
ছবি: জনকন্ঠ
অভাব-অনটনের সঙ্গে লড়াই করে নিজের অবস্থান বদলে ফেলেছেন কুড়িগ্রামের এক প্রত্যন্ত গ্রামের নারী আমিনা। একসময় যিনি ছিলেন চরম দারিদ্র্যের মাঝে জীবনযাপনকারী, আজ তিনি একজন সফল ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা।
এই পরিবর্তনের সূচনা ঘটে তখন, যখন তিনি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে ১৭ হাজার টাকা এককালীন অনুদান পান। এই অর্থ হাতে পেয়েই আমিনা সিদ্ধান্ত নেন নিজের একটি ব্যবসা শুরু করার।
নিজের বাড়ির একপাশ ব্যবহার করে তিনি চালু করেন একটি ছোট মুদি দোকান, যার নাম দেন—‘স্বপ্ন স্টোর’। প্রথম দিকে সীমিত পুঁজি ও সরঞ্জাম নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যবসায় উন্নতি আসে। বর্তমানে দোকানটি পরিবারের আয়-রোজগারের প্রধান উৎসে পরিণত হয়েছে।
এর ফলে, আমিনার পরিবারে এসেছে স্থিতিশীলতা। আগে যেখানে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালানো কঠিন ছিল, এখন তার দুই কন্যা নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতের স্বপ্ন গড়ছে।
শুধু নিজের সাফল্যেই থেমে থাকেননি আমিনা। প্রতিবেশী নারীদেরও অনুপ্রাণিত করছেন স্বাবলম্বী হওয়ার পথে। তার এই সংগ্রাম ও সাফল্য এখন অনেকের জন্য রোল মডেল হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আমিনা প্রমাণ করেছেন—সুযোগ ও ইচ্ছাশক্তি থাকলে প্রতিকূল পরিস্থিতিও জয় করা সম্ভব।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ-এর কর্মকর্তারাও বলেন, “আমিনার মত নারীরা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আমরা গর্বিত এমন গল্পের অংশ হতে পেরে।”
মুমু