ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরাইলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন নির্মাণ কাজ ফেলে লাপাত্তা ঠিকাদার

মোঃ আতিকুল ইসলাম, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রকাশিত: ১৪:৩৩, ১৯ মে ২০২৫

সরাইলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন নির্মাণ কাজ ফেলে লাপাত্তা ঠিকাদার

ছবি: জনকন্ঠ

নির্মাণ কাজের সময়সীমার দেড় বছর পার হলেও মাত্র ২৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬ তলা বিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ কাজ। গত ৫ ই আগস্টে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে নির্মাণ কাজ ফেলে লাপাত্তা ঠিকাদার, অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে রডসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল।

জানা গেছে, গত ২০২২ সালের শেষের দিকে পুরাতন ভবন ভেঙে প্রায় ১০ কোটি টাকা বরাদ্দে শুরু করা হয়েছিল সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ কাজ। শুরু থেকেই ছিল নানা অনিয়ম ও ধীরগতির অভিযোগ।

সরাইল উপজেলার কয়েক লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ভবনটি। তবে দীর্ঘদিন যাবত কাজ বন্ধ থাকলেও এ ব্যাপারে নেওয়া হচ্ছে না যথাযথ ব্যবস্থা।

এদিকে ছোট্ট একটি ভবনে রোগীদের স্বাচ্ছন্দ্যে শতভাগ সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকেরা। জায়গা সঙ্কটের ফলে ফ্লোর কিংবা প্রায়ই কাঠের তৈরি বেঞ্চেই বাধ্য হয়ে দিন পার করছে নানা রোগে আক্রান্ত রোগীরা।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, প্রশাসনিক দুইতলা ভবণে বর্তমানে চলছে ৫০ শয্যা সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কার্যক্রম। নীচতলায় বহিঃবিভাগ ও চিকিৎসকদের চেম্বার এবং জায়গা সঙ্কটের কারণে দোতলার মাত্র তিনটি রুমে রাখা হয় নানা রোগে আক্রান্ত  ও দূর্ঘটনার শিকারে ভর্তি হওয়া নারী পুরুষ ও শিশুদের। সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠতেই চোখে পরে ডায়রিয়া ওয়ার্ড, খোলামেলা পরিবেশেই চলছে সংক্রামক এই রোগের চিকিৎসা। রোগীর চাপ বেড়ে গেলে পর্যাপ্ত সিট দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। যার ফলে অতি কষ্টে ফ্লোর কিংবা বেঞ্চেই থাকতে হচ্ছে রোগীদের।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন ও তৎকালীন সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ নোমান মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমি এই বিষয়ে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। জায়গার অভাবে কষ্ট করছে রোগীরা, ভবনটির কাজ শেষ হলে রোগীদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হবে।

মুমু

×