ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

পিরোজপুরে পুলিশলাইন সড়ক যেন মরণফাঁদ: নির্বিকার প্রশাসন

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর

প্রকাশিত: ২০:৪১, ২৮ মে ২০২৫; আপডেট: ২০:৪৯, ২৮ মে ২০২৫

পিরোজপুরে পুলিশলাইন সড়ক যেন মরণফাঁদ: নির্বিকার প্রশাসন

ছবি: সংগৃহীত

বড় বড় গর্ত, ধুলোর ঝড়, আর যানবাহনের জ্যাম—এ যেন এক অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। এমনই অবস্থা পিরোজপুর সদর উপজেলা থেকে রায়েরকাঠি হয়ে ব্যবসায়ী এলাকা শ্রীরামকাঠি পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়কজুড়ে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটি পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে। কোথাও পিচ নেই, কোথাও খোয়া নেই, বালুও নেই—শুধুই ধুলা আর গর্ত।

এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে শত শত যানবাহন। বিশেষ করে মালবাহী ট্রাক, পণ্যবাহী পিকআপ, অটো এবং রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স—সবই চলতে গিয়ে পড়ে দুর্ভোগে। খানাখন্দে পড়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তার এমন অবস্থায় গাড়ি চললেও মানুষ দাঁড়িয়ে থাকার জায়গা খুঁজে পায় না।

একজন ভুক্তভোগী বলেন, “রোগী নিয়ে বের হলে সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছানো যায় না। রাস্তায় ধাক্কা খেতে খেতে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।”

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়ক সংস্কারের কাজ পেয়েছিল স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইফতি ইটিসিএল। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ কাজ শেষ না করেই বরাদ্দ টাকা উঠিয়ে নিয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জানান, সড়কের বেহাল দশা সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে । তিনি বলেন, “রাস্তাগুলো কীভাবে সংস্কারের আওতায় আনা যায়, নতুনভাবে নির্মাণ করা যায়—সে বিষয়ে কাজ চলছে। সরকার ইতোমধ্যেই নজর দিয়েছে।”

পিরোজপুরের অর্থনীতির প্রাণ এই সড়কপথ। শ্রীরামকাঠির মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী এলাকার সঙ্গে সংযোগ থাকা সড়কটির দ্রুত সংস্কার চায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
তাদের প্রশ্ন— “জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যখন কাজ হয়, তখন কেন ভোগান্তি পোহাতে হবে সাধারণ মানুষকে?”

মুহাম্মদ ওমর ফারুক

×