
২০১০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরের নাভারন থেকে সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। এই রেলপথটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে, ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পটি এখনও বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি।
প্রকল্পের সারসংক্ষেপ
প্রকল্পের নাম: নাভারন থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত নতুন ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ
দৈর্ঘ্য: ৯৮.৪২ কিলোমিটার
স্টেশন সংখ্যা: ৮টি (নাভারন, বাগআঁচড়া, কলারোয়া, সাতক্ষীরা, পারুলিয়া, কালিগঞ্জ, শ্যামনগর, মুন্সিগঞ্জ)
প্রাক্কলিত ব্যয়: ১,৬৬২.২৪ কোটি টাকা- সরকারি অর্থায়ন: ৩৩২.৪৪ কোটি টাকা - বিদেশি ঋণ (প্রস্তাবিত): ১,৩২৯.৭৯ কোটি টাকা।
প্রকল্প ঘোষণার পর জরিপ, স্টেশন নির্ধারণ, সেতু নির্মাণের স্থান চিহ্নিতকরণসহ প্রাথমিক কাজ শুরু হলেও, পরবর্তী সময়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এই রেলপথ নির্মিত হলে সুন্দরবনের পর্যটন উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে,ভোমরা স্থলবন্দর ও চিংড়ি রপ্তানি বাণিজ্যে গতি আসবে,সড়কপথের ওপর চাপ কমবে, যাতায়াতে সময় ও খরচ উভয়ই কমবে।
সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে এই রেলপথের বাস্তবায়নের জন্য অপেক্ষা করছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বারবার রেলমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও, প্রকল্পটি এখনও অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
নাভারন-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন প্রকল্পটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।
আঁখি