ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টি, শহরজুড়ে জলাবদ্ধতা-জনজীবন স্থবির

রাজু মোস্তাফি, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ১১:৪০, ২০ মে ২০২৫

কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টি, শহরজুড়ে জলাবদ্ধতা-জনজীবন স্থবির

ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ

রাত থেকে টানা ভারি বৃষ্টিপাত চলছে কুড়িগ্রামসহ রংপুরের ৮ জেলায়। শহরের রাস্তা-ঘাট ফসলি জমি তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। কুড়িগ্রামে পুরো শহরেরই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জনজীবনে চরম দুর্ভোগে পরেছে সাধারণ মানুষ। 

তিস্তা, ধরলা, ব্রক্ষপুত্র, দুধকুমোরসহ জেলার ১৬টি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। টানা বৃষ্টিতে বিশেষ করে বোরো ধান, ভুট্টা ক্ষেত, বাদাম ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের কৃষক। 

গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম ও তার আশেপাশে ১০২ দশমিক ৮ মি. মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে রাজারহাট আবহাওয়া অফিস। এমন বৃষ্টি আরও তিনদিন টানা চলতে পারে বলে জানান। বৃষ্টির সাথে সাথে দমকা বাতাস বইছে। 

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে এ পর্যন্ত ১শ ৩১ হেক্টর জমির ধান, ভুট্টা ও বাদাম পানির নীচে তলিয়ে রয়েছে। শহরের জেলা প্রশাসন চল্টর,ফায়ার বিগ্রেড মোড়, হাসপাতাল পাড়া, মুনসীপাড়া, রৌমারীপাড়া, বৈশ্য পাড়া, টাপুভেলাকোপা, হরিকেশ মোড়, ভেলাকোপা এলাকা, সওদাগরপাড়ার নীচু এলাকার বাড়ি ঘরে এ পানি প্রবেশ করেছে। প্রতিটি ঘরেই এক হাঁটু পানি। 

শহরের পৌরসভার ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। দেখে মনে হবে পুরো শহর পানিতে ভাসছে। শহরের বন্যা শুরু হয়েছে। জনজীবন পুরোপুরি স্থবির হয়ে পরেছে। শহরের ভেলাকোপা এলাকার সৈয়দ আলী (৭২) তার বাড়িতে এক হাঁটু পানি। ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। 

সওদাগর পাড়ার জাহানারা বেগম জানান, টানা বৃষ্টির কারণে সারারাত জেগে আছি। ঘরের মধ্যে এক হাঁটু পানি। তাদের এলাকায় সব ড্রেন বন্ধ হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের এলাকায় প্রতিটি ঘরেই পানি ঢুকেছে। চরম কষ্টের মধ্যে বৃষ্টির দিন গুলো পার করছে।

কুড়িগ্রাম পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আতিক জানান, “রাত থেকে ভারী বৃষ্টি পাত হচ্ছে। শহরের ড্রেন গুলো পরিষ্কার করার জন্য বৃষ্টির মধ্যেই তারা কাজ করছে। বৃষ্টি কমলে পানি দ্রুত চলে যাবে।”

মিরাজ খান

×