
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় জুলাই আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া (১৭) সম্প্রতি আত্মহত্যা করেছেন। স্বামীর পর মেয়েকে হারিয়ে লামিয়ার মা মোসাঃ রুমা বেগম (৩৫) মানসিক যন্ত্রণায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪নং কেবিনে চিকিৎসাধীন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে লামিয়ার মা রুমাকে দেখতে আসেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব সারাওয়াত মেহজাবীন। এ সময় মন্ত্রণালয় থেকে তাকে ২টি চেক প্রদান করা হয়। তার মধ্যে একটিতে ৫০ হাজার টাকা আরেকটিতে ২৫ হাজার টাকা উল্লেখ রয়েছে।
এ সময় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর ত্বত্তাবধায়ক ডাঃ দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা, পটুয়াখালী জেলার নেজারত শাখার এনডিসি মোঃ সাকিব উল আলম, মহিলা বিষয়ক অধিধপ্তর এর উপ-পরিচালক শিরিন সুলতানা, দুমকি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিদা বেগমসহ লামিয়ার পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক জনকণ্ঠকে লামিয়ার মা মোসাঃ রুমা বেগম (৩৫) বলেন, আমার মেয়ে লামিয়ার খুনীদের সুবিচার চাই। যারা আমার মেয়েকে এমন দুর্দশায় ফেলেছে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চান তিনি।
এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব সারাওয়াত মেহজাবীন বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ শাখা একটি সেল খোলা হয়েছে। এই সেলের মাধ্যমে আমরা কাজ করছি। আমাদের মন্ত্রণালয় ও লামিয়ার ব্যাপারে কাজ করছে। সুষ্ঠ তদন্ত করে আসামিদের আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
রিফাত