
বর্তমানে অনলাইন দুনিয়া যেমন আমাদের জীবনকে সহজ ও গতিশীল করেছে, তেমনি বাড়িয়ে দিয়েছে প্রতারণার সুযোগ। দিন দিন বেড়েই চলেছে অনলাইন প্রতারণার ঘটনা। বিশেষ করে পাবনার বিভিন্ন এলকায় ছড়িয়ে গেছে অনলাইন জুয়ার ফাঁদ। এই ফাঁদে তরুণ প্রজন্ম এখন সবচেয়ে বেশি এই জালের শিকার হচ্ছে।
পাবনার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, যে এসএসসি পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে বেকার যুবক জুয়ায় আসক্ত হয়ে অনেক যুবক অনলাইন জুয়ার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। সহজে টাকা উপার্জনের লোভে পড়ে তারা নামছে এই অবৈধ কার্যক্রমে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হারাচ্ছে সব—টাকা, ঘরবাড়ি, এমনকি পরিবার থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে অনেকে।
এদিকে, অনলাইনে ভূয়া সাংবাদিক নিয়োগ বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও বাড়ছে। কিছু অসাধু ব্যক্তি বিভিন্ন নামসর্বস্ব পোর্টালের নামে সাংবাদিক নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে আদায় করছে মোটা অঙ্কের অর্থ। অনেকেই স্বপ্ন দেখে সাংবাদিকতার, আর এই স্বপ্নই হয়ে উঠছে প্রতারকদের হাতিয়ার।
শুধু সাংবাদিক নয়, বেকার যুবক-যুবতীদের লক্ষ্য করে দেওয়া হচ্ছে ভুয়া চাকরির বিজ্ঞাপন। আবেদন ফি, ভেরিফিকেশন চার্জ, অথবা প্রশিক্ষণের নাম করে আদায় করা হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। পরে সেই প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “যেখানে কোনো অফার বা বিজ্ঞাপন অস্বাভাবিক সুবিধার প্রতিশ্রুতি দেয়, সেখানে অবশ্যই সন্দেহ করার অবকাশ রয়েছে। যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো লেনদেন করা উচিত নয়।”
বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ:
যে কোনো চাকরি বা নিয়োগ বিজ্ঞাপনের আগে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠানটি যাচাই করুন।
সাংবাদিকতার জন্য নামসর্বস্ব বা অজানা পোর্টালের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকুন।
অনলাইন জুয়া সম্পূর্ণ বেআইনি—এতে জড়ানো মানে নিজের ভবিষ্যৎ নষ্ট করা।
প্রতারণার শিকার হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় বা সাইবার ক্রাইম ইউনিটে যোগাযোগ করুন।
এই প্রজন্মই আমাদের ভবিষ্যৎ। তাই প্রতারণার জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে এসে সচেতন হতে হবে সবাইকে। অনলাইনের সুযোগ যেন অভিশাপ না হয়ে দাঁড়ায়, সেটা নিশ্চিত করাই এখন সময়ের দাবি।
রাজু