ছবি: জনকণ্ঠ
আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস বর্জন করে নার্সিং ডিপ্লোমাকে স্নাতক ডিগ্রির স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে বাগেরহাটে রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থী নার্সরা।
রবিবার (১২ মে) দুপুরে বাগেরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন নার্স ও মিডওয়াইফরা।
বিক্ষোভে শিহাবুল ইসলাম, রায়হান আলী, আঁখি ইসলাম, মনিরুজ্জামান, বায়জিদ ইসলাম, শংকরী বিশ্বাস, আসাদুল ইসলাম, হৃদয় হালদার, রোজিনা, মো. কুতুবউদ্দিন, রিপন কুমারসহ তিন শতাধিক সরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউট, নারগিস মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট এবং ইন্টার্ন নার্স শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মো. কুতুবউদ্দিন বলেন, “যেখানে এইচএসসি পাসের পরে তিন বছর পড়াশোনা করে জেনারেল এডুকেশনে স্নাতক ডিগ্রি দেওয়া হয়, সেখানে আমরা এইচএসসি পাসের পর দীর্ঘ তিন বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি বিষয়ে ডিপ্লোমা অর্জন করেও ‘নার্সিং ডিপ্লোমা স্নাতক ডিগ্রি’র স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত।
এটা নিদারুণ বৈষম্য এবং আমাদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। নার্সদের ন্যায্য স্বীকৃতি স্বাস্থ্যখাতের সার্বিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। আমরা আমাদের এই ন্যায্য দাবির প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
আঁখি ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা জীবন রক্ষাকারী মানবিক পেশায় নিয়োজিত, আমাদের শিক্ষার যথাযথ মূল্যায়ন হওয়া উচিত। আমরা অবিলম্বে এই বৈষম্যের অবসান চাই।”
মনিরুজ্জামান বলেন, “স্নাতক স্বীকৃতি না পাওয়ায় আমরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমরা অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছি। সরকার যদি আমাদের এই দাবি মেনে নেয়, তাহলে আমরা আরও বেশি উৎসাহিত হব এবং আরও ভালোভাবে মানুষের সেবা করতে পারব।”
শংকরী বিশ্বাস বলেন, “আজ আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবসে আমরা কোনো আনন্দ উৎসবে অংশ নিইনি। আমাদের কাছে এই দিনটি আজ প্রতিবাদের দিন। আমরা আশা করি, সরকার আমাদের এই যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করবে এবং দ্রুত এর সমাধান করবে।”
নার্সদের ন্যায্য স্বীকৃতি শুধু তাদের ব্যক্তিগত উন্নয়ন নয়, স্বাস্থ্যখাতের সার্বিক মানোন্নয়নেরও পূর্বশর্ত বক্তাদের এমন বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, মর্যাদা ও মূল্যায়নের প্রশ্নে আর পিছিয়ে থাকতে চান না দেশের হাজারো নার্স।
শহীদ
