারো মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
সানজানা
