ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভিজিএফ বিতরণে ’কারচুপি’, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর 

প্রকাশিত: ২২:৩২, ৩ জুন ২০২৫; আপডেট: ২২:৩৩, ৩ জুন ২০২৫

ভিজিএফ বিতরণে ’কারচুপি’, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি

ছবি: জনকণ্ঠ

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ৬ নম্বর আদারভিটা ইউনিয়নে অসহায় ও হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ঈদুল আজহার উপহার (ভিজিএফ) চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

উপকারভোগীদের অভিযোগ, নির্ধারিত ১০ কেজির পরিবর্তে ৮ থেকে সাড়ে ৯ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। ফলে সরকারি বিশেষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত অতিদরিদ্র, অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারগুলো।

মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল থেকে বেলা ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চাল বিতরণের সময় এই অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাল নিতে আসা উপকারভোগীদের দীর্ঘ লাইন। সবার হাতে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরযুক্ত ভোটার কার্ডের ফটোকপি। পরিষদের নির্ধারিত ঘরে কয়েকজন ব্যক্তি বালতির মাধ্যমে চাল বিতরণ করছিলেন। এতে ১০ কেজির স্থলে সাড়ে ৮ থেকে সাড়ে ৯ কেজি পর্যন্ত চাল দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশে ১০ কেজি করে বিনামূল্যে ভিজিএফ খাদ্যশস্য বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে আদারভিটা ইউনিয়নের ৭,৬২১ জন উপকারভোগীর মধ্যে চাল বিতরণের কথা থাকলেও সঠিক পরিমাণে বিতরণ না হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা বলেন, সরকারি বরাদ্দকৃত ১০ কেজি চালের স্থলে ৮-৯ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। অনেকে বলেন, স্বচ্ছল ব্যক্তিদেরও কার্ড দেওয়া হয়েছে, যাদের চাল নেওয়ার প্রয়োজন নেই। মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যানরা একাধিক কার্ড দিয়ে তা পরে ব্যবসায়ীদের কাছে চাল বিক্রি করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চাল নিতে আসা কার্ডধারী কয়েকজন বলেন, "১০ কেজি দেওয়ার কথা থাকলেও ৮ থেকে সাড়ে ৯ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে। ভিজিএফ চাল বিতরণে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম হচ্ছে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং প্রকৃত দরিদ্ররা বঞ্চিত হচ্ছেন। এসব অনিয়মে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জড়িত।"

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, “চাল কম দেওয়ার সুযোগ নেই, তবে কম হয়ে থাকতে পারে। বেশি কম হওয়ার কথা না। যদি কম দেওয়া হয়, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অভিযোগ সম্পর্কে মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাদির শাহ বলেন, "বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
 

শহীদ

×