ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা

আলী হোসেন শ্যামল, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, উত্তরা, ঢাকা

প্রকাশিত: ১০:৪৪, ২০ মে ২০২৫

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা

ছবি: জনকন্ঠ

রাজধানীর উত্তরায় ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে  ততই বাড়ছে টুংটাং শব্দ। কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহার পিঠাপিঠিতে টুং-টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে রাজধানীর উত্তরার কামার শালাগুলো। আগুনের শিখায় তাপ দেওয়া হাতুড়ি পেটানোর টুং-টাং শব্দে তৈরি হচ্ছে দা-বঁটি, চাপাতি ছুরি। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েকগুণ ব্যস্ততা বেড়ে যায় তাই যেন দম ফেলারও সময় নেই কামারদের।

ঈদুল আজহা কিংবা কোরবানির ঈদে গরু, ছাগল উট, মহিষ কোরবানির পশু হিসেবে জবাই করা হয়। এসব পশু কাটাকাটির কাজে ব্যবহার করা হয় দা-বঁটি, ছুরি-চাপাতি ইত্যাদি। এই দিনটিকে অপেক্ষা করে দিন-রাত দা তৈরিতে কাজ করছেন কামাররা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা।

এদিকে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাজারে ছুরি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, ছোট দা ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা, বড় বটি ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা, চাপাতি ৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা বিক্রি হয়।

উত্তরার বিভিন্ন স্থানে দূর থেকে শোনা যাচ্ছে টুংটাং শব্দ। দোকানে ভিতরে উত্তপ্ত আগুনের পাশে বসে বানানো হচ্ছে চাপাতি। পাশে অপর একজন। আগুনের শিখায় তাপ দেওয়ার পর বের করে হাতুড়ি পেটাচ্ছেন অপর একজন। তবে যে-সব দোকানে চার থেকে পাঁচজন করে শ্রমিক কাজ করত এখন সেসব দোকানে কাজ করছে দুইজন। তৈরি হওয়া যন্ত্রপাতি দোকানের সামনে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও লোকজন ভিড় করছেন কামারিদের দোকানে। কেউ কেউ দর দাম করে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

বছরের বেশিরভাগ সময় শুধু চাপাতি, দা, বটি, চাকু, ছুরি পুরোনো অস্ত্র শান দিয়েই হয় তাদের উপার্জন। এই কাজটি করে চলে তাদের পরিবারের সংসার।

কামার জব্বার বলেন, বছরের এই সময়টাতেই সবচেয়ে বেশি কাজের চাপ থাকে। বছরের এই ঈদ মৌসুমে আমাদের মূল টার্গেট থাকে। কাঁচামালের দাম বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি। সেই অনুযায়ী মজুরি পাওয়া যায় না।

তারা আরও বলেন, কোরবানি ঈদের সময় আমরা কাজ করে কিছুটা টাকা পাই অন্যান্য সময় তো  কোন ইনকামই হয় না।

মুমু

×