
ছবি: জনকণ্ঠ
মাদারীপুরে এক ইউপি চেয়ারম্যানের মেজভাই ধান ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের সুতারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আব্দুল আলিম ফকির রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম ফকিরের মেজভাই ও সুতারকান্দি গ্রামের মৃত জয়নাল ফকিরের ছেলে।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, রাজৈর সুতারকান্দি গ্রামের সিরাজ মোল্লার বাড়িতে প্রথমে ঢোকার চেষ্টা করে একদল ডাকাত। যা ধরা পড়ে সিসিটিভি ফুটেজে। এখানে ব্যর্থ হয়ে মুখোশধারী ডাকাতরা পাশের ধান ব্যবসায়ী ও ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই আব্দুল আলিম ফকিরের বসতঘরে হানা দেয়। প্রথমে গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ১০-১৫ জনের ডাকাত দল। মুহুর্তেই গৃহকর্তা আব্দুল আলিম ফকির ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রশি দিয়ে বেধে ফেলে। পরে ডাকতরা আলমিরা ও ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে নগদ ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও ১৩ ভরি স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। বাধা দিয়ে গৃহকর্তা ও তার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করে। পরে সবকিছু নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। ডাকতদল চলে গেলে পরে চিৎকার-চেচামেচি শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে তাদের উদ্ধার করে। খবর পেয়ে বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাজৈর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় দোষিদের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
আব্দুল আলিম ফকির জানান, ‘গ্রিল কেটে বারান্দায় প্রবেশ করে ডাকাতরা। পরে ঘরের দরজার লক ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে ঢুকে ১০-১৫ জনের ডাকাত। সবাই মুখোশপড়া ছিল। ঘরে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র তারা লুট করে। বাধা দিলে আমাদের দুইজনকে পিটিয়ে আহত করে ডাকাতরা।’
আহত মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘ঘরের ভেতর ঢুকে দুইজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মুখোশধারীরা। আলমিরা ও ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও ১৩ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে ডাকাতরা। বাধা দেয়ায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে আহত করে আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।’ ধান ব্যবসায়ীর ছেলে শান্ত ফকির বলেন, ‘এভাবে ঘরের ভেতর ঢুকে সবকিছু লুট করবে এটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত প্রত্যেকের বিচার দাবি করছি।’
মাদারীপুরের রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ খান জানান, “খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ যাছাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
শিহাব