ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বন্দরে জমে উঠেছে ত্রিমুখী লড়াই

​​​​​​​স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:৪২, ৫ মে ২০২৪

বন্দরে জমে উঠেছে ত্রিমুখী লড়াই

.

বন্দর উপজেলা নির্বাচন মে। নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচার। চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তিন প্রার্থী জোরেশোরেই প্রচার চালাচ্ছেন। এক প্রার্থী তার প্রতীকে ভোট না চেয়ে তার বাবার নির্বাচনী প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে ভোটারদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন বলে জানা গেছে। ভোটারদের দাবি, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা যায়, বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চিংড়ি মাছ প্রতীকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, দোয়াত কলম প্রতীকে বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রশিদ, আনারস প্রতীকে জেলা জাতীয় পার্টির নেতা মাকসুদ হোসেন হেলিকপ্টার প্রতীকে তার ছেলে মাহমুদুল হাসান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। খবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে ভোট চাইছেন পিতা মাকসুদ হোসেন। কিন্তু তার ছেলে মাহমুদুল হাসানের নির্বাচনী প্রতীক হেলিকপ্টার হলেও তিনি ভোট চাইছেন তার পিতা মাকসুদ হোসেনের আনারস প্রতীকে। তাই স্থানীয় ভোটারদের দাবি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রশিদ মাকসুদ হোসেনের মধ্যে লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলায় তিন প্রার্থীই প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল শনিবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন। আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আমি যেখানেই যাই সেখানেই ভোটারদের বিপুল সাড়া পাচ্ছি। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

এখনো লেভেল প্লেইং ফিল্ড ভালো আছে। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা অনেক ক্যাম্প স্থাপন করেছেন। আমি কোনো নির্বাচনী ক্যাম্প করিনি। জনগণই আমার ক্যাম্প। জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার নির্বাচনটি সুষ্ঠু সুন্দর হবে বলে আমাকে আশ্বা দিয়েছেন। তিনি ভোটারদের চিংড়ি মাছ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। এদিকে প্রচারে গিয়ে আরেক প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম, রশিদ ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, আমি আপনাদের কাছে আরেকটি শেষবারের মতো সুযোগ চাই। উপজেলা নির্বাচনে আপনারা সদলবলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আমাকে দোয়াত কলম মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেন প্রচারণায় গিয়ে ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, অনেক হুমকি- ধমকি উপেক্ষা করে জায়গায় এসেছি। তাই আপনারা আনারস মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করুন।

কালকিনিতে বিরামহীন প্রচার

নিজস্ব সংবাদদাতা কালকিনি, মাদারীপুর থেকে জানান, কালকিনি উপজেলা নির্বাচন জমে উঠেছে। দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে বিরামহীনভাবে কর্মী- সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। হাট-বাজারে ব্যাপক প্রচার একের পর এক উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রার্থীরা তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। আগামী ২১ মে উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ জানান, কালকিনি উপজেলা নির্বাচনে মোট প্রার্থী ১০ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান শাহিন (মোটরসাইকেল), বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর গোলাম ফারুক (আনারস), আমেরিকা প্রবাসী যুবলীগ নেতা নুরুজ্জামান সরদার (ঘোড়া) কয়ারিয়া ইউপি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম (দোয়াত কলম) ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, সাহেবরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান জামাল মোল্লা উপজেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন উপজেলার সাবেক নারী ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী কাজী নাসরিন, বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা আক্তার বীথি উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চায়না খানম।

হোসেনপুরে গণসংযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, আগামী মে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরামহীন গণসংযোগে এখন উত্তাল নির্বাচনী মাঠ। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে মাইকিং, মিছিল, পথসভা গণসংযোগ। দেখলে মনে হবে যেন দম ফেলার সময় নেই প্রার্থী কর্মী-সমর্থকদের। নির্বাচনের আর মাত্র দিন থাকলেও উভয় প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের অব্যাহত গণসংযোগের পাশাপাশি চলছে পথসভা, কর্মীসভা, কেন্দ্র কমিটি গঠন মতবিনিময় সভা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল (আনারস), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম হালিম (হেলিকপ্টার), সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মাহবুবুল হক (মোটরসাইকেল) রওশন আরা রুনু (টেলিফোন), সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ হোসেন কবির (কাপ-পিরিচ), সাবেক পেশকার নাজমুল আলম (দোয়াত কলম) ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- উপজেলার ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলামিন অপু (টিউবওয়েল), সিদলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শফিউদ্দিন সরকার বাচ্চু (চশমা), নাঈম হাসান সুজন (তালা), আলমগীর হোসেন সোহাগ (টিয়া পাখি), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিনা সারোয়ার (হাঁস) এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল কাদির স্বপনের ছোট মেয়ে পারভীন আক্তার জেনি (কলস), খায়রুন্নাহার হেপি (ফুটবল) আগামী মে হোসেনপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন নির্বাচন কমিশন। দলীয় প্রতীক না থাকায় ভোটারদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় বিএনপির সিনিয়র কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এবার বিএনপি নির্বাচনে না এলেও সমর্থকদের ভোট একটি বিরাট ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। তাই এবার আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ পাবে না। কেননা একজন ছাড়া আওয়ামী লীগের সব প্রার্থীই এবার মাঠে আঁটঘাট বেঁধে নেমে পড়েছেন। তবে সাধারণ ভোটারদের ধারণা, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ত্যাগীরা মূল্যায়িত হবে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা ভোটাররা যদি নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তবে উপজেলা নির্বাচনের লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।

হালুয়াঘাটে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত প্রার্থীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ প্রথম ধাপে আগামী মে হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২৩ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর থেকেই প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে ঘুরছে। রঙিন সাদাকালো পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেছে হালুয়াঘাটের ১২ ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ড। গানে গানে সুরে সুরে মাইকিং, সভা, সমাবেশ প্রচারণার শেষ আজ রাত ১২টায়।

বোরো ধান কাটা মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সাধারণ মানুষ। ফলে গণসংযোগ, পথসভা মিছিলের মাধ্যমে প্রার্থীরা সরব থাকলেও সাড়া মিলছে না ভোটারদের। পরিস্থিতিতে অনেকটা নীরবে চলছে প্রচার।

চেয়ারম্যান পদে নাজিম উদ্দিন দোয়াত কলম প্রতীক, মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ আনারস, জাহিদ আহমেদ সারোয়ার জাহান জাহাঙ্গীর মোটরসাইকেল, ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান কামরুল হেলিকপ্টার অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত তারেক ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে শেখ রাসেল তালা, এবিএম কাজল সরকার টিয়াপাখি, শাখাওয়াত হোসেন ফকির চশমা, হুমায়ুন কবির টিউবওয়েল, সাইফুর রহমান মাইক প্রতীক এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ঝর্ণা ঘোষ কলস, মনোয়ারা বেগম ময়না হাঁস, সুমি বেগম সেলাই মেশিন হালিমা খাতুন ফুটবল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।

বাউফলে আনারস ঘোড়া প্রার্থীর লড়াই

নিজস্ব সংবাদদাতা বাউফল, পটুয়াখালী থেকে জানান, বাউফল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস ঘোড়া মার্কার প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। যদিও এই দুই প্রার্থী একই দলের। এর মধ্যে আনারস মার্কার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মোসারফ হোসেন খান হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভাইস চেয়ারম্যান। আর ঘোড়া মার্কার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব হাওলাদার হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ইতোমধ্যে তাকে দলীয় স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকা- জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। আবদুল মোতালেব হাওলাদার গত উপজেলা নির্বাচনে নৌকা মার্কা নিয়ে জয়ী হয়েছিলেন। নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে কারণে তিনি দলের সভাপতি আসম ফিরোজ এমপির বিরাগভাজন হন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর সম্প্রতি তার ফেসবুক আইডি থেকেখালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হোকস্ট্যাটাস দিয়ে বিতর্কিত হন। আনারস মার্কার প্রার্থী মোসারফ হোসেন খান গত উপজেলা নির্বাচনে একই প্যানেল থেকে বিপুল ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবার আসম ফিরোজ এমপির আশীর্বাদ নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি এলাকায় ক্লিন ইমেজের লোক হওয়ায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তিনি একজন আদর্শবান শিক্ষক ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘ ৪৫ বছর তিনি আসম ফিরোজ এমপির সঙ্গে রয়েছেন। এলাকার উন্নয়নে তিনি আসম ফিরোজ এমপিকে সহযোগিতা করেছেন। কারণে তাকে সবাই এমপি ফিরোজের বিশ্বস্ত লোক হিসেবেই চেনেন। তবে চেয়ারম্যান পদে লড়াই হবে আনারস ঘোড়া মার্কার প্রার্থীর মধ্যেই। ছাড়াও চেয়ারম্যান পদে কাপপিরিচ মার্কা নিয়ে নির্বাচন করছেন বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার (অব) খম মশিউর রহমান লাভলু দোয়াত কলম নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সজল হালদার। ভাইস চেয়ারম্যান পদে এমপি আসম ফিরোজের সাবেক এপিএস আনিছুর রহমান উড়োজাহাজ মার্কা নিয়ে, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ রাহাদ জামসেদ তালা মার্কা নিয়ে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মরিয়ম আক্তার নিসু হাঁস মার্কা নিয়ে অ্যাডভোকেট ঝর্ণা বেগম প্রজাপতি মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ২১ মে বাউফল উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বরিশালে দাবদাহ দমাতে পারেনি প্রার্থীদের

স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, চলমান অসহনীয় দাবদাহ দমাতে পারেনি উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা চেয়ারম্যান, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান, নারী ভাইস চেয়ারম্যান তাদের সমর্থকদের।

ইতোমধ্যে প্রথমধাপের নির্বাচনে জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজিব আহমেদ তালুকদারের (কাপ-পিরিচ) সমর্থনে গণসংযোগের সময় গত ২৭ এপ্রিল হিটস্ট্রোকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম (৪২) মৃত্যুবরণ করেছেন। তারপরেও থেমে নেই প্রার্থী তাদের সমর্থকদের প্রচার। প্রচন্ড দাবদাহের মাঝেই দিন-রাত একাকার করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে চলছেন প্রার্থীরা। প্রথমধাপের নির্বাচনে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেনের (মোটরসাইকেল) সমর্থনে শতাধিক টিম গত একমাস ধরে উপজেলাজুড়ে গণসংযোগ প্রচার ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। মুলাদী উপজেলা নির্বাচনে ক্লিন ইমেজের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির উদ্দীন খসরুর (দোয়াত-কলম) সমর্থনে তার কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক শতাধিক টিমে ভাগ হয়ে গণসংযোগ করে আসছেন।

বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে জনতার চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচন্ড দাবদাহকে উপেক্ষা করে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচার করে আসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক মেধাবী ছাত্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. আদনান আলম খান বাবু। বাবুগঞ্জ উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অসহায়দের আশার আলো নারী নেত্রী মৌরিন আক্তার আশা আহমেদের পক্ষে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ তরুণ ভোটার শতাধিক টিমে ভাগ হয়ে ব্যতিক্রমধর্মী প্রচার সবার মনজয় করেছে। হিজলা উপজেলার সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ঢালীর ছেলে তরুণ চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম রাজু ঢালীর (চিংড়ি মাছ) সমর্থনে প্রচ- দাবদাহের মাঝেও নেতাকর্মী সমর্থকরা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একইভাবে জেলার উজিরপুর, বানারীপাড়া, বাকেরগঞ্জ আগৈলঝাড়া উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীরা প্রচারে মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

মেহেরপুরে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা মেহেরপুর থেকে জানান, মেহেরপুরের দুটি উপজেলায় মে নির্বাচন। এই নির্বাচন ঘিরে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীরা যাচ্ছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে। চলছে বিচার-বিশ্লেষণ। এদিকে সুষ্ঠু  পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। দিন কিংবা রাত থেমে থাকার সময় নেই এখন। তাই মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আমদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আনারুল ইসলাম (মোটরসাইকেল), জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহিম শাহিন (কাপ পিরিচ), জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি হাশেম আলী (আনারস), জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নানসহ (ঘোড়া) প্রার্থী। মূলত এই চার প্রার্থীর মধ্যে আনারুল ইসলাম অ্যাড. ইব্রাহিম শাহিনের মধ্যে লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে মুজিবনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা (কাপ পিরিচ), সদ্য সাবেক মহাজনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু (আনারস), উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান চাঁদু (ঘোড়া) এবং মাহবুবুর রহমান (মোটরসাইকেল) নিয়ে এই জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই উপজেলায় রফিকুল ইসলাম তোতা আমাম হোসেন মিলুর মধ্যে লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মাদারীপুরে চাচা-ভাতিজা মুখোমুখি

নিজস্ব সংবাদদাতা মাদারীপুর থেকে জানান, সদর উপজেলা নির্বাচন ঘিরে চেয়ারম্যান প্রার্থী চাচা পাভেলুর রহমান শফিক খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী ভাতিজা মো. আসিবুর রহমান খান। রবিবার দুপুরে মাদারীপুর শহরের নিজ বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলন করেন আনারস প্রতীকের এই প্রার্থী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে তিনি অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করে বলেন, ‘সদর উপজেলা নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান আগামী মে অনুষ্ঠেয় উপজেলা নির্বাচনকে প্রভাব খাটাতে সরকারি কর্মকর্তাদের কাজে লাগাচ্ছেন। এজন্য ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে ভোট কিনতে টাকা বিলাচ্ছে। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাভেলুর রহমান শফিক খান বলেন, ‘এই নির্বাচনকে ঘিরে শাজাহান খান তার ছেলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন। এরমধ্যে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো, প্রশাসনের ওপর চাপ প্রয়োগ, কালো টাকা ছড়ানোর কারণে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

 

 

  

×