
ছবি: জনকন্ঠ
সাদা আর কালো ছয় ফুট উচ্চতা, আট ফুট লম্বা ও চার বছরের ১ হাজার কেজি ওজনের গরুর যেম বলবান ও তেমনি তেজ। বলবান ও নবাবী আচরণের জন্য মালিক শিমুল হোসেন আদর করে নাম রেখেছেন "বস"। এরই মধ্যে গরুটি স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম সৃষ্টি দিয়েছে।
বিশাল আকৃতির পাকিস্তানি শাহীওয়াল গরুটি দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা ও ব্যবসায়ীরা।
"বস" কে গ্রামের একটি খামার থেকে শখ করে কিনে আনেন মালিক। এরপর দীর্ঘ চার বছর ধরে ফার্মে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে লালন পালন করা হয়েছে গরুটিকে। বীর বাহাদুরের দৈনিক গঠন যেমন চমকপ্রদ, তেমনি তার স্বভাব ও আলাদা।
শক্তিশালী ও বুদ্ধিমান এই গরুটিকে সামলাতে কখনো কখনো লাগে পাঁচ থেকে সাত জন লোক। দিন-রাত চালিয়ে রাখতে হয় ফ্যান ও লাইট। বসের খাদ্য তালিকায় রয়েছে শুকানো খড়। তাছাড়া খৈল, কলা, ভুসি ও ভুট্টা। তার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন কাঁচা ঘাসও রয়েছে। গরমের মধ্যে তাকে গোসল করানো হয় দিনে দুই থেকে তিনবার।
পাকিস্তানি শাহিওয়াল গরুটির মালিক শিমুল হোসেন দাবি এটি জেলার সবচেয়ে বড় গরু। গরুটির দাম হাকা হচ্ছে ৭ লাখ টাকা।
গরুটিকে দেখতে আসা আশিকুর রহমান বলেন, লোকের মুখে শিমুল হোসেনের গরুটির নাম শুনেছি। তাই আজ দেখতে এলাম। আমাদের এলাকায় এর আগে কোথাও এত বিশাল আকারের ষাঁড় গরু দেখিনি।
গরুটির মালিক শিমুল হোসেন বলেন,বসের যত্নে কোনো ত্রুটি রাখা হয়নি। সন্তানের মত লালন পালন করা হয়েছে। গরুটিকে খাওয়ানো হয় শুধু প্রাকৃতিক খাবার ঘাস, খৈল, কলা, ভুসি ও ভুট্টা। এবার ঈদুল আযহার উপলক্ষে বিক্রির জন্য তাকে প্রস্তুত করেছি।
মুমু