ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বনভূমি জবরদখল করে অবৈধ বসতঘর নির্মাণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি,

প্রকাশিত: ০৯:৪৬, ২০ মে ২০২৫

বনভূমি জবরদখল করে অবৈধ বসতঘর নির্মাণ

উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নে সংরক্ষিত বনের জায়গা দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। ইতিমধ্যে বনভূমিতে অন্তত ১৫টি বসতঘর তৈরি করা হয়েছে। দেখা-দেখি স্থানীয় অনেকেই বনভূমি দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরিবেশের এই বিপন্নতা নিয়ে বনবিভাগ একেবারেই উদাসীন। বনবিভাগের জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করা আইনত অপরাধ হলেও স্থানীয় এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি ও সংঘবদ্ধ চক্র বনবিভাগের যোগসাজশে বনের জায়গা দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দাঁতমারা ইউনিয়নের হাসনাবাদ রেঞ্জের সাপমারা, হাতিমারা ও তাঁরাখো এলাকায় গত কয়েক মাসে বনবিভাগের জায়গা দখলে নিয়ে বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে স্থানীয় নুর আহমদ, করিম, জসিম, মানিক, কোরবান আলীসহ প্রায় ১৫টি পরিবার।

স্থানীয়রা জানান, অবৈধভাবে গড়ে তোলা বসতির আশপাশের অন্তত এক একর বনভূমি কৌশলে দখল করে ফেলেছে তারা। তবে তারা এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও বন কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে এসব বসতবাড়ি নির্মাণ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।

বনের জমিতে অবৈধভাবে ঘর তৈরির কারণ জানতে চাইলে স্থানীয় মানিক বলেন, আমাদের আগে অনেকেই বনের জমিতে ঘর তৈরি করে পরিবার নিয়ে বাস করছেন। তাদের কেউ বাধা দেয়নি। তাই আমরাও বনের জমিতে ঘর তৈরি করছি।

হাসনাবাদ বিট কর্মকর্তা শামিম রেজা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গায় অবৈধ বসতবাড়ি নির্মাণে বনবিভাগের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে বলেন, আমি বদলি আদেশের অপেক্ষায় আছি।

হাসনাবাদ রেঞ্জ কর্মকর্তা সিফাত আল রব্বানী বলেন, আমি যোগদান করেছি দুই মাস হলো, এর আগে কী হয়েছে জানি না। বনবিভাগের জায়গা জবরদখল করে বাড়ি নির্মাণের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখব, বনবিভাগের জায়গা হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বনের জায়গায় বসতবাড়ি নির্মাণে বনবিভাগের কারো সংশ্লিষ্টতা থাকলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আফরোজা

×