
ছবি : জনকণ্ঠ
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে বইছে বৈরী আবহাওয়া। আর এই বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করেই বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জে আজ ৩০ মে (শুক্রবার) সকাল থেকেই কোরবানির ঈদ উপলক্ষে জমে উঠেছে জেলার বৃহত্তম পশুর হাট।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ প্রান্তের পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের বড় রঘুনাথপুর গ্রামের চেয়ারম্যানহাট পশুর হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নৌপথ ও সড়কপথে পাইকাররা আসছেন গরু নিয়ে। গরুর বিক্রয় চলছে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম এই রঘুনাথপুর চেয়ারম্যান হাটে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে হাজার হাজার ক্রেতা আসছেন কোরবানির পশু কিনতে। হাটে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও দায়িত্ব পালন করছে।
জেলার অন্যতম এই পশুর হাটে ইতোমধ্যে ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের গরুর ব্যাপক আমদানি হয়েছে। যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলার খামার থেকে পাইকাররা বড় গরু নিয়ে এসেছেন, যেগুলোর দাম ২ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত।
এছাড়াও স্থানীয় পাইকার ও গরুর খামারিরা হাজার হাজার গরু নিয়ে আসছেন বিক্রির জন্য। এসব দেশি গরুর দাম ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত রয়েছে।
বরিশালের এই বৃহত্তম পশুর হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচা এখন তুঙ্গে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় হাটে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
তবে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোরবানির হাটে গরুর দাম অনেকটাই কম, বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। অনেকেই ইতোমধ্যে পছন্দের গরুটি কিনে বাড়ি ফিরছেন।
হাটে গরু কিনতে আসা ক্রেতা ফিরোজ হাওলাদার জানান, “এই বছর বাজারে তেমন কোনো ভারতীয় গরু নেই। আমাদের দেশি ষাঁড় গরুই বেশি। গত বছরের তুলনায় এই বছর গরুর দাম অনেক কম। আমি একটি দেশি ষাঁড় গরু কিনেছি ৮০ হাজার টাকায়।”
হাট ইজারাদার নজরুল ইসলাম লিখন জানান, “এই বছর আমি ৬০ লাখ টাকায় হাট ইজারা নিয়েছি। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা নিশ্চিন্তে গরু নিয়ে আসছেন বিক্রির জন্য। আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে হাজার হাজার ক্রেতা নির্বিঘ্নে হাটে এসে তাদের পছন্দের গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ব্যাপক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।”
সানজানা