
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল, সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা সম্প্রতি কামারখন্দ উপজেলা শাখা সংক্রান্ত কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেছে।
বুধবার (২৮ মে) এক বিবৃতিতে জেলা শাখার আহ্বায়ক ও বিএনপির জেলা সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, জাতীয়, স্থানীয় ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে কামারখন্দ উপজেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলে আওয়ামী লীগ নেতাদের পদ দেওয়া হয়েছে এবং এতে আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অসত্য।
তিনি জানান, গত ২০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে কামারখন্দ উপজেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু পরদিনই, ২১ এপ্রিল, জানা যায় যে, কমিটির কিছু সদস্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী নন। ফলে, তাৎক্ষণিকভাবে কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ ও জেলা বিএনপিকে তা লিখিতভাবে জানানো হয়। এই স্থগিতাদেশের সংবাদটি একটি স্থানীয় পত্রিকায় ৫ মে প্রকাশিত হয়েছিল।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “কমিটির কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার প্রায় একমাস পর ২০ মে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ আমাদের হতবাক করেছে। কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাতে রাব্বি উত্থানের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা টাকা নিয়ে কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন এমন ভিত্তিহীন বক্তব্য মুক্তিযোদ্ধাদের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে।”
মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান-এমন মন্তব্য করে আজিজুর রহমান দুলাল বলেন, “মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন, তারা কখনোই অর্থের কাছে বিক্রি হতে পারেন না। তাই এমন দায়িত্বহীন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।”
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, “কমিটি স্থগিত হওয়ার বিষয়ে জেলা বিএনপিকে জানানো হলেও কেন বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেওয়া হলো, তার বিচার জেলা নেতৃবৃন্দের ওপর ছেড়ে দিলাম।”
অবশেষে, বুধবার (২৮ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে কামারখন্দ উপজেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক কমিটি বাতিল ঘোষণা করেন। তিনি গণমাধ্যমকে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদের পরিবর্তে সঠিক তথ্য প্রচারের আহ্বান জানান। এসময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল, সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মিরাজ খান